সিদ্ধার্থ সিনেমার কাহিনী বুদ্ধের সমসাময়িক। এক ব্রাহ্মণ তরুণ মোক্ষ ও মুক্তির উদ্দেশ্যে ঘর ছেড়ে বের হয়। সন্ন্যাসি হবার জন্য সে বনে গিয়ে সাধনা করতে থাকে। দীর্ঘ সাধনার পর সে বুঝতে পারে এভাবে মুক্তি পাবে না সে। তাই সে ও তার বন্ধু গোবিন্দ বুদ্ধের শরণাপন্ন হয়। গোবিনদ বুদ্ধের শিষ্য হলে তাকে ছেড়ে যায় সিদ্ধার্থ। বাসুদেব নামের এক মাঝির ঘরে এক রাত কাটিয়ে শহরে যায় সে। সেখানে কমলা নামের এক পতিতার কাছে ভালোবাসা বিষয়ে শক্ষালাভ করতে যায়। কমলা তাকে ভালোবাসা দেয়। আর দেয় কাজের সন্ধান। কমস্বামী নামের এক ব্যবসায়ীর আড়তে কাজ পায় সিদ্ধার্থ। অনেক সময় গৃহী ও ব্যবসায়ী জীবনে কেটে গেলে সিদ্ধার্থ বুঝতে পারে সে কামস্বামীর মতো আরেক ব্যবসায়ী হতে চলেছে। তাই গর্ভবতী প্রেমিকাকে রেখে আবার অজানার উদ্দেশ্যে পা বাড়ায়। আবার তার দেখা হয় মাঝি বাসুদেবের। বাসুদেবের ঘরে তার স্থান হয়। এবং তার সঙ্গে নৌকা চালাতে থাকে সে। এর মধ্যে নদীর ঘাটে এসে সাপের কামড়ে কমলার মৃতু্য হয়। সিদ্ধার্থ তার সন্তানের দেখা পায়। কিন্তু সন্তানের সঙ্গে তার সম্পর্কেরও ইতি ঘটে কদিন। বাসুদেব বৃদ্ধ হলে অবসর গ্রহণ করে। পারাপারের মূল দায়িত্ব আসে সিদ্ধার্থের হাতে। একদিন এই পারাপারের সময় গোবিন্দের দেখা পায়। গোবিন্দকে নিজের জীবনের শিক্ষা বলে সিদ্ধার্থ। বলে স্টপ সার্চিং।
গোবিন্দ তার সঙ্গে পারাপারের কাজে নিয়োজিত হয়।
উপন্যাসটি অসাধারণ। ফিল্মটি একটু কম। সিদ্ধার্থ বইটি বাঙলায় পাওয়া যায়।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




