প্রিয় বধূ আমার,
হৃদয় মন্দিরে ঘন্টার
ধ্বনি, প্রতিধ্বনিতে সৃষ্ট
তৃষ্ণার্ত ভালোবাসা রইল ।
যে হৃদয়ের মাটির সামান্য উর্বরতা বাড়াতে,
আজ আমি নিজ মাটি হারা,
প্রতিটি গ্রন্থিতে চর্বি পুড়িয়ে
শক্তিটুকু পাঠাই অনুর্বরা মাটিকে
অথচ উচ্ছিষ্ট পদার্থের বেষ্টনীতে থাকি
সারাটা সময়, গভীর পিপাসিত হৃদয়ে,
সে তোমাকে অবিশ্বাস করি কি করে ?
বিশ্বাস, ভালোবাসা একই নাম
একই সময়ে, একই গর্ভে জন্ম ।
ভ্রূণ বলে কোন কথা নেই
আবার ধুকেধুকে মরবার সুযোগও নেই ।
সেই বিশ্বাসে বিশ্বাসী আমি,
সেই ভালোবাসায় ভালোবাসি তোমায় ।
পঁচে যাব তবু
নিঃশেষ হবে না ।
সতিত্বে আমি বিশ্বাস করি না -
হৃদয় দখলদারিত্বে বিশ্বাসী ।
পঁচনশীল দেহতে ভরসা নেই
কেননা তার নিজস্বতা বলে কিছুই নেই ।
এমন হাজারোবার তুমি ধর্ষিতা হলেও
ভালোবাসা আমার থাকবে অটুট ।।
রাখতে পেরেছো কি উর্বরতা ধরে ?
ফলনের দরকার নেই,
আপাতত ধরে রাখাতেই -
সন্তুষ্ট ।
খুব ভালোবাসি তোমায় -
সময়ের আপেক্ষিকতায়, ছিন্ন-বিছিন্ন এ আমি
হাজারো টুকরোতে বিভক্ত ।
বিছাটির মত ছটফট করি
গভীর যন্ত্রণায় ।
হাজারো সপ্ন নিয়ে তাকিয়ে থাকি,
সাত সাগর তের নদীর-
ওপাড়েতে ।
প্রিয় বঁধূ আমার,
কত দিন তোমার ঐ মুখ দেখিনি !
সেই হাসি, সেই অভিমান, লুকোচুরি-
কবে ফিরে পাব আমি ?
অসহ্য জীবন আমার তোমাকে ছাড়া
ভালোবাসা যে এত যন্ত্রণার -
এত রূক্ষতার, এতটাই তপ্তময়
প্রতিটি সেকেন্ডে বুঝিতেছি
এই আমি !
দিনে গাঢ় এসিডের গাঢ়তায়
নিজেকে বিকাই ঐ কলকারখানায় ,
রাতে বুবূক্ষতার রূক্ষতায়
নিজেকে হারাই তোমাতে ।
মায়ের চিঠি রাতে পেলাম
পড়ে আমি নির্বাকপ্রায় ।
হৃদয় আমার দোদুল্যমান ,
পুনঃপুনঃ তরঙ্গে বিপর্যস্ত, মৃতপ্রায় ।
জেগে উঠি সেই ঔষধে
লালন করেছিলাম যা এতদিন
অত্যাচারিত এই হৃদয়ে ।
সাধনারত এই আমি
জেগে উঠি অসীম সাধনার প্রত্যয় নিয়ে ।
না জানি ওরা তোমায়
ফেলেছে কি সমস্যায় ?
বিচার, সালিশী নাকি নিপীড়ন ?
ওহ্ ! আমি আর পারছি না ।
প্রিয় বঁধূ আমার,
সত্যিই ভালোবাসি তোমায় ।
শত ঝড়েও টলাতে পারবে না আমায়,
তোমা হতে দুরে ।
আমি আছি তোমার সাথে-
সব সময় ।
তোমার হাসি অবলোকনের তৃপ্ততার অনুভবে-
এখানেই শেষ করলাম ।
ভালোবাসা রইল ।।
স্নেহ রইল ।।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ৯:৩৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





