সাহিত্যের শুদ্ধতম রূপ কবিতা। কথাটা শুনেছিলাম বহুদিন আগে। কবিতায় ফুটে ওঠে মানবতার প্রতিচ্ছবি, কবিতা হয়ে ওঠে কখনও কখনও অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের আগুন। কোন কোন কবিতা স্পর্শ করে মানব হৃদয়ের প্রেমের আকুলতা। প্রকৃতির প্রতীক কবিতার ঘরে আজ জীর্ণ দশা। অথচ এই কবিতাই আমাদের সংকট মুহূর্তে জাগিয়েছিল প্রেরণা, দিয়েছিল সাহস।
একটা সময় ছিলো প্রেমিক তার কবিতা দিয়ে প্রেম নিবেদন করত তার প্রেমিকার কাছে কিংবা দিতো কবিতার বই। এখন সেগুলো শুধুই স্মৃতি। বাংলাদেশের হাতে গোনা কয়েকজন আছেন নাম আমি উল্লেখ করতে চাইনা তারাই শুধু কবিতার পরিচর্যা করে আসছেন। কবিতার ঘরে নতুনের পদধ্বনি শুনি না বললেই চলে।
তবে কি আমরা সবাই যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছি প্রযুক্তির কল্যাণে? না। সময় আমাদের বাধ্য করছে কবিতা বিমুখ হতে। যার জ্বলন্ত উদাহারন সামু ব্লগে। ব্লগে কবিতার পোষ্ট খুবই কম। তারপরও কদাচিৎ কবিতা আসে কিন্তু পাঠক নাই, আলোচনা নাই। আমরা রাজনৈতিক পোষ্ট গুলির প্রতি ঝুঁকে পড়ছি- তর্ক করছি, গালি দিচ্ছি, আহা! বেশ, বেশ। আমি প্রযুক্তি নয় সময়কে দোষ দেই। বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলো তাদের নাটক বা অন্য কোন অনুষ্ঠানের দর্শক না পেলেও সংবাদ, রাজনীতির টক শো'র দর্শক তারা ঠিকই পান।
আজ কবিতার এই জীর্ণ দশা দেখে আমার শুধু করুণাই হবে? করার কিছুই নেই কি আমাদের? সময়ের স্রোতে ভেসে যাবে দুঃখিনী কবিতা?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



