অনেক দিনের ধুলো ঝেড়ে বুক শেলফ থেকে কিছু বই বার করলাম আজকে। ভালো লাগা কবিতা শিরোনামে তুলে দিতে চাচ্ছি। কপিরাইটের ধার ধারিনা। তবে আপনাদের ভালো লাগলো কিনা জানান - অযথা বিরক্ত করার পক্ষপাতি নই আমি। এই সুযোগে পোস্টের সংখ্যাও বাড়ল...
[গাঢ়]আমিও একদিন[/গাঢ়]
[ইটালিক]শক্তি চট্টোপাধ্যায়[/ইটালিক]
আলো আর অন্ধকার
-------দু-জনে দু-জনের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে আছে
মুখ ফিরিয়ে আছে - যাতে কেউ কাউকে না দ্যাখে
দেখার অনেক কষ্ট - ট্রামলাইন পার হয়ে পাশাপাশি বাড়ির বসে থাকা অন্তরঙ্গভাবে
আলো আর অন্ধকার
-------দু-জনে দু-জনের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে আছে।
একবার মুখ ফেরালে কী এমন ত্রিভুবন অন্ধকার হয়ে যাবে - এই বলে
-------আলো
-------মুখ ফেরালো
আর তখনই ঝনঝনাৎ চাবির থোলো মেজেয় ফেলে, লুটিয়ে আঁচল
-------ঘন বনের ভিতর ঝাঁপিয়ে পড়লো অন্ধকার
-------ওদিক-পানেই বাড়ি তার, বাগ-বাগিচা, ফলমূল, সৈকতাবাস।
বহুক্ষন বনের ধারে হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো আলো-
-------অন্ধকারেরও তো উকিঝুঁকি আছে
-------আছে ফাঁক-ফোকর ডাকবাক্স আর কী-হোল
চোখটি কাৎ করে লাগিয়েছো কি অমনি আলোর বর্শা বিঁধবে গিয়ে বাছাধনের চোখে
-------মজাটি টের পাবে তখনই
-------একচক্ষু কালো মেয়েটার বর জুটবে কোত্থেকে হে?
এভাবে বনের ভেতর আর বনের বাহির ঘন হয়ে উঠলো ঝগড়ায়
-------সালতামামি শেষ হলো, ছুটি হয়ে গেল ইস্কুল-পাঠশাল
-------মাঠের বল মাঠেই রইলো পড়ে
-------আলো ভাবলো, চিরদিন বাঁচে না মানুষ !
-------অন্ধকারও বেঁচে নেই - সুতরাং
একাকী যদ্দিন জ্বলতে পারি, জ্বলতে-জ্বলতে একদিন ওরই মতন ফুরিয়ে যাবো
-------আমার কী ? আমিই বা কতদিন অপেক্ষা করবো !
-------আমার কি ট্রেন-ফেন ধরার তাড়া নেই ?
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



