প্রাচীন কালে ছায়া সুনিবিড় সুখী সমৃদ্ধশালী এক দেশ ছিল । সে দেশের মানুষ গুলো কিন্তু ছিল খুবই অদ্ভুত । তারা তাদের শাসনকর্তা নির্বাচন করতো অতি অদ্ভুত উপায়ে । তাদের রাজার মেয়াদ শেষ হত সেদিন সেদিন সকালে তাদের দেশে যে মুসাফির আসতো তাকেই তাদের রাজা বানাতো । এমনি ভাবে একদিন তারা এক যুবককে তাদের রাজা নির্বাচন করলো । কিন্তু রাজা নির্বাচনের পর তারা কিছু শর্ত দিত । শর্ত গুলো হল
১. রাজা রাজ্য পরিচালনা করতে পারবে ৫ বছর । এই ৫ বছর রাজা তার ইচ্ছামত যা খুশি করতে পারবে । রাজ্যের কোন লোক তার বিরুদ্ধে কিছুই বলবে না ।
২. ৫ বছর পর তাকে জনমানব শূন্য এক মরুভূমিতে মাত্র কয়েক দিনের খাবার এবং পানি দিয়ে রেখে আসা হবে ।
এর পর সেই যুবক রাজাকে নিয়ে চলল মরুভূমি পরিদর্শনে ।
যুবক অবাক হয়ে লক্ষ্য করলো সেই মরুভূমি যেখানে পড়ে ছিল তার পূর্বসুরীদের হাঁড়গোড় আর কংকাল । মানুষজনতো দূরের কথা মাইলের পর মাইল কোন গাছপালও নেই ।
সময় বয়ে যায়, যুবক রাজার মেয়াদও একদিন শেষ হয়ে গেল ।
তারপর এসে গেল সেই নির্দিষ্ট দিন । রাজ্যের চারিদিকে উৎসবের আমেজ । নির্দিষ্ট সময়ে রাজ্যের মানুষ রাজাকে বেঁধে মিছিল করতে করতে মরুভূমির দিকে যাওয়া শুরু করল । কিন্তু কি আশ্চর্য রাজাও সবার সাথে আনান্দ ফূর্তি করছে তার চোখে কোন ভয়ের ছায়া নেই, তাকে একটুও চিন্তিত দেখাচ্ছে না । লোকজন অবাক হয়ে জিঞ্গেস করল এর কারন কি ?
রাজা বলল আগে মরুভূমিতে চল তারপর বুঝবে ।
মরুভূমির কাছে গিয়ে সবাই অবাক হয়ে গেল । কোথায় মরুভূমি চারিদিকে সবুজের সমাহার আর অতি সুন্দর এক রাজ প্রাসাদ । এইবার রাজা জনসাধারণের উদ্দেশ্য এক ছোট্ট বক্তব্য দিল ।
প্রিয় দেশবাসি তোমরা যেদিন আমাকে এই মরুভূমিতে নিয়ে এসেছিলে সেদিন আমি বুঝেছিলাম ৫ বছর পর এই জায়গায় আমাকে থাকতে হবে । তাই আমি দেশের কাজ না করে জনগনের কথা না ভেবে আমার কথা ভেবেছি । আমার ভবিষ্যত আবাসস্থান আমার মত করে সাজিয়ে নিয়েছি । আর তাই এখানে তৈরি করেছি আর একটি রাজ্য ।
প্রিয় পাঠক যার যা খুশি এই গল্প থেকে শিক্ষা নিতে পারেন ।
কিন্তু্ আমার কাছে এই গল্পের ভাল মডেল আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরা । তারা বুদ্ধিমান অতি বুদ্ধিমান তাই তারা নিজেদের আখের গুছিয়ে নিয়েছেন । দেশের কথা দশের কথা ভাবার সময় কৈ । সুযোগ বারবার আসে না একবারই আসে আর বুদ্ধিমানেরা সুযোগ কাজে লাগায় ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



