দেশের প্রবীণ ও প্রতিথযশা সাংবাদিক এবিএম মূসা আর নেই। আজ দুপুরে তিনি ল্যাব এইড হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তার মৃত্যুতে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক প্রকাশ করেছেন। সোমবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রাতে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে মধ্যরাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়।
একুশে পদক পাওয়া এবিএম মূসার সাংবাদিকতায় বর্ণময় অভিজ্ঞতা রয়েছে। এ পেশায় তিনি সক্রিয়ভাবে ৬০ বছর কাজ করেছেন। ১৯৩১ সালে ফেনীতে জন্মগ্রহণ করেন এবিএম মূসা। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। মাত্র ১৯ বছর বয়সে দৈনিক ইনসাফের মাধ্যমে সাংবাদিকতায় আসেন। এরপর যোগ দেন পাকিস্তান অবজারভারে। পরে সংবাদ হয়ে আবার অবজারভারে যান। তিনি পত্রিকাটির বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় বিবিসি, সানডে টাইমসসহ কয়েকটি পত্রিকার সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেছেন। স্বাধীনতার পর বিটিভি’র মহাব্যবস্থাপক ও মর্নিং নিউজের সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন মূসা। ১৯৮১ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এবং ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার মহাব্যবস্থাপক ও প্রধান সম্পাদক ছিলেন তিনি। ২০০৪ সালে দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। যুগান্তর ছাড়ার পর থেকে তিনি পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লিখতেন এবং টেলিভিশন আলোচনায় অংশ নিতেন। সাম্প্রতিক সময়ে তার কিছু সাহসী বক্তব্য বেশ সাড়া ফেলে। একজন সাংবাদিক হয়েও সর্বমহলে তিনি শ্রদ্ধা ও ভালবাসা কুড়াতে সমর্থ হন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




