১। প্রস্তুতি
তিনটা ফরমেটেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লোকে সুন্দরবন যায়। ডে ট্রিপ, ২ দিন এক রাত, এবং ৩ দিন ২ রাত। এই তিনটা ফরমেটের বাইরে ১ দিন এক রাতের একটা ভ্রমন মনের মাঝে ভীষণ দাগ কেটে আছে। তার উপর সেটা ছিল সুন্দরবনে আমার প্রথম ট্রিপ।
ঘটনা’টা নব্বই দশকের, আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের। ছয় বন্ধু গাটছাড়া বাঁধলাম সুন্দরবন যাব। প্রধান উৎসাহদাতা খুলনায় বাড়ী এক বন্ধুর। খুলনায় নেমেই গেলাম জেলা বনরক্ষকের কার্যালয়ে সুন্দরবন যাওয়ার অনুমতি নিতে। অনুমতি নিতে হচ্ছে কারন আমরা কোন ট্যুর অপারেটরের মাধ্যমে যাচ্ছি না, নিজেরাই সব কিছু জোগাড় যন্ত্র করে যাচ্ছি। প্লান হল খুলনা থেকে সাতক্ষীরার পাইকগাছায় যাব, তারপর সেখান থেকে একটা ট্রলার ভাড়া করে সারাদিন সুন্দরবন ঘুরে সন্ধার মধ্যে ফিরে আসব। সরকারী অনুমতি নেয়ার আরেকটা ফায়দা হল এই অনুমতির সাথে মেলে একজন বনরক্ষীও। অনুমতি প্রসেস করতে যখন বনরক্ষকের কার্যালয়ের এক ডেস্ক থেকে আরেক ডেস্কে দৌড়াচ্ছি তখন আমাদের মত আরেকজন দর্শনার্থী যিনি এক কর্মকর্তার টেবিলের সামনের চেয়ারে বসে ছিলেন তিনি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষন করলেন। “তোমরা কি সুন্দরবন যাবে”? আমাদের হ্যাঁ সূচক উত্তরের পর উনি বললেন “অনুমতি নেয়ার দরকার নাই, আমার একটা লঞ্চ আছে সেটা দিয়ে তোমাদের ঘুরিয়ে আনব”। আমরা কিছুক্ষণের জন্য হতকচিয়ে গেলেও সামলে নিয়ে বললাম - ধন্যবাদ আপনার প্রস্তাবের জন্য, আমরা আমাদের ব্যবস্থা করে নেব। চলে যাবার আগে উনি আবার জানতে চাইলেন আমরা কবে যাচ্ছি। উত্তর শুনে বললেন “আচ্ছা, হয়ত দেখা হবে তোমাদের সাথে”। অনুমতি নেয়ার কাজ শেষ করে আমরা নিজেদের মধ্যে কথা বলছিলাম, কে উনি। আমাদের সাথে কোন পরিচয় নেই, কিন্তু সুন্দরবন ঘুরিয়ে আনার প্রস্তাব দিলেন।
২। যাত্রা
খুলনা থেকে কাক ডাকা ভোড়ে রওনা দিলাম সাতক্ষীরার পাইকগাছার উদ্দেশ্যে। শিবসা নদীর ঘাট থেকে নৌকা ভাড়া করে শুরু হল আমাদের মিশন টু সুন্দরবন। ট্রলার দিয়ে প্রথমেই গেলাম রেঞ্জ অফিসে সুন্দরবন যাওয়ার অনুমতিপত্র দেখিয়ে বনরক্ষীকে সাথে নেয়ার জন্য। বন্দুক হাতে খাকি পোষাক পরিহিত কাসেম ভাই এসে জয়েন করলেন আমাদের সাথে। বুকের মধ্যে নেইম ট্যাগ দেখে উনার নাম জানলাম তারপর জানা শুরু করলাম আজকের ট্রিপে উনার দ্বায়িত্ব সম্পর্কে। ট্রলারে উঠেই কাসেম ভাই বয়ান দেয়া শুরু করলেন। বিড়ি সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস আছে কারো? থাকলে এই নৌকায় খাইবেন, বনে খাইতে পারবেন না। বনের বেশী গভীরে যাওয়া যাইব না। গাছের ডাল-পালা ভাঙ্গা যাইব না। বনে নাইম্যা চিৎকার চেঁচামেচি করা যাইব না। যদি হরিন দেখতে পান, হরিনরে ডিস্টার্ব করা যাইব না। মনে মনে বলি ভাই একটু দম নেন। খালি না, না, আর না। ভাগ্যিস উনি বলে নাই “নৌকা ঘুরান সুন্দরবনে যাওয়া যাইব না”।
৩। কালো কোট
কাসেম ভাইয়ের কড়া নজরদারীর মধ্যে যথাসম্ভব বনে নেমে আমাদের মত করে হৈ হুল্লোড় করলাম। হরিনের পায়ের ছাপ অনুসরন করে হরিন দর্শনের ব্যার্থ চেষ্টা করলাম। গাছের ডালে উঠে বন্ধুরা ছবি তুললাম তবে সর্তক ছিলাম যাতে ডাল ভেঙ্গে না পড়ে। ভেঙ্গে পড়লে সর্বনাশ কাসেম ভাইয়ের বন্দুকের নল ঘুরে যাবে এই দিকেই তারপর “ঠুস”। এই হৈ চৈ’এর মধ্যে কখন যে দ্বিপ্রহর গড়িয়ে গেছে টের পাইনি। আবার নৌকায় উঠে আরেকটু গভীরে যাওরার জন্য যাত্রা শুরু করলাম। নদীতে অনেকগুলা নৌকা মাছ ধরার কাজে ব্যস্ত। এর মাঝ দিয়েই আমাদের ট্রলার ছুটছে পরবর্তী গন্তব্যে।
দূরে একটা লঞ্চ দেখে আমাদের দৃষ্টি গেল সেইদিকে। ভাবছি আমাদের মত কোন ভ্রমন পিয়াসী দল লঞ্চ দিয়ে বনভ্রমনে এসেছেন। অল্প কিছুক্ষণ পড়েই দেখি লঞ্চটা দিক পরিবর্তন করে আমাদের দিকে আসছে। আমরা কিছু ঠাওর করার আগেই কাসেম ভাই নৌকার মাঝিকে স্পিড বাড়িয়ে গতি পরিবর্তন করতে বললেন। খেয়াল করে দেখলাম সেই লঞ্চ থেকে হাত উচু করে কেউ একজন আমাদের কিছু বলার চেষ্টা করছেন। লঞ্চের গতির সাথে কি আর নৌকার গতি পেড়ে উঠে! লঞ্চটা আমাদের নাগালের মধ্যেই চলে আসল। দেখি লঞ্চের ডেকে কয়েকজন সঙ্গী সাথীকে নিয়ে বনরক্ষকের কার্যালয়ে দেখা সেই ভদ্রলোক- যিনি আমাদেরকে সুন্দরবন ঘুরিয়ে দেখানোর অফার দিয়েছিলেন। “কেমন আছো তোমরা? দেখা হয়ে গেল তাই না! এই ছোট নৌকায় কি আর সুন্দরবন দেখা যায়। আমার লঞ্চে উঠো তোমরা”। আমরা ভাবছি কি করব। কাসেম ভাই আড়চোখে আমাদের নিষেধ করছেন উনার অনুরোধে সাড়া না দিতে। কিন্তু ততক্ষণে লঞ্চ থেকে সিড়ি নেমে গেছে আমাদের নৌকায় আর উপর থেকে কালো কোট পড়া সেই ভদ্রলোকের উদ্দাত্ত আহ্বান লঞ্চে উঠার জন্য। এক এক করে সবাই উঠলাম, সবশেষে উঠলেন কাসেম ভাই। লঞ্চে উঠেই আমাদের আক্কেল গুরুম কালো কোট পড়া সেই ভদ্রলোকের সঙ্গী সাথীদের প্রত্যেকের হাতে বন্দুক। এদের বন্দুকের কাছে কাসেম ভাইয়ের বন্দুক’কে মনে হচ্ছে খেলনা বন্দুক। আমাদেরকে সহজ করে নেয়ার জন্য কালো কোট ব্যাখ্যা দিলেন এই বনে বাদারে কাজ করি তো তাই একটু সর্তকতা অবলম্বন করা। বুকের ভেতর প্রচন্ড ধরফড় করছে, গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। মূহুর্তের মধ্যে কি হয়ে গেল ভাবছি। এই কালো কোট পড়া ভদ্রলোকটা কে?
৪। গভীর থেকে গভীরে
“গভীর বনে না গেলে কি আর সুন্দরবন দেখার মজা পাওয়া যায়। এই জায়গাটায় ঘুরলে তো সুন্দরবন দেখা হবে না। চলেন আপনাদের আরো গভীরে নিয়ে যাই। কালো কোট বলে চলেছেন “দেখি একটা হরিন শিকার করতে পারি কিনা” । জ্ঞানীজনরা বলে গেছেন প্রচন্ড বিপদেও যদি ক্ষণিক আনন্দের সন্ধান পাও, উপভোগ করে নাও, বলা যায় না এটাই হয়তো তোমার জীবনের শেষ আনন্দ। এই ক্ষণিক আনন্দের সন্ধান পেতে সবাই বললাম চলেন যাই। আমাদের ডিঙ্গি নৌকা উনার লঞ্চের সাথে বেঁধে লঞ্চ রওনা হল অজানার দিকে। কাসেম ভাই উনার বন্দুক নিয়ে মলিন মুখে ডেকের পাটাতনে বসা। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস কিছুক্ষণ আগে যিনি আমাদেরকে হরিনকে বিরক্ত করতে নিষেধ করেছেন এখন উনি মুখে কুলুপ এঁটে সঙ্গী হয়ে যাচ্ছেন হরিন বধ করতে।
ঘন্টা দেড়েক ধরে যেতেই থাকলাম আমরা, আর কালো কোট দূরবীন দিয়ে বনের ভিতর হরিন দেখার চেষ্টা করছে। হটাৎ উনার ইশারা লঞ্চ থামানোর জন্য, উনি হরিন দেখতে পেয়েছেন। লঞ্চের ইঞ্জিন বন্ধ হল, শ্রোতে ভেসে ভেসে লঞ্চ তীরে থামলো। হরিন শিকার করার উত্তেজনায় সবাই নামলাম। কালো কোট সামনে, একহাতে বন্দুক আরেক হাতে আমাদের ইশারা দিচ্ছেন ধীর পায়ে এগুতে। হটাৎ দেখলাম কালো কোট সাপের মত এঁকে বেঁকে ছুটে গিয়ে “ঠুস” “ঠুস” পর পর দুইটা গুলি করলেন। দূর্ভাগ্যবশত (নাকি সৌভাগ্যবশত!) গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট, হরিন পগার পাড়। “এতো দল বল নিয়ে হরিন শিকার হয় না। কিন্তু তোমরা এনঞ্জয় করেছ তো”! কালো কোট আমাদের দিকে তাকিয়ে বলল। ঐ যে বললাম “ক্ষণিক আনন্দ” সেই কথা মাথায় রেখে আমরা সব বন্ধুরা একসাথে বললাম “অবশ্যই অবশ্যই”। ততক্ষণে সন্ধ্যা সমাগত, ভয় আর অজানা আতংক ধীরে ধীর দানা বাঁধছে সবার ভেতর। এই মূহুর্তে সুন্দরবনের অনেক গভীরে আমরা। সন্ধার মধ্যে আমাদের শিবসা ঘাটে পৌচ্ছার কথা। নৌকা ঠিক করা হয়েছে সেইভাবে। জানিনা মাঝি মনে মনে কি আমাদের চৌদ্দ পুরুষ উদ্ধার করছেন কিনা। ভয় শঙ্কা প্রকাশ না করে বললাম “তাহলে কি আর করা চলেন ফিরে যাই”। “কেন হরিন মারা দেখবে না”? কালো কোটের প্রশ্ন। বললাম “না মানে সন্ধ্যাও তো হয়ে এলো, আমাদেরকেও ফিরতে হবে”। “কি সুন্দরবন দেখা হয়ে গেল”? বলেই হো হো করে হেসে উঠল কালো কোট।
৫। আশার আলো
আমরা ফিরতি পথ ধরলাম। ফিরে যেতে যেতে উনি আমাদের সাথে গল্পে মাতলেন। বললেন সুন্দরবনের এই অংশটা দেখভালের দ্বায়িত্ব উনার উপর। এই লঞ্চেই উনার বসবাস। বন কেন্দ্রিক সকল কর্মকান্ডের উপর উনার নজর রাখতে হয়। আর যেহেতু এলাকাটা খারাপ তাই নিজের সুরক্ষার জন্য বন্দুক আর নিরাপত্তা বাহিনী। লঞ্চের খোলা ডেকে বসে আমরা উনার কথা শুনছি আর এই ঠান্ডা বাতাসের মধ্যেও ঘামাচ্ছি। তারমানে সুন্দরবনের ডাকাত উনি। পত্রপত্রিকায় সুন্দরবনের যেই ডাকাতের নামটা শুনেছি উনার সামনেই বসে আমরা! দূরে বসা কাসেম ভাইয়ের দিকে তাকালাম উনি যেন আমার চোখের ভাষা বুঝলেন। মনেহল চোখের পলক ফেলে জবাব দিলেন “জ্বী ঠিকই ধরেছেন”। শোন তোমরা আজকে আমার অতিথি হিসাবে থাকো। সারারাত গল্প করব, আকাশের চাঁদ দেখব, কার্ড খেলব। কালো কোটের এই কথায় চারপাশে সর্ষেফুল দেখতে লাগলাম। আমাদের এক বন্ধু একটু সাহস নিয়ে উনাকে আমাদের অপরাগতার কথা জানাল এবং আজকে আমাদের ফিরে যাওয়াটা যে কত জরুরী তা উনাকে সংক্ষেপে জানাল। উনি কোন জোরাজুরি না করে শুধু বলল তোমাদের জন্য রান্না হচ্ছে রাতের খাবারের পর তোমাদের সুবিধাজনক কোথাও নামিয়ে দিব। উনার কথায় আমরা ছয় বন্ধুই যেন হটাৎ প্রাণ ফিরে পেলাম। চোখ বুলিয়ে একবার সবগুলা মুখ দেখে তাই মনে হল। অতল সাগরে ডুবে যাওয়ার আগে খড়কুটা ধরে বাঁচার শেষ চেষ্টার মত।
৬। ফেরা
রাতের আঁধারে সুন্দরবনের মাঝ খান দিয়ে বয়ে চলা নদী দিয়ে লঞ্চ ছুটে চলেছে কোন এক গন্তব্যে, আকাশে চাঁদ উঁকি দিয়েছে, স্বিগ্ধ বাতাসে একটা নিদারুন অনুভূতি তবুও এই মনোরম পরিবেশ উপভোগ করতে পারছি না এক বিন্দুও। কালো কোট সত্যিই কি আমাদেরকে কোথাও নামিয়ে দিবে, নাকি নানা ছলা কলায় আটকে রাখবে। আমাদেরকে কি মেরে ফেলবে নাকি আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবী করবে। চোখের সামনে ভেসে উঠল আমার অন্তরিন থাকার খবর পেয়ে বাবা মুক্তিপনের টাকা জোগাড় করার জন্য এদিক ওদিক পাগলের মত ছুটাছুটি করছেন। উল্টোপাল্টা নানা চিন্তায় মাথা জ্যাম হয়ে আসছে। বাবা-মা সহ পরিবারের সবার কথা ভীষণ মনে পড়ছে। ওদেরকে কি আর দেখতে পারব।
সম্বিৎ ফিরে পেলাম যখন কালো কোটের এক বন্দুকধারী সহযোগী এসে বলল আপনাদের খাবার রেডি, বস কেবিনে ডাকছেন। কেবিনে গিয়ে খাবারের আয়োজন দেখে অনেককিছুই ভুলে গেলাম। এক হিসাবে সারাদিন না খাওয়া, তার উপর অজানা আশংকা। গরুর মাংশ আর ডাল দিয়ে পেট ভরে অনেক খেলাম। এটাই জীবনের শেষ খাওয়া কিনা কে জানে। কালো কোট আমাদের সাথে শুধু খেলেনই না সবার পাতে পাতে খাবার তুলেও দিলেন। কাসেম ভাই আর মাঝিও খেল। কাসেম ভাইয়ের খাওয়ার সময়ও খেয়াল করলাম উনার বন্দুক’টা দুই পায়ের নিচে রেখে বন্দুকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে খাচ্ছেন। এতো দুসচিন্তার মধ্যেও হাসি পাচ্ছে। কর্তব্যকাজে উনার এই সততার জন্য রাষ্ট্রীয় পুরস্কার পাওয়া উচিত নিঃসন্দেহে। খাওয়া শেষ হওয়ার পর কালো কোটই আমাদের তাড়া দিলেন। “তোমাদেরকে তো আমি কোন লোকালয়ে নামাতে পারব না, নামতে হবে মাঝ নদীতেই। বোঝেনই তো আমার নিরাপত্তার একটা ব্যাপার আছে”। লঞ্চ থামানো হল মাঝ নদীতে, এক এক করে সবাই নৌকায় উঠলাম। দিনে গিয়ে দিনেই ফিরে আসব বলে মাঝি নৌকায় কোন হারিকেন বা কুপির জোগাড় রাখে নি। ব্যাপারটা চোখে পড়ল কালো কোটের। “আরে তোমাদেরকে নৌকার তো কোন বাতির ব্যাবস্থা নাই। এই একটা টর্চ লাইট দিয়ে দে ওদেরকে”। উনার এক সহযোগী তিন ব্যাটারির একটা শক্তিশালী টর্চ এগিয়ে দিলেন আমাদেরকে। লঞ্চের ইঞ্জিন এবং নৌকার ইঞ্জিন দুটোই চালু হল একসাথে। হাত নেড়ে কালো কোট আমাদের বিদায় দিলেন, লঞ্চ এবং নৌকার দূরত্ব ধীরে ধীরে বাড়তে লাগল, এবং একসময় লঞ্চটা হারিয়ে গেল অন্ধকারে।
মোবাইল এবং জিপিএস বিহীন সেই যুগে লঞ্চ থেকে আঁধার রাতে আমরা কোথায় নামালাম তা ঠাহর করেতে অনেক সময় লেগে গেল। প্রায় দুই ঘন্টা ধরে উল্টা পাল্টা চলার পর মাঝি দিক নির্নয় করতে পারলেন। তারপর সারারাত নৌকা বেয়ে ভোড় বেলাতে পৌচ্ছালাম শিবসা ঘাট যেখান থেকে গতকাল যাত্রা শুরু হয়েছিল আমাদের। দীর্ঘ বনভ্রমনের ক্লান্তির মধ্যেও সবার মনের মধ্যে তখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে রহস্যঘেরা সেই কালো কোট।
(আমাদের এই ভ্রমনের বছর দেড়েক পর পত্রিকা মারফত জেনেছি কালো কোট উনার প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত হয়েছেন।)


সর্বশেষ এডিট : ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





