যখন ভীষণ অন্ধকার; নৈঃশব্দ্য যখন তোমাকে, আমাকে ভালোবেসে লুকিয়েছে মুখচোরা কোন এক অলস শামুকের মতো, তখন তুমি ঠিক কোথায়? আজো আমি অন্ধকারে তাকিয়ে থাকি।
আজো আমার চোখে জল আসে। আজো আমি প্রতীক্ষায় থাকি তোমার ফিরে আসার। প্রত্যাশা আমার আজো অপূর্ণ। অঞ্জলি দিয়ে যাই প্রতিদিন। ভাগ্যদেবী হয়তো কোনোদিন আমার প্রসাদের পাত্র পূর্ন করে দেবেন- সেই আশায় নিজের মনকে ভুলিয়ে রাখি আজো।
না, আর হবে না। জানি, আবার কখনো সেসব দিন ফিরে আসবে না। আবার কখনো আমি আর তুমি হাঁটবো না সেই পুরোনো রাস্তায়। আবার কখনো হা-হা, হো-হো করে বোকার মতো হেসে উঠবো না অকারণে। কখনো ফিরে যাবো না সেই পুরোনো রাস্তায়। রিকশা ভাড়া করেও আবার ঘোরা হবে না এক কি দুই ঘন্টার জন্যে।
নাহয় চোখের জলের মুক্তোগুলো দিয়ে মালা গাঁথা হলো না। নাহয় আজ দুজনেরই সময়ের বড় অভাব। নাহয় আজ দুজনই হাঁটছি দুই ভিন্ন ছায়াপথে। তাই বলে কি তুমি জানবে না? তাই বলে তুমি কি বুঝবে না? আজো আমি বসে আছি এক বুক তৃষ্ণা নিয়ে-সেই পুরোনো পথে-সেই পুরোনো তোমারি জন্যে।
এক পশলা বৃষ্টিই কি ছিলে তুমি আমার জীবনে? নাকি ছিলে এক ঝলক দখিনা হাওয়া? নাকি কোনো এক ঘাসের বুকে জমে থাকা এক টুকরো শিশির?
অতো হিসেব কষে ভালোবাসিনি। তাইতো বুঝিনি, তুমি চলে যাবে। মনে কি পড়ে তোমার সেই আইসক্রীম খাওয়া? সেই বৃষ্টিতে ভেজা? একসাথে ক্লাশ ফাঁকি দেয়া? স্যারের বকা খাওয়া? সাগর খুঁজতে গিয়ে পথ হারিয়ে ফেলা? আবার সাগরের দেখা পেয়ে খুঁশিতে লাফ দেয়া? মনে কি পড়ে তোমার সেসব দিনের কথা?
তোমার আমার চলার পথে আজ অজস্র ঝরা পাতা। এন্টার্কটিকার জমাট বরফও আজ গলে যায় সেই আইসক্রীমের মতো। শুধু আমরাই চলতে থাকি অজানা ভবিষ্যতের দিকে। শুধু আমরাই সম্পর্কের শীতলতা ঘুঁচিয়ে হয়ে উঠতে পারি না একে অন্যের পরিপূরক।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:১৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




