somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্বপ্ন কথন

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ২:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আমার ধারণা আমরা সবাই দেশপ্রেমিক। দেশে থাকলে দেশপ্রেম যতটা না বুঝা যায় দেশের বাইরে আসলে সেটা ভালমত উপব্ধি করা যায়। যদিও দেশে থাকা অবস্থাও আমাদের দেশপ্রেম থাকে কিন্তু আমার মত আমজনতার দেশপ্রেম এ রাঘব বোয়ালদের কিবা যায় আসে। আর বাইরে থেকেও যে আমি দেশের জন্য কিছু করতে পারতেছি, তা না। কিন্তু আমাদের দেশের কর্ণধারদের যদি দেশপ্রেম থাকত তাইলে আশা করি অবস্থার উন্নতি বৈ অবনতি হইত না। যাই হোক আমি আসলে একটা স্বপ্নের কথা বলতে চাইতেছিলাম।

দেশান্তরি হবার পর থেকেই দেশের জন্য মন খারাপ থাকে। পরিবার পরিজন বন্ধু বান্ধব, আড্ডাবাজি এইসবের কথা মনে পরে যায়। মাঝে মাঝে এই মন খারাপ সিভিয়ার অবস্থায় চলে যায়। তখন প্রায় মাঝে মাঝে একটানা রাত এ স্বপ্ন দেখি যে আমি বাংলাদেশে চলে গেছি।
একরাতে দেখলাম আমি বাড়ি তে গিয়া আম্মুর হাতের অমৃত খাচ্ছি। এখানে নিজের রান্না খাইতে খাইতে আম্মুর হাতের রান্না অমৃত থেকে অমৃততর হইতেছে এটা বলাই বাহুল্য। পরের রাতেও একি রকম স্বপ্ন দেখলাম। আমি বাড়িতে গিয়া সবার সাথে হাসাহাসি করতেছি, ঘুরাঘুরি করতেছি। এইবারও ভালয় ভালয় কেটে গেল সময়। কিন্তু ঝামেলা হল তৃতীয় রাতে গিয়া। তৃতীয় রাতেও আমি স্বপ্ন দেখলাম আমি আবার বাড়ি চলে গেছি। দেখলাম আমি ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যাগ কাধে নিয়ে সরাসরি বাড়ি তে। পকেটে কিছু খুচরা টাকা পয়সা ছিল শুধু। ক্রেডিট কার্ড, ওয়ালেট এসব নিতেও ভুলে গেছি। আমার অবস্থা দেখে এবার আমার আম্মু খেপে গেলেন। বললেন, " তোর কি পড়াশুনা নাই। প্রতিদিন বাড়ি আসতেছিস কেন? আর তোকে দেখলে মনেই হয় না যে তুই আমেরিকা তে পড়তেছিস। প্রতিদিন বাড়ি আসা দেখে মনে হয় তুই ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে পড়তে গেছিস।" আমি যার পরনাই কষ্ট পাইলাম। যদিও কথা সত্য।

যখন ঘুম ভাঙ্গে তখন নিজেই বসে বসে হাসি। আমি যে তিন রাত ধরে একই স্বপ্ন দেখতেছি কেন জানি না। যতদূর জানি স্বপ্ন হল বিচ্ছিন্ন ঘটনা। কিন্তু কিভাবে সিকুয়েন্স মিলে গেল? কিভাবে আমার আম্মু স্বপ্নের মধ্যেই বলে বসল..."তুই কেন বার বার বাড়ি চলে আসিস?" হা হা হা...অদ্ভুত। হয়ত এটা আমারই অবচেতন মনের ভাবনা।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ ভোর ৫:৪১
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে কোন প্রজন্ম সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত? ১৯৭১ থেকে একটি সংক্ষিপ্ত ভাবনা

লিখেছেন মুনতাসির, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৩

বাংলাদেশে দুর্নীতির প্রশ্নটি প্রায়ই ব্যক্তি বা দলের দিকে ছুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একটু গভীরে গেলে দেখা যায়, এটি অনেক বেশি প্রজন্মভিত্তিক রাজনৈতিক - অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে যুক্ত। ১৯৭১ এর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×