somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অব্যক্ত আর্তনাদ

০৮ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কিছুই বুঝতে পারছি না, হঠাৎ করে পুরনো স্মৃতিগুলো সব একসাথে মাথায় ভীড় করছে কেনো? না চাইলেও চোখের সামনে হাজির হয়ে যাচ্ছে পুরনো দিনের সেই ছবি গুলো। এই মুহূর্তে আমার যেই মানুষটার কথা সবচেয়ে বেশি মনে পরছে তিনি হচ্ছেন আমার বাবা। আমার মস্তিষ্কে মায়ের কোন স্মৃতিই নেই। আমাকে জন্ম দিয়েই তিনি এই পৃথিবী ত্যাগ করেছেন। এতোটা কাল বাবাই ছিলেন আমার মা। আমার দিকে তাকিয়ে বিয়েটা আর করা হয়নি উনার। শত অভাবের মাঝেও কষ্টকে কখনো আমাকে স্পর্শ করতে দেননি। মফঃস্বলের ছোট্ট একটা দর্জির দোকানের আয় দিয়ে উনার মেয়ের যাবতীয় আবদার পুরন করেছেন। যেই মানুষটা আমার জীবনের এত কিছুর সাথে জড়িত ছিলেন সেই মানুষটা কিছুদিন আগে বেরসিকের মত এই দুনিয়া ছেড়ে চলে গেলেন। বেচারার বড্ড ইচ্ছা ছিল নিজ হাতে আমাকে কোন রাজপুত্রের হাতে তুলে দিবেন। কিন্তু রিয়াজকে পছন্দ করে আমি তার স্বপ্নে আঘাত করেছিলাম। তবুও মেয়ের পছন্দের দিকে তাকিয়ে নিজের অপছন্দকে কোরবানি দিয়ে রিয়াজকে মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও বিধাতা তাকে অতি আদরের কন্যার বিয়েটা দেখে যাবার সুযোগ দেননি।

রিয়াজের কথাটা শুনলে আজকে হয়তো এই অবস্থার মধ্যে পরতে হতনা। রিয়াজ...আমার এই পৃথিবীতে সবচেয়ে ভাল লাগার মানুষ। ছোট কাল থেকেই একই এলাকায় থাকার দরুন একসাথে বড় হয়েছি। দুজন দুজনকে প্রচণ্ড ভালোবাসি, অথচ কখনো মুখ ফুটে সেটা বলা হয়নি। আসলে কখনো সেটা বলতেও হয়নি,আমাদের মনই সেটা বুঝে নিয়েছে। বড্ড ছেলেমানুষ এই রিয়াজটা। বাবার মৃত্যুর পরে ও একেবারে উঠে পরে লেগেছিল বিয়ের জন্য। এমনিতে রোবটিক টাইপের হলেও আমার সাথেই তার যত অভিমান। ওর অভিমান গুলো যে কি পরিমান ভালবাসি সে কখনো জানতেও পারলো না। বাবা মায়ের সাথে বহু যুদ্ধের পরে গত বছরের ২৬শে এপ্রিল দস্যিটা আমাকে বিয়ে করেই ফেলল। ওকে আমি প্রচণ্ড ভালবাসি এটা ঠিক... কিন্তু নিজের জীবনসঙ্গী হিসেবে পাওয়ার খুব একটা আশা করিনি। আমি হচ্ছি সমাজের অচ্ছুৎ সম্প্রদায়ের...গরীব বাবার উজ্জ্বল কৃষ্ণবর্ণের দায়গ্রস্ত কন্যা। রিয়াজকে পাবো না ভেবেও কখনো ওকে ছেড়ে যেতে পারি নি। হ্যাঁ... বলতে পারেন আমি খুব লোভী, রিয়াজের ভালবাসার লোভে আমি লোভী।

মানুষটার প্রতিটা দিনের অমানুষিক কষ্টগুলো দেখে খুব মায়া লাগতো। তাই অনেকটা জোর করেই ওর ইচ্ছার বিরুদ্ধে সাভারের একটা গার্মেন্টস কোম্পানিতে চাকরি নিলাম। বাবার কাছ থেকে সেলাইটা ভালই শিখেছিলাম। তাই এমব্রয়ডারি ইনচার্জের চাকরীটা পেতে খুব একটা কষ্ট হয়নি।কোথায় জানি পড়েছিলাম স্বামীর কথার বাইরে গেলে অমঙ্গল হয়। তাই চাকরিটা নিয়ে কখনো মনে শান্তি পাইনি। কিন্তু এছাড়া আর উপায়ও ছিল না। রিয়াজ হাজার কষ্ট হলেও আমাকে মুখ ফুটে কিছুই বলতো না। তাছাড়া দুমাস আগে যখন কনসিভ করলাম, তখন সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই চাকরিটা নিতে হয়েছিল। আমার সন্তান হবে শুনে ও যেন আরও অবুঝ হয়ে গেল। আমাকে নিয়ে তার চিন্তার শেষ নেই। অনাগত সন্তান নিয়ে তার স্বপ্নের শেষ নেই। আমি প্রেগন্যান্ট হয়েছি ২মাস হয়েছে, বেচারা এখনি আমার পেটে মাথা রেখে বাবুর হার্টের শব্দ শুনতে চায়। সব পুরুষই প্রথম সন্তান হিসেবে ছেলে চাইলেও রিয়াজের পছন্দ মেয়ে। তাইতো আমাকে কিউট একটা মেয়ে পুতুল কিনে দিয়েছে। বাচ্চার একটা নামও ঠিক করে ফেলেছে।

আজকে বুধবার... হরতালের মধ্যেও অফিস কামাই করার উপায় নাই। পরশুদিন আমাদের প্রথম ম্যারেজডে। রিয়াজ খুব রোমান্টিক হলেও এসব দিনক্ষন কিছুতেই মন রাখতে পারে না।ছোটো বেলা থেকেই রিয়াজের টিশার্টের প্রতি অন্যরকম দুর্বলতা, আর লাল রঙের হলেতো কথাই নেই। এবার ভেবেছিলাম ওকে লাল টিশার্ট দিয়ে চমকে দিবো। আমাদের গার্মেন্টসের রফিক ভাইকে বলেও রেখেছিলাম। তিনি বললেন আজকেই আমাদের ক্লদিং স্টোর থেকে যোগাড় করে দেবেন। অথচ রিয়াজ কিনা আজকেই আমাকে অফিস যেতে না করলো। এরকম কখনো সে অনুরোধ করে না। কিন্তু এই অনুরোধ রাখতে ইচ্ছা করছিল না। ওকে সারপ্রাইজ দেবার সুযোগটা আমি কোনভাবেই হারাতে চাইনা। কিন্তু রিয়াজের কথা না শুনাতে মনটা কেমন যেন খচখচ করছিল। আগেও দেখেছি ওর কথা না শুনলে কোন না কোন বিপদে পরি। কিন্তু অফিসে গিয়েই মেজাজটা খিচড়ে গেলো, রফিক ভাই লালের বদলে সাদা টিশার্ট দিয়ে গেলেন। মেজাজের সাথে সাথে শরীরটাও খারাপ লাগছিলো। এর মধ্যে শুনলাম গতকাল নাকি আমাদের অফিস বিল্ডিয়ের কোথায় যেন ফাটল দেখা দিয়েছে। সবমিলিয়ে অফিস করার ইচ্ছাও ছিল না। কিন্তু ছুটি চাইতেই রফিক ভাই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে বাজে একটা গালি দিলেন। রফিক ভাইয়ের এমন ব্যবহারে আমার মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পরল। আমি মাথায় হাত দিয়ে ঝিম মেরে বসে পরলাম। তখনো আমি জানতামনা সত্যিকারের আকাশটাই আমার মাথায় নেমে আসছে। হঠাৎ করেই প্রচণ্ড শব্দের সাথে সাথে সমস্ত বিল্ডিঙটা কেঁপে উঠতে লাগলো, আর সমস্ত আকাশটা যেন নেমে আসতে লাগলো আমার মাথার উপর...

আচ্ছা, আজকে আমার এতো সব মনে পরছে কেন ? কেমন যেন ভয় ভয়ও লাগছে। রিয়াজের কথা খুব করে মনে পরছে। এখন খুব আফসোস হচ্ছে রিয়াজের কথাটা কেন শুনলাম না। কোমরের উপরে যেন পুরো পৃথিবীটা চেপে বসেছে,এক চুল পরিমান নড়া যাচ্ছে না। অসম্ভব যন্ত্রণায় মরে যাচ্ছি কিন্তু কোন চিৎকার করতে পারছি না, চোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে যাচ্ছে। বিল্ডিয়ের ছাদ ভেঙ্গে পরবার আগেই সিঁড়ির কাছে পৌঁছে গিয়েছিলাম, কিন্তু বিধাতার হিসাব বোধ হয় ভিন্ন ছিল, ব্রিজ পিলারটা ঠিক নেমে আসলো আমার কোমর বরাবর। প্রথমে তীব্র ব্যথায় দুনিয়াটা অন্ধকার হয়ে এলেও এখন কোমরের নিচটা পুরোটা অবশ হয়ে গেছে। আচ্ছা কোমরের নিচটা এমন চটচটে হয়ে আছে কেন? আস্তে আস্তে চটচটে ভাবটা বাড়ছে। দূরে মানুষের চিৎকার, আহাজারি আর কান্না শুনা যাচ্ছে, সব মিলিয়ে হৃদয়বিদারক পরিবেশ। হঠাৎ দূরে কোথাও একটা ঢাকনা খুলে গেল, আর সাথে সাথে কিছু আলোর দেখা পেলাম। অল্প অল্প বাতাস ঢুকাতেই বোধ হয় কিছুটা শ্বাসকষ্ট কমে এলো। এতো কিছুর পরেও রিয়াজের টিশার্টের ব্যাগটা হাত থেকে ছাড়িনি। কিন্তু শার্টটা লাল কেন ? রফিক ভাইতো আমাকে সাদা শার্টই দিয়েছেন। নাকি লাল শার্ট দিয়ে আমাকে রাগানোর জন্য সাদা শার্ট বলেছেন। ভালই হল রিয়াজের চমকে যাওয়া মুখটা অনেকদিন পর দেখা যাবে। কিন্তু শার্টটা এমন চটচটে হয়ে আছে কেন ? একটু আলোতে ধরতেই ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়ে গেল। রক্তে ভিজে সাদা শার্টটা লাল হয়ে গেছে। আমি এমনি গাধা রক্তে যে আমার কামিজ একটু একটু করে ভিজে যাচ্ছে সেটা এতক্ষন টের পাইনি। আর খোলা পৃথিবীর মুখ দেখতে পাবো কিনা জানি না। আমি বেঁচে না থাকলেও রিয়াজ হয়তো এই লাল শার্ট খুঁজে পাবে। বেচারা খুব অভিমানী ছেলে। এই শার্ট দেখে নিশ্চয় খুব অভিমান করবে। ওর অভিমান ভাঙ্গা খুব সোজা। মাথার চুলগুলোয় একটু বিলি কাটলেই সব অভিমান পানি হয়ে যায়। আমি কনসিভ করার দুদিন আগে ওর সাথে খুব করে ঝগড়া করেছিলাম। দুদিন দুজনের মুখ দেখাদেখি পুরোপুরি বন্ধ। কিন্তু কনসিভ করার কথা শুনে আমাকে জড়িয়ে ধরে বাচ্চাদের মত ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগলো। পুরুষ মানুষকে এভাবে কাঁদতে দেখিনি।

৮ ঘণ্টা পার হয়ে গেল। একটু মিটমিটে আলো আর কিছু আর্তনাদের শব্দ পেলেও কেউ আমাকে উদ্ধার করতে আসেনি। আমার পাজামাটাও রক্তে ভিজে চটচটে হয়ে গেছে। গলাটা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। আজগুবি আজগুবি সব চিন্তা করে করে সময়টা কেটে গেছে। কারো সাথে কথা বলতে খুব ইচ্ছা করছে। একটা গর্তের মাঝে ইঁদুর আর লালচে পিচ্চি বাচ্চাটাকে দেখে এতো দুঃখের মাঝেও খুব হাসি পেল। কিন্তু পরক্ষনেই গলা ছেড়ে কাঁদতে ইচ্ছা হল। আমার অনাগত সোনামণিটাকে আর বোধহয় পৃথিবীটার আলো দেখাতে পারলাম না। রিয়াজের কথা না শুনে ওরই ‘লিটল এঞ্জেল’ কে নিজ হাতে খুন করলাম। জানি রিয়াজ এই জন্য আমাকে কখনই ক্ষমা করবে না। গত কয়েকদিনে সোনামনিটার সাথে একা একা কতো হাজারবার যে কথা বলেছি। সোনামণিটা আমার পেটে এসেছে মাত্র ৮ সপ্তাহ হলো, এতো দিনে নিশ্চয় চোখ, কান গলা তৈরি হতে শুরু করেছে। কোমরের উপর ভাঙ্গা দেয়াল থাকায় তলপেটের উপর প্রচণ্ড চাপ পরছে।আমার সোনামণিটার নিশ্চয় খুব কষ্ট হচ্ছে। নিজের উপর খুব অভিমান লাগছে।

১১ঘণ্টা পারহয়ে গেল, রিয়াজের শখ করে কেনা ঘড়িটা অন্তত তাই বলছে। আমাকে যে উদ্ধারকারীরা খুঁজে পাবে না এটা নিশ্চিত হয়ে গেছি। শরীরের সব রক্ত বোধহয় বেরিয়ে গেছে,আর এক ফোটাও শক্তি পাচ্ছি না। কেমন যেন সব এলোমেলো লাগছে। ঘোরের মধ্যে দেখতে পেলাম বাবাকে। দেখতে পেলাম, পরনে সাদা পাঞ্জাবি আর ইয়া লম্বা সাদা দাড়ি। হঠাৎ দেখি বাবার পাশে লাল শাড়ি পরা বাচ্চা কোলে একজন মহিলা। আচ্ছা এটাই কি আমার মা ? উনারা আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসছেন কেন ? কোলের বাচ্চাটা আমার দিকে তাকিয়ে মা মা বলে ডাকছে কেন ? এটাই কি আমার আর রিয়াজের সোনামণিটা ? সোনামণিকে এতো মায়া লাগছে কেন ? খুব ইচ্ছা করছে গাল চেপে একটু আদর করি, একটু বুকে জড়িয়ে ধরি। আচ্ছা আমি এসব কি দেখছি? আমি কি তাহলে মারা যাচ্ছি? শুনেছি মৃত্যুর আগে মৃত প্রিয় মানুষেরা দেখা দেয়। এতক্ষন আমার ভয় লাগেনি। এখন কেমন যেন গাটা ছমছম করছে। আমার একটুও মরতে ইচ্ছা করছে না। আমি বাঁচতে চাই আমার এঞ্জেলের জন্য,আমি আবার রিয়াজকে দেখতে চাই লাল টিশার্টে।

পুরো শরীরটা অসাঢ় হয়ে আসছে। পানির পিপাসাটা ভয়াবহ রুপ ধারন করেছে। মনে হচ্ছে কেউ যদি এক ফোঁটা পানি দিত তাকে আমি ১ লক্ষ টাকা দিয়ে দিতাম। চোখের সামনে সব কিছু ঘোলা থেকে আস্তে আস্তে সব সাদা হয়ে গেল। এরপর আর কিছু মনে নেই। মনে হল বহুযুগ পরে মানুষের কোলাহল শুনতে পেলাম সাথে ড্রিলমেশিনের গুমগুম গুমগুম শব্দ। কে যেন আমার চোখের পাতা দুটো বন্ধ করে দিয়ে গেল। আরেকজন ঢেকে দিয়ে গেল ধবধবে সাদা চাদর দিয়ে। আচ্ছা আমি কি তাহলে মরেই গেলাম? আচ্ছা রিয়াজ কি এতো লাশের মাঝে আমাকে খুঁজে পাবে? ও শখ করে যে ম্যাজেন্টা হিজাবটা কিনে দিয়েছিল সেটা দেখে নিশ্চয় আমাকে চিনে নিবে।

২৬শে এপ্রিল দুপুর ২টা। এখন আমি আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্সে। মানুষের ভাগ্য বড়ই অদ্ভুত। গত বছরের এই দিনটাতেই আমি রিয়াজের হয়েছিলাম। রিয়াজ বলতো আমাকে নাকি নীল শাড়িতে খুব মানায়। ভেবে রেখেছিলাম আজকে নীলরঙের শাড়ি পরে রিয়াজকে লাল টি শার্টটা গিফট দিবো। কিন্তু বিধাতা সেই সুযোগ আর দিলেন না। আমি এখন নীল শাড়ির বদলে পরে আছি কাফনের কাপড়ে বানানো সাদা শাড়ি, সেই শাড়ির জমিনে লেগে আছে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ। রিয়াজ... তোমার সাথে আর দেখা হবে কিনা জানি না। আমি চলে যাচ্ছি অজানার উদ্দেশ্যে, সাথে তোমার অনাগত সন্তান ‘লিটল এঞ্জেল’কে নিয়ে। খুব খারাপ লাগছে তোমার জন্য, প্রথম সন্তানের মুখটা আর দেখতে পারলে না। তুমি কিন্তু একটুও অভিমান করবে না। আমার অপেক্ষায় অভিমান করে ভাত সামনে নিয়ে বসে থেকো না। আর পারলে আমাকে ক্ষমা করে দিও...
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পরিণতি - ৩য় পর্ব (একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস)

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:২৮



( পরিণতি ৬১ পর্বে'র একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস ।)

তিন


আচানক ঘুম ভেঙ্গে গেলো ।

চোখ খুলে প্রথমে বুঝতে পারলাম না কোথায় আছি । আবছা আলোয় মশারির বাহিরে চারপাশটা অপরিচিত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইফতার পার্টি মানে খাবারের বিপুল অপচয়

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৩



গতকাল সরকারি ছুটির দিন ছিলো।
সারাদিন রাস্তাঘাট মোটামুটি ফাকাই ছিলো। ভাবলাম, আজ আরাম করে মেট্রোরেলে যাতায়াত করা যাবে। হায় কপাল! মেট্রো স্টেশনে গিয়ে দেখি গজব ভীড়! এত ভিড়... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×