উঠোনের মাঝখানটাতে বৃত্তের মতো মাটি লেপা স্থানটাতে পুজারি মতিউর রহমান বসে আছেন।ঠিক অপরদিকে বসা মুসা ইব্রাহীম। সদ্য এভারেস্ট ঘুরে এসেছেন(!) মতিউর রহমান আজ তাকে দীক্ষা দেবেন।
উঠোনটাকে বুকে নিয়ে যে ছোট্ট ঘরটা-তার দোরে বসেই আছেন মুসা ইব্রাহীমের ন্যকা পত্নী। বেচারা সহজ সরল দুর্বল মানুষ। স্বামী তাকে কত ভালোবাসে- যদিও তার কথা নাকে বাজে-এতেও তার স্বামীর কোনো দু:খ নেই। স্বামীর দীক্ষা উপলক্ষ্যে অনেক কষ্টে উঠোনের এ জায়গাটা লেপেছে। তার স্বামী আজ ভন্ডামির দীক্ষা নেবে। তাও আবার নেবে বিষ্টিষ্ট ভন্ডখ্যাত- পুজারী মতিউর রহমানের কাছ থেকে।
দীক্ষা শুরু হলো; গুরুগম্ভীর মতিউর রহমান মুসাকে তার হাতের মাঝে হাত স্থাপন করতে বললেন। মুসা তাই করলেন। মতিউর রহমান বলতে শুরু করলেন আর মুসাকে বললেন আমি যা বলব তুমি তাই পড়বে। মুসাও বলল আমি যাই বলব তুমি তাই পড়বে (এভারেস্টের পাদদেশে মাস খানেক ঘুরো ঘুরির সময় সে একটি দীক্ষা অনুষ্ঠান দেখেছে। সেখানে পুজারি যা বলে অপর ব্যক্তিও হাতের মাঝে হাত রেখে তাই পড়ে)। মতিউর রহমান বললেন হয়নি। মুসাও বললেন হয়নি। আরে আমি যাই বলি তাই বলতে বলছি তোমাকে-বললেন মতিউর রহমান। মুসাও একই কথা বললো। মতিউর রহমান চটে যাচ্ছেন। মুসাও অনুকরণ করছে। এক পর্যায়ে মতিউর রহমান বলে বসলেন, শ্যালা-বলি এতো বড় হ্যাদারাম না হলে কি আমরা জাতিকে যে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করেছি তা অনুকরণ করে। মুসাও বললেন একই বাক্য। মতিউর রহমান তার হাত ছেড়ে রাগের মাথায় মুসার বুক চেপে বসলেন। মুসাও তাই করলেন (তবে মনে মনে ভাবলেন-এভারেস্টের পাদদেশের দীক্ষাটায় তো এমন অংশ ছিল না-তবে পুজারি মতিউর রহমান বলে কথা! তিনি বুঝি এভাবেই দীক্ষা দেন)। এবার মতিউর রহমান আবার মুসার বুক চেপে বসলেন। মুসাও তাই করলেন। এভাবে লুটোপুটি খেতে খেতে দুজনে উঠান ছেড়ে পাশের ডুবায় গিয়ে পড়লেন।
আর মুসার বউ এরকম দীক্ষা দেখে এতই মজা পেলেন যে আনন্দে দাঁড়িয়ে হাত তালি দিতে শুরু করলেন। আর বললেন- দীক্ষা এতো গঁড়াবে জানলেতো আমি ঘাঁট পর্যন্তই নেপে নাখতাম!!
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৫৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



