স্কারফেসে টনি মন্টানার কথা যখন মুভিটিতে বলা হচ্ছিল তখন কানখাড়া করলাম। অনেক রিফিউজিই নাকি কুবা থেকে এসেছিল। তাদের মধ্যে একজনই ছিল টনি মন্টানা। শয়তানের পক্ষশক্তি। বাকীরা নিরীহ ছিল? মুভিটা কিন্তু তা বলে না। বাকীরা দাঙ্গা করে। একজন আরেকজনকে খুন করে। নানা অপরাধে জড়িত হয়। আমেরিকান মেয়েদের টিজ করে। তাদের সংস্কৃতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে না।
ব্রায়ান ডি পালমা পরিচালিত এই মুভিতে অভিনয় করেছেন আল পাচিনো। স্ক্রিপ্ট লিখেছেন অলিভার স্টোন। বলা হয়, এই সিনেমা সর্বকালের সবচেয়ে সেলিব্রেটেড সিনেমাগুলোর একটা।
ঘটনার কেন্দ্রে আছে টনি মন্টানা। যে কিনা কুবার মেরিয়েল থেকে ইউনাইটেড স্টেটস-এ যাওয়া লোকদের একজন ছিল। ফিদেল ক্যাস্ট্রো এই লোকগুলোকে সুযোগ দিয়েছিলেন কুবা ছাড়তে যাতে তারা মার্কিন আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে যোগ দিতে পারে। এই ঘটনাটা ফিকশন নয় সত্য। 1980 সালে ঘটা এই ঘটনাটি মেরিয়েল বোটফ্লিট নামে পরিচিত। টনি মন্টানা প্রথমে ফ্লোরিডায় যায়। তারপর যায় মায়ামিতে। সেখানে খাবারের দোকানে কাজ করতে করতে জড়িয়ে পড়ে কোকেইন পাচারের সঙ্গে। শীঘ্রই সে আন্ডারওয়ার্লডের একজন চাঁই ও টিম লিডার হয়। মনে করতে থাকে এ পৃথিবীটা তার নিজের। এ রকম শুধু রূপকথাতেই পাওয়া সম্ভব।
এই উত্থানের পর তার ট্রাজিক পরিণতি ঘটে। না সিআইএ, এফবিআই কারও হাতে নয়। ড্রাগ ব্যবসার পার্টনারের হাতে তার মৃতু্য ঘটে। তার আগে সে খুন করে নিজের বোন ও বোনজামাই/বন্ধুকে। প্রশ্ন হলো তখন কি আমেরিকান আউন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছিল না? টনি মন্টানার উত্থানের সময় তারা কী করছিল?
এই হলো অভিবাসীদের নিয়ে আমেরিকানদের ভয়ের সিনেমা।
মুভটি বানানো হয়েছে ইতালিয়ান-আমেরিকান গ্যাংস্টার আল কাপুনের ফিকশনালাইজড জীবনী অবলম্বনে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



