ইদানিং একটি কথা খুব প্রচলিত হচ্ছে যে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন (ইন্টারিম) সরকারের মধ্যেও আরেকটি "অদৃশ্য সরকার" কাজ করছে। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে যুক্ত নানা পক্ষই এমন দাবি তুলছে। এই দাবীর স্বপক্ষে নানা প্রমাণও সামনে আসছে। আপাতদৃষ্টিতে নায়িকা নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেফতারের ঘটনাটি সেটারই একটি বহিঃপ্রকাশ বলে মনে হচ্ছে।
প্রশ্ন হচ্ছে—এই সরকারকে কি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে বিতর্কিত করে তুলছে, না কি সরকার নিজেই নিজেকে বিতর্কিত করছে? জুলাই অভ্যুত্থানের পর আমরা চেয়েছিলাম, গত ১৫ বছরে ঘটে যাওয়া প্রতিটি খুন, গুম, হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হবে। কিন্তু তা আর হচ্ছে কই ! আসল অপরাধের মামলা সামলাতেই যেখানে আমাদের বিচারব্যবস্থার নাভিশ্বাস অবস্থা, সেখানে নানা হঠকারী মামলা ও তা নিয়ে বিভিন্ন ঘটনার মাধ্যমে শুধু তালবাহানা চলছে। এর মাধ্যমে আসল অপরাধীদের আড়াল করে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
ইন্টারিম সরকার নিয়ে আমাদের প্রত্যাশা ছিল রাষ্ট্র সংস্কার, কিন্তু সেই সংস্কারের যে গতি এবং সেদিকে সরকারের যে মনোযোগ, তা খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়। এর মধ্যে আবার রাজনৈতিক নানা সমীকরণে জুলাই ঐক্যের ফাটলও দৃশ্যমান। সেই সাথে, হাসিনা আমলের স্টাইলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস বা রিঅ্যাক্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে সরকারি চাকরিজীবীদের বরখাস্ত করার মতো অভিযোগও সামনে আসছে।
সরকার ধীরে ধীরে জনসমর্থন হারাচ্ছে। তবে এই বিষয়ে সরকারের মধ্যে সচেতনতা আছে বা তারা বিষয়টাকে পাত্তা দিচ্ছে এমনটি মনে হচ্ছে না। এর ফলে, আসলেই যেসব ভালো কাজ হচ্ছে, সেগুলোও ধীরে ধীরে বিতর্কিত হয়ে প্রভাব হারাবে।
প্রিয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, দ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথে অগ্রসর হোন। এখনকার অবস্থা বিচার করলে বলা যায়, আপনাদের ভবিষ্যৎ খুব একটা সুবিধার দেখছি না।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




