অবশেষে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হলো
আমি সবসময়ই প্রজ্ঞাপন দিয়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে ছিলাম। কারণ, বাংলাদেশের একটি উল্লেখযোগ্য জনগোষ্ঠী এখনো দলটিকে সমর্থন করে। এত বড় একটি জনগোষ্ঠীর মতামত কিংবা অবস্থানকে একেবারে উপেক্ষা করা ঠিক নয়—আমি এই নীতিতেই সবসময় বিশ্বাস করে এসেছি।
তবে সরকারের আজকের সিদ্ধান্তের পেছনের যুক্তিটা যতটুকু বুঝতে পারছি তার সঙ্গে আমি একমতও। আজ শনিবার রাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে—আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকবে।
আমি এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছি, কারণ এখানে বলা হয়েছে, দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার হবে। আমি এই দাবিটাই করে আসছিলাম—শুধু ব্যক্তি নয়, কোনো রাজনৈতিক দল যদি সংগঠিতভাবে অপরাধে জড়ায়, তবে সেই দলকেও অবশ্যই জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। যেমন ব্যক্তির অপরাধের দায় তাকে নিতে হয়, তেমনি একটি দলের পক্ষ থেকে যদি অপরাধ সংঘটিত হয়, তাহলে দল হিসেবেও দায় নিতে হবে। এটা শুধু আওয়ামী লীগের জন্য না, সব দলের জন্যই প্রযোজ্য হওয়া উচিত।
তবে, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ—ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। যেন কোনোভাবেই লোক দেখানো বিচার না হয়। আদালতে সব পক্ষের জন্য ফেয়ার প্লেয়িং গ্রাউন্ড তৈরি করা সরকারের দায়িত্ব।
এই সিদ্ধান্ত হয়তো রাজনৈতিকভাবে অনেক বিতর্কের জন্ম দেবে। কিন্তু আমার কাছে মনে হচ্ছে, বাস্তবতা বিবেচনায় সরকারের হাতে এর বাইরে তেমন কোনো বিকল্প ছিল না। এমন একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতেই হতো।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মে, ২০২৫ রাত ১১:৪০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




