somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমরা জীবনটাকে চ্যালেঞ্জ করে বাঁচি । কারো কছে দয়া ভীক্ষা করে নয়

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করি ।।

গত ৩-১৫ তারিখ পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান আন্দোলন এর দাবিগুলো ছিলঃ

১। ২৭/৪ এই সংসদ অধিবেশনে বাতিল করে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা বাস্তবায়ন করা।
২।৫০০০টাকা অবৈধ উন্নয়ন ফি প্রত্যাহার করতে হবে
৩।ক্যাফেটেরিয়ায় খাওয়ার দাম ক্রয় ক্ষমতার মাঝে রাখা
৪।হল উদ্ধার এবং নতুন হল নির্মান করে ছাত্রছাত্রীদের আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা

এই যৌক্তিক আন্দোলনে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহন করার জন্য আটজনকে শোকজ করেছিল জবি প্রসাশন।তার মধ্যে আমিও অন্যতম। আন্দোলনের একজন সংঘঠক এবং সক্রিয় কর্মী ছিলাম আমি।

যেদিন আমদের ৮ জনকে শো-কজ করা হয় , সেদিন আমরা আসলে অপেক্ষা করছিলাম বহিষ্কার আদেশ শুনার জন্য। এবং আমরা সব পরিকল্পনাও ঠিক করে ফেলি বহিষ্কার হলে কি করতে হবে।।। আমদের সংবাদ সম্মেলনের পরই জানতে পারি কর্তৃপক্ষের সভা বসেছে আমাদের বহিষ্কার আদেশ চূড়ান্ত করার জন্য। ঠিক সে সময় কর্তৃপক্ষের একজন লোক আসে আমাদের সাথে মধ্যস্ততা করার জন্য । আমদেরকে প্রস্তাব দেয়া হয় আপোস করার জন্য। কিন্তু আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দেই , দাবি পূরণ ছাড়া আর কোন পথ খোলা নেই। বহিষ্কার হওয়া আমাদের জন্য সৈভাগ্যের বিষয়। এর মধ্যে আমাদের কয়েকজন তাদের নাম বহিষ্কৃতদের তালিকায় না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে । জাহিদুল ইসলাম নামের এক সহযোদ্ধা তো ঐ লোক কে বলছে,
"আপনে যেমনে পারেন আমার নাম ঐ লিষ্টে ঢুকান। কারোটা বাদ দিয়া হইলেও ..."
এমন পরিস্থিতিতেই মনে হয় প্রশাসন পিছূ হটে। পরে শুনতে পাই তারা ঐ বহিষ্কার আদেশের নোটিশ চূড়ান্ত করেও তা আবার ছিড়ে ফেলে। এবং রাত ৮ টার দিকে ৮ জনকে শো-কজ করে। বৃহ:স্পতিবার শো-কজ করায় আমরা রবিবার এর আগে এই বিষয়ে প্রশাসনের আর কোন দৃষ্টিভঙ্গিই জানতে পারি নাই।পরে রবিবার আমরা এজতেমার জন্য কোন প্রোগ্রাম না রাখলেও সংবাদ সম্মেলনে আরো ২ দিন ধর্মঘট সহ ৩ দিনের টানা কর্মসূচি ঘোষনা করি । আর তখনই আমদের কাছে প্রশাসনের ঢাক আসে....আলোচনার।

চরম প্রতিকূলতার মাঝেও কেউই সাহস হারাই নাই। এবং শো-কজ পাবার পর সবার মুখে যে তৃপ্তির ছাপ দেখেছি তা দেখে সাহস আরো বেড়ে যায়। সহযোদ্ধাদের অবিচল মনোভাবই পরবর্তি সংগ্রাম এর উদ্দীপনা জোগায়। সবার মুখে এক কথা

"এতদিনের সংগ্রামের স্বীকৃতি পেলাম" ।

আমরা জীবনটাকে চ্যালেঞ্জ করে বাঁচি । কারো কছে দয়া ভীক্ষা করে নয়।।

কয়েকজনের মন খারাপ হতে দেখলাম.... "শো-কজ" পায় নি বলে ।।।।।


সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:১৭
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অল্প পুঁজিতে অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসার সন্ধান, যে কেউ চাইলে শুরু করতে পারে

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৫



কেউ একজন জানতে চেয়েছেন ১০/১২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে কিভাবে মাসে ১/২ লাখ টাকা ইনকাম করা যায়? বিষয়টা নিয়ে চিন্তা করে দেখলাম বাংলাদেশে ১০/১২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাজানো ভোটে বিএনপিকে সেনাবাহিনী আর আমলারা ক্ষমতায় আনতেছে। ভোট তো কেবল লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

লিখেছেন তানভির জুমার, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২২



১০০% নিশ্চিত বিএনপি ক্ষমতায় আসছে, এবং আওয়ামী স্টাইলে ক্ষমতা চালাবে। সন্ত্রাসী লীগকে এই বিএনপিই আবার ফিরিয়ে আনবে।সেনাবাহিনী আর আমলাদের সাথে ডিল কমপ্লিট। সহসাই এই দেশে ন্যায়-ইনসাফ ফিরবে না। লুটপাট... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজনীতির পন্ডিত, ব্লগার তানভীর জুমারের পোষ্টটি পড়েন, জল্লাদ আসিফ মাহমুদ কি কি জানে!

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৪৯



সামুর রাজনীতির ডোডো পন্ডিত, ব্লগার তানভীর ১ খানা পোষ্ট প্রসব করেছেন; পোষ্টে বলছেন, ইউনুস ও পাকিসতানীদের জল্লাদ আসিফ মাহমুদ ধরণা করছে, "সেনাবাহিনী ও ব্যুরোক্রেটরা বিএনপি'কে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নীল নকশার অন্ধকার রাত

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:১৬


কায়রোর রাস্তায় তখন শীতের হিম হাওয়া বইছিল। রাত প্রায় সাড়ে এগারোটা। দুইটা বড় সংবাদপত্র অফিস: আল-আহরাম এবং আল-মাসরি আল-ইয়াউম—হঠাৎ করেই আগুনে জ্বলে উঠলো। কিন্তু এই আগুন কোনো সাধারণ দুর্ঘটনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩২

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে[

স্বাধীন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা, মব-রাজনীতি ও এক ভয়ংকর নীরবতার ইতিহাস
চরম স্বৈরশাসন বা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রেও সাধারণত সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার সাহস কেউ করে না। কারণ ক্ষমতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×