আমার বিয়েতে তৈরী সেই স্যাটায়ারটা এখন আমার কাছে আর নেই। তবে সমপ্রতি আমার খালাত ভাইয়ের অনুষ্ঠানে আবারও আরেকটি পুঁথি তৈরী করেছি আমরা। পাঠের দায়িত্ব ছিল আমার। মজাই হয়েছিল জিনিসটা।
যেহেতু পুরোটাই কিছু লোককে পঁচিয়ে করা হয়েছিল তাই তাদের সমর্্পকে কিছু জানিয়ে রাখি। মেয়েরা চার বোন। বড় বোন খুব ঠান্ডা প্রকৃতির, তার তিন মেয়ে। মেজবোন আর দুলাভাই যেন একটু বেশীই চুপচাপ। ছোট বোন খুব পটপট করে তবে যখন আমাদের সাথে ডানসের জন্য ডাকা হল তখন গেল চুপসে। সেজ বোন আমাদের ঘরে আমার খালাত ভাই পলাশের বউ হয়ে আসবে (ইতিমধ্যে চলেও এসেছে)।
[গাঢ়]পুঁথি পাঠ[/গাঢ়]
[ইটালিক](প্রতি তৃতীয় লাইন কোরাস)[/ইটালিক]
ও আমার স্টেজের সামনে পিছে যত গুনীজন
তানিয়া বিবির গুনের কথা করি গো বর্ণন
আহা শোনেন দিয়া মন...
তানিয়া বিবির চাইর বোন করে শুধু ঢং
মুখে মেকাপ মাইখ্যা দেখ সাজে তারা সং
আহা সাজে তারা সং...
বড় বোন সুধি জন অশ্রু তাহার নাম
তিন মাইয়া লইয়া ব্যাস্ত মাথার বেরাম
আহা অশ্রু তাহার নাম...
পারভেজ হইলো তানিয়ার বড় দুলাভাই
সব দায়িত্ব কান্দে লইয়া করে হায় হায়
আহা বড় দুলাভাই...
মেজ আফা ডুমুরফুল ইনভিজিবল
গোমড়ামুখে বইস্যা থাকে একটু কথা বল
আহা একটু কথা বল...
মেজ দুলাভাই যেন আস্ত ভিজা বিলাই
মানুষজন দেখলে বলে পালাই পালাই
আহা মেজ দুলাভাই...
তানিয়া বিবির ছোট বোন নাম তাহার স্মৃতি
দেখতে প্রিটি হইলেও শুধু করে খিটিমিটি
আহা নাম তাহার স্মৃতি...
স্মৃতি আফার অনেক গুন পটরপটর খুব
নাচুনির কথা উঠলে হইয়া যায় চুপ
আহা পটরপটর খুব...
তানিয়া বিবি পড়ে নাকি ইডেন কলেজে
অবসরে তারা নাকি হকি স্টিক খোঁজে
আহা ইডেন কলেজে...
তানিয়া আফা আমাদের খুবই ইস্মাট
হাটতে গিয়া উস্টা খাইয়া হয় চিৎপাত
আহা খুবই ইস্মাট...
পলাশ মোদের ভালো পোলা বড় ভোলাভালা
তানিয়ার যাতনায় তাহার বাড়ল বুকের জ্বালা
আহা বাড়ল বুকের জ্বালা...
মুঠো ফোনে দেখ চলে বিষম পিরিতি
তাই দেইখ্যা বাপে মায়ের ফাটে বুকের ছাত্তি
আহা বিষম পিরিতি...
সবশেষে আমরা সবাই এই বইল্যা যাই
সবার উপর প্রেম সত্য তাহার উপর নাই
আহা এই বইল্যা যাই...
[ইটালিক]শেষ কথা[/ইটালিক]
এখানে প্রকাশের উদ্দেশ্য হল শেয়ার করা, সংরক্ষন করা, সেই সঙ্গে অন্যদের উৎসাহিত করা এরকম আরো কিছু তৈরী করতে। শাকিল নামে আমাদের এক বছরের জুনিয়র মেকানিক্যালের ছাত্র এই পুঁথি পাঠ জিনিসটা খুব ভাল করে করত। 2003 এর দিকে এক দুর্ঘটনায় সে মারা যায়। এই পোস্টটি তাকে উৎসর্গ করলাম।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



