--------মাহবুবুর রশিদ------
ব্রিটেনে ডিজিটাল পদ্বতিতে অংক শেখানোর সহজ ও নতুন কৌশল আবিষ্কার করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন সিলেটি শিক শোয়েবুর রহমান। বাংলাদেশের মতো ব্রিটেনের স্কুলে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীরা সব বিষয়ে ভাল রেজাল্ট করলেও অংকে বেশ দূর্বল। বিলিয়ন পাউন্ড খরচ করেও অংকে কাঙ্কিত ফল না পাওয়ায় সেখানকার শিা মন্ত্রণালয় বেশ চিন্তিত। অংকে ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে ভাল রেজাল্ট করতে পারে সে ল্েয আইটি নির্ভর করে সহজ পদ্বতিতে অংক শেখার নতুন পদ্বতি উদ্বাবনের জন্য মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ব্রিটেনের শিা মন্ত্রনালয়। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এগিয়ে আসে চীনের“লিকাসিং ফাউন্ডেশন । পরিকল্পনাটি কিভাবে বাস্তবায়ন করা যায় এজন্য ব্রিটেনের ৯ টি স্কুলকে বেছে নিয়ে এসব স্কুলের অংক বিভাগের শিকদেরকে সহজ ও সুন্দর আইটি নির্ভর পদ্বতি উদ্ভাবনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। গণিত শিকরা টেকনোলজি নির্ভর নানা ফর্মুলা ও কলাকৌশল উদ্ভাবন করে শিা মন্ত্রণালয়ে উপস্থাপন করেন। অংশগ্রহনকারী ৯টি বিদ্যালয়ের গণিত শিকদের মধ্যে পূর্ব লন্ডনের কিংসফোর্ড সেকেন্ডারি স্কুলের শিক শোয়েবুর রহমান অন্যতম একজন । তিনি বাংলাদেশী বংশদ্ভুত বৃটিশ নাগরিক সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার কৃতিসন্তান। তার উদ্ভাবিত গণিত শেখানোর টেকনোলজি নির্ভর সহজ পদ্বতিটি বৃটেনের শিা মন্ত্রণালয়ে সমাদৃত হয়েছে। বৃটিশ সরকারের শিা মন্ত্রনালয়ের এ মহাপরিকল্পনাটি বাস্তবায়নে বাংলাদেশী গণিত শিকের কৃতিত্ব সারা বিশ্বে বাংলাদেশের গৌরভ ও সুনাম বৃদ্বি করেছে। সুয়েবুর রহমানের সাফল্যের এ খবরটি গত ১২ ডিসেম্বর দৈনিক যুগান্তরে নিউজ হিসেবে এবং পরের দিন যুগান্তরের সম্পাদকীয় কলামে গুরুত্বের সাথে ছাপা হয়েছে। গত ৯ ডিসেম্বর ২০১১ শুক্রবার খোদ ব্রিটিশ শিামন্ত্রী মাইকেল গর্ভ এমপি ছুটে আসেন পূর্ব লন্ডনের কিংসফোর্ড সেকেন্ডারি স্কুলে। মন্ত্রী উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক জোয়ান ডেসল্যান্ডেস ও গণিত বিভাগের প্রধান সুয়েবুর রহমানকে নিয়ে। তারা শোয়েবের আবিষ্কৃত পদ্ধতি নিয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা করেন। শিামন্ত্রী নিজে শোয়েবুর রহমানের প্রতিটি কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেন ও নোট লিখেন এবং বারবার তাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, অংক শিায় অনাগ্রহী শিার্থীরা এ সহজ এবং চিত্তাকর্ষক পদ্ধতিতে কাসে আরও আগ্রহী হয়ে অংক শিা গ্রহণ করবে। ডিজিটাল মেথর্ডস প্রকল্পটি সব ছাত্রছাত্রীকে আরও উৎসাহিত করবে এ শিায় ভালো ফল করতে।
শোয়েবুর রহমান সিলেট জেলার কানাইঘাট উপজেলার বায়মপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম ড:সাজ্জাদুর রহমান ও মাতা জাহানার বেগম রেবা। ছোট বেলায় বায়মপুর মক্তব ও বায়মপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেন। তারপর কানাইঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। ১৯৮৭ সালে লন্ডন এসে জিসিএসই এ-লেভেল করেন। তিনি লন্ডন ইউনিভার্সিটি থেকে অংকে অনার্স এবং মাস্টার্স করেন। শিকতা পেশায় যোগ দেয়ার আগে তিনি পিজিসি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। ১৯৯৭ সালে গণিত শিক হিসেবে যোগ দেন বামটন মেনার সেকেন্ডারি স্কুলে । টানা দশ বছর ছাত্রছাত্রীদেরকে সেখানে গণিত শিা দেন । পরে গণিতের বিভাগীয় প্রধান হয়ে ২০০৫ সালে যোগদান করেন পূর্ব লন্ডনের কিংসফোর্ড সেকেন্ডারি স্কুলে । আর এ স্কুল থেকেই তার সাফল্যের শতকলা পুর্ণ হল। শিকতা ছাড়াও অংক নিয়ে তার অনেক গবেষণামূলক কাজ রয়েছে। আমরা আশাবাদী শোয়েবুর রহমান ভবিষতে তার পেশায় আরো সাফল্য অর্জন করে বাংলা ভাষাভাষী মানুষের সুনাম বৃদ্বি করবেন।
লেখকঃ- সাংবাদিক ও শিার্থী, সদস্যঃ কানাইঘাট প্রেস কাব।
মোবাঃ ০১৭২৭৬৬৭৭২০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





