somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হঠাৎ দেখা এবং একটা অদ্ভুত প্রেমের গল্প...

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেকক্ষন ধরে বসে আছে তানি।কেউ আসছে না।এদিকে অনুষ্ঠান তো শুরু হয় হয় অবস্থা!!জায়গাও রাখতে পারলো না কারো জন্য।ওরা আসলে ওদের নিয়ে পেছনে বসতে হবে!!কিছুই দেখা যাবে না আজকে।ধুর!!নবীনবরন কি জীবনে হাজারবার হয়?কলেজ লাইফে দুইবার।প্রথমটায় সব প্রোগ্রামকে শুধু এনজয় করতে হয় আর দ্বিতীয়টায় সব প্রোগ্রামকে এনজয়েবল করতে হয়!!
আর এই প্রথমটাতেও ওরা এই ভেজাল শুরু করল!!


অবশেষে ফোন এলো তানির ফোনে।রিফার ফোন।"কিরে?তুই কই?"
তানির মেজাজ গরম..."তোর বাসায়!"
"আমার বাসায় কি করিস?"
"তোমার মায়ের সাথে আড্ডা দেই আর তোমাদের সাজুগুজু দেখি।সাজুগুজু শেষ হয় না?"
"ওহ তুই কলেজে?আমরাও তো কলেজে।কই তুই?"
"অডিটোরিয়ামে।তোরা কই?"
"আমরাও তো।বুঝছি তুই পেছনে আছিস।চলে আয় সামনে।জায়গা রাখছি!!"

তানির রাগ চলে গেলো নিমেষে।এই মেয়ে গুলো কলেজে ওঠার পর যেমন দুষ্ট হয়েছে,ঠিক তেমনই ভালো হয়েছে!!


তানি সামনে এসে দেখলো ওর সব বান্ধুবি একসাথে বসেছে।ইয়াসমিন,ফিজা,রিফা,আনু,আশা,মিনু,তাসু,হাসনা,আফরোজা...সবাই!!ভালই হল এবার সবাই মিলে ভালই হই চই করা যাবে।স্টেজের সবকিছু দেখাও যাবে ঠিক মত।

অনুষ্ঠান শুরু।কিছুক্ষন পর ইশা এলো।ইশার সাথে ওদের রিলেশনটা তেমন নেই।তাছাড়া ও এখন অন্য কলেজে পড়ে।এই কলেজের ফাংশনে তবুও হাজির।
"কিরে আমার জন্য জায়গা রাখলি না?"
"স্যারেরা রাখতে দেয় নাই রে!!"

ওদের সাথে জায়গা না পেয়ে ইশা অন্যকোথাও চলে গেলো।
আশা মনে হয় এতক্ষন ওর যাওয়ার অপেক্ষাই করছিলো।ও যাওয়ার সাথে সাথে আশা বলে উঠলো,
"তানি...ইশা কি প্রেমে-ট্রেমে পড়েছে নাকি?"
"হঠাৎ এই প্রশ্ন কেনো?ও প্রেমে পড়লে কি আমাকে বলবে নাকি?"
"না তোর সাথে তো ওর অনেক ভাল রিলেশন তাই।"
"তোর এই কথা মনে হল কেনো রে?"
"বোঝা যায়।চেহারা দেখলেই বোঝা যায়!"
"আমার চেহারা দেখে বল তো আমি প্রেমে পড়ছি কিনা!"
"না পড়িস নাই।"
"এই তো বুঝলি না!!আমি তো কবেই প্রেমে পড়ে বসে আছি।ঠিক নারে ইয়াস্মিন?"
"ওইটা তাহলে রিয়েল প্রেম না!"


যাই হোক...সময়গুলো ভালই কাটছিলো!!বোরিং সময় ছিলো না বললেই চলে...যে টুকু ছিলো বক্তৃতার সময়...তাও গেমস খেলে কাটিয়ে দিলো ওরা।

দুপুর হল।খাবার পর্বও শেষ হল ভাল মত।এসে আবার জায়গা দখল করার পালা!!ওরা ওদের আগের জায়গাটাকেই অক্ষত অবস্থায় পেলো।কিভাবে পেলো সেটা একটা মিরাকেল!!

এইবার তানি আর আনু একসাথে বসল।আনু অত্যন্ত মেধাবী একটা মেয়ে।অবশ্য ওরা বান্ধুবীরা সবাই-ই খুব মেধাবী!!
স্টেজে এবার আসল বেন্ড দল।বেন্ড দল অডিটোরিয়ামে ঢোকার সাথে সাথে ওদের মানে এই বন্ধু গ্রুপটার মধ্যে সাড়া পড়ে গেল।কে কাকে নেবে সেটা নিয়ে হই চই।শুরু হল ভাগ-বাটোয়ারা।ভাগ করছে তানি আর ইয়াসমিন।তানি আগে আগে নিজের জন্য নিয়ে নিলো কি-বোর্ড বাদককে।ফিজা কে দেয়া হল ড্রাম বাদক কে।কিন্তু সে কিছুতেই সেই ড্রাম ওলাকে নিবে না।সেও চায় কি-বোর্ড অলাকেই!!
পরে দেখা গেলো অধিকাংশেরই পছন্দ ওই কি বোর্ড!!

স্টেজে বাদ্য বাজনা বাজিয়ে নাচানাচি করছে ব্যান্ড দল।আর এই দিকে ঝগড়া চলছে এই গ্রুপের মধ্যে!!
ফিজাঃ''এই কালুরে আমি নিবো না।আমি আলাদিন রে নিবো!!"
বলা বাহুল্য...আলাদিন নাম হয়েছে ঐ কি-বোর্ড বাদকের।কারন তার টি-শার্টের মধ্যে ছিলো আলাদিনের ভুতটার ছবি।তবুও তার নাম হয়েছে আলাদিন!!
ইয়াসমিনঃআমিও আলাদিন রেই নিবো!
তানিঃওইটা তো আগেই আমার হয়ে গেছে!!
আনু আবার প্রথম থেকেই ভাব নিয়ে বসে আছে।ওরা নাকি ফালতু কাজ করছে।এই সব ফালতু ছেলেদের নিয়ে মাতামাতির কি আছে?
আনুঃআচ্ছা যাহ!তোদের তিনটারে ওর সামনে নিয়ে যাব।ও যারে পছন্দ করবে ও তারই হবে।এখন ও যদি আমাকে পছন্দ করে ফেলে তো আমার কিছুই করার নাই!!

এখন শুরু হল তানি আর আনুর ঝগরা।কেউই কাউকে ছাড় দিলো না।একসময় দুজনই চুপ!!
কিন্তু তানি বুঝতে পারছে না কি হচ্ছে ওর ভেতর!তবে কিছু একটা হচ্ছে।


"আনু একটা কথা বলি?"
"হুম বল"
"এতক্ষন যা করেছি সব ফাজলামি।এখন যা বলছি সব সত্যি।ছেলেটাকে আমার মনে ধরেছে!!"
"তানি তুই কি বলিস এগুলা?আমারও যে একই অবস্থা!!"
"দাড়া...আশা কে জিজ্ঞেস করি,আমার চেহারায় এখন কি বোঝা যায়!!"


আশার বিজ্ঞ বিজ্ঞ উত্তর..."হুম...কিন্তু সেটা একতরফা...লাভ নাই...!!"
আনুর চেহারা দেখেও সেই একই কথা!!

আলাদিন কি-বোর্ড বাজিয়ে চলেছে...গায়ক গেয়েই চলেছে...!!অডিটোরিয়ামের সবার মনে সেই গান দোলা দিয়ে যাচ্ছে।কিন্তু আনু আর তানির সে দিকে কোন খেয়ালই নেই ওরা একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে ওই আলাদিনের দিকে!!





চলবে......
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১:২০
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×