বিকেলে ৪ টায় শাওনের ফোন পাওয়ার পর থেকেই মনটা খুব খারাপ হয়ে আছে। কোন কাজেই মন দিতে পারছি না। শাওন ফোন করে জানালো বাড়ীওয়ালী আমাদের আগামী মাসে বাসা ছেড়ে দিতে বলেছে। বর্তমানে যে বাসাটি থাকি এখানে ৯ বছর হলো আছি। লোকেশন ধানমন্ডি শংকর পার্টি সেন্টারের পেছনে আরমান খান গলি নামে পরিচিত। বলতে গেলে এই এলাকার মায়ায় পড়ে গেছি। বাসা পরিবর্তনের চিন্তাও করি নাই। বাসায় আমরা ৬ জন থাকি। বাসায় ২টি রুম বড় একটি সিঙ্গেল রুম, ছোট একটি ড্রইং স্পেস আছে সেখানে একজন থাকে। দু’টি বাথরুম, একটি বেলকনী ছোট্ট একটি কিচেন। ভাড়া ১৮ হাজার টাকা এবং বিদ্যুৎ বিল, পানি বিল, গ্যাস বিল ও দারোয়ানের বিল সহ আরো প্রায় ৪ হাজারের মতো অতিরিক্ত দিতে হয়। বাসার তুলনায় ভাড়া অনেক বেশী। ৬ তলা পুরো বাড়ীতে বাড়ীওয়ালা ছাড়া আর সব ব্যাচেলরদের জন্য ভাড়া দেওয়া হয়েছে।
গত ২ মাস ধরেই বাসায় শুনতেছি অন্যান্য ফ্ল্যাটে যারা ৪/৫ বছর ধরে থাকছে সবাইকে নাকি বাসা ছেড়ে দেওয়ার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তখন থেকেই টেনশনে ছিলাম আমাদের না আবার কখন মানা করে দেয়। আমাদের কাজের খালার কাছে জানতে পারলাম গণহারে বাসা খালি করার নোটিশের আসল কারন। কারন হলো পুরাতন ভাড়াটিয়া সবাইকে বের করে দিয়ে একটি প্রাইভেট মেডিকেলের বিদেশী ছাত্রদের জন্য বেশী ভাড়ায় ফ্ল্যাট ভাড়া দেওয়া।
অফিস শেষ করে রাতে বাসায় প্রবেশের আগে বাড়ীওয়ালার বাসায় নক করলাম বাড়ী ছেড়ে দেওয়ার কারণ জানার জন্য। বাড়ীওয়ালী বললো আমরা নাকি অনেক মানুষ থাকি, আমাদের অনেক গেস্ট আসে এবং আমরা অনেক বছর ধরে আছি তাই বাসা ছেড়ে দিতে হবে। মেজজাটা এত খারাপ ছিল যে ইচ্ছা হচ্ছিল বাড়ীওয়ালী মহিলাকে কিছু বলতে। কিন্তু মহিলা অনেক খারাপ। ভাড়াটিয়াদের সাথে গালাগালি করে। এই জন্য তার সাথে বেশী কিছু না বলে বাসায় চলে গেছি।
তারপর থেকেই বাসা পরিবর্তন ও নতুন বাসা পাওয়ার চিন্তায় কোন কাজে মন দিতে পারছি না। সত্যিই খুব অসহায় লাগছে।
কোন কারণ ছাড়া এই ভাবে কি বাসা ছেড়ে দিতে বলা সত্যি মানতে খুব কস্ট হচ্ছে। খুব অসহায় লাগছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




