হাজী সেলিমের কাছে হারায় দলে তার কদর কমতে থাকল। আর এরই মধ্যে উত্থান ঘটল ছাত্রদল সভাপতি নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টুর। ২০০১ এর নির্বাচনে মীর শওকত এর পরিবর্তে মনোনয়ন পেয়েছেন এই পিন্টু। চরম ক্ষোভ আর অপমানে মীর শওকত রাজনীতি থেকে দূরে হাটতে থাকেন। সখ্য গড়ে তোলেন পুরানো বন্ধু বি. চৌধুরির সাথে। কিন্তু তার দলে যোগ দেননি। কর্নেল অলি, ব্যারিস্টার রাজ্জাক আলী গং দের সাথে ছিল নিয়মিত যোগাযোগ। বিএনপির পুরো ৫ বছর ছিলেন অনেকটা নিরব। মাঝে মাঝে টিভিতে দেখা যেত। তাতে সরকার বিরোধী সমালোচনা করতেই বেশী আনন্দ পেতেন তিনি।
অবশেষে এলো মইন - ফকির সরকার। আর উত্থান হলো এই জেনারেলের ও। এমন কোন দিন ছিলনা যেদিন মীর শওকতকে টিভিতে দেখা যেতনা। বিভিন্ন বিশ্লেষনধর্মী কথা বলতেন। নিজের অভিজ্ঞতা বলতেন। কিছুদিন বিএনপির অফিসেও গিয়েছেন। কিন্তু মেজর আক্তারুজ্জামানের মতো তিনিও সুবিধা করতে পারেননি।
এবার তিনি গেলেন ভিন্ন পথে। ভিন্নভাবে নেতা হওয়ার খায়েশ পেয়ে বশে তাকে। এবার টার্গেট ইন্ডিয়ান রুপিতে পরিচালিত সেক্টর কমান্ডার ফোরাম। এই ফোরামের প্রতিটি অনুষ্ঠানে তিনি গরম গরম বক্তৃতা রেখে মাঠ গরম রাখতেন। বড় শখ ছিল বড় নেতা হওয়ার। কিন্তু এবার হতাশ। এখানেও কোন পদ পেলেন না। ইতোমধ্যে ব্যার্থ হয় মইন ফকির সরকার। ব্যার্থ হয় মীর শওকতের মিশনও। আবারো চুপশে গেলেন তিনি। মইন - ফকির সরকার পরিবর্তনের পরে তিনি আবার উদাও হলেন টিভি চ্যানেল থেকে। উদাও হলেন সেক্টরস্ কমান্ডার ফোরম থেকে। ঘৃনিত হলেন দেশপ্রেমিক মানুষের কাছে। নিন্দিত হলে তার দল বিএন পির কাছে।
তবুও প্রার্থনা আল্লাহ যেন তার সমস্থ অপরাধসমুহ ক্ষমা করে দেন।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:০৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




