অতিরিক্ত মদপান করে বন্ধুকে বলাত্কার করতে গিয়ে খুন হয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও ওয়াসার ঠিকাদার জিয়াউল ইসলাম রিপন। এ ঘটনায় বন্ধু রফিকুল ইসলাম আলীনূরকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গ্রেফতার করলে তিনি এ তথ্য দেন। গতকাল ডিবির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে গ্রেফতারকৃত আলীনূরকে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ডিবির ডিসি (দক্ষিণ) মনিরুল ইসলাম জানান, কলাবাগানে ঠিকাদার জিয়াউল ইসলাম নিহত হওয়ার পর বিষয়টি পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল গাজীপুরের টঙ্গীর মরকুন মধ্যপাড়া কুদ্দুছ খলিফা রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে আলীনূরকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে জিয়াউলের ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল (ঢাকা মেট্রো-হ- ২৫-১২৮৯) ও একটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। খোয়া যাওয়া অন্য মোবাইলটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
গ্রেফতারকৃত আলীনূর সাংবাদিকদের জানান, সে সরকারি তিতুমীর কলেজের বিবিএসের প্রথমবর্ষের অ্যাকাউন্টিংয়ের ছাত্র। ৬ মাস আগে তার সঙ্গে ঠিকাদার জিয়াউল আহসানের পরিচয় হয়। বয়সের অনেক তফাত্ থাকলেও সে ঠিকাদার জিয়াউল ইসলামের সঙ্গে একেবারেই ফ্রি ছিলেন। জিয়াউল ইসলামের ৫৯ কলাবাগানের বাসায় আলীনূর একাধিকবার যাতায়াত করেছেন। আলীনূর ছাড়াও ওই বাসায় জিয়াউল ইসলামের অনেক বন্ধু প্রায়ই তরুণীদের নিয়ে আসতেন। জিয়াউল ইসলামের বাসার ফ্রিজে সবসময় মদ থাকত। মদের আসরের পর সেখানে নানা ধরনের অপকর্ম হতো।
ঘটনার দিন তাকে নিয়ে জিয়াউল ধানমন্ডিতে যায় এবং সেখানে তারা মদপান করেন। রাত ১১টার দিকে তাকে নিয়ে জিয়াউল তার গ্রিনরোডে বাসায় আসে। সেখানে জিয়াউল তাকে আরও মদপানে বাধ্য করে বলাত্কার করার প্রস্তাব দেয়। সে তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে জিয়াউলের সঙ্গে ঝগড়া শুরু হয়। সে সময় রাগের মাথায় একটি হাতুড়ি দিয়ে জিয়াউলের মাথায় আঘাতের পর হাত-পা বেঁধে কাপড় দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। ভোরে সেখান থেকে বের হয়ে খিলগাঁওয়ের আসিফ নামের তার এক বন্ধু কাছে যায়। সেখান থেকে টঙ্গীর বাসায় চলে যায়।
প্রসঙ্গত, গত রোববার সকালে ৫৯, কলাবাগানের গ্রিনরোডের বাসার দ্বিতীয় তলা থেকে ওয়াসার ঠিকাদার জিয়াউল ইসলাম রিপনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত জিয়াউল ইসলাম ওয়াসার প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার ও স্থানীয় ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা ছিলেন।
Click This Link

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




