somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কেমন হবে হ্যান্ডশেক? :):):P:P জানেন কি?

২৯ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে একজন মানুষের মনোভাব, পেশাদারিত্ব, বিশ্বাসযোগ্যতা এবং আত্দবিশ্বাস সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

নমনীয় হ্যান্ডশেক আপনার সম্পর্কে এমন ধারণা জন্ম দিতে পারে যে, আপনি দুর্বলচিত্তের কিংবা সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা একজন মানুষ। আবার দৃঢ় হ্যান্ডশেকে পেঁৗছায় বিশ্বাস, নির্ভরতা, আগ্রহ এবং শ্রদ্ধার বার্তা। তাই হ্যান্ডশেক করার সময় কিছু আদব-কায়দা মেনে চলা উচিত।
হ্যান্ডশেক কখন করবেন?

পরিচিত কারো সঙ্গে দেখা হলে।
বাসা বা অফিসে প্রথম এসেছেন এমন কেউ হলে।
নতুন সহকর্মী, আমন্ত্রণকারী অথবা অন্য যে কারো সঙ্গে প্রথমবার পরিচিত হলে।
পরিচিত কারো সঙ্গে কর্মস্থল বা বাড়ির বাইরে দেখা হলে।
বিশেষ কোনো কাজ শেষে।
কোনো সামাজিক বা ব্যবসায়িক অনুষ্ঠান শেষে।

হ্যান্ডশেকের নিয়মাবলি

ডান হাত ব্যবহার করুন। শক্তভাবে হাত মেলানোর প্রয়োজন নেই। বয়স্কদের সঙ্গে হাত মেলানোর সময় সতর্ক থাকুন। হ্যান্ডশেকের সময় হাত বাড়িয়ে দিন। অপরের হাতটি ভালোভাবে ধরুন যাতে দুই জনের বুড়ো আঙুল ঠিকমতো পরস্পরকে স্পর্শ করে। হাত ঝাঁকাবেন উপরে-নিচে। ঝাঁকুনি শুরু হবে কনুই থেকে, কাঁধ থেকে নয়। ঝাঁকুনি দিন দুই থেকে তিনবার। হ্যান্ডশেকের সময় অপরের চোখের দিকে তাকিয়ে একটু হাসুন। এতে আপনার যে অপরপক্ষের প্রতি মনোযোগ আছে তা প্রকাশ পাবে।
হ্যান্ডশেক হতে হবে স্বল্পস্থায়ী। মোটামুটি পাঁচ সেকেন্ড স্থায়ী। যাতে দুই জনেই দুই জনের নাম এবং সম্ভাষণের দু-একটি বাক্য পুরোপুরি বলে শেষ করতে পারেন।
হ্যান্ডশেক অনুশীলন করার সময় কিছু বিষয় পরিহার করা উচিত। যেমন শুধু আঙুলের মাথার দিকে আকড়ে ধরা, হাত অতিরিক্ত ঝাঁকানো, হাত মোচড়ানো।
হাতটি ঝুলিয়ে বা কনুই সোজা করে হ্যান্ডশেক করা, অন্যদিকে মুখ করে কারো সঙ্গে হ্যান্ডশেক।

হ্যান্ডশেকের সৌজন্যরীতি

কারো সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সময় দাঁড়ানোর চেষ্টা করবেন। তবে আপনি যার সঙ্গে পরিচিত হচ্ছেন যদি তার থেকে দূরে থাকেন বা ওই লোকটির সঙ্গে দাঁড়িয়ে হ্যান্ডশেক করতে সমস্যা হয়, তবে দাঁড়ানোর প্রয়োজন নেই।
যদি কোনো নেইম ট্যাগ পরে থাকেন তবে তা ডানকাঁধে পরবেন কারণ হ্যান্ডশেকের সময় লোকজন ডানকাঁধে তাকায়।
৫টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×