এই বাংলা ব্লগটিতে ইসলামবিরোধী অনেক লেখালেখি আছে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কলাম পড়েছি কিন্তু বুকমার্ক করিনি, পরে আবার ঐগুলো খুজতে অনেক সময় লাগে।আমি এখনও অন্য কারও পোষ্টে মন্তব্য করার অনুমতি পাইনি।তাই আমার মন্তব্য পোষ্ট আকারেই দিয়ে দিলাম।
মহানবীর জীবদ্দশায় একবার ইহুদিদের এক গোত্র মুসলমানদের সাথে চুক্তি ভঙ্গ করে এবং শত্রুপক্ষকে কিছু শর্ত সাপেক্ষে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সহায়তা করার প্রস্তাব দেয়। মুসলমানরা পরবর্তীতে ঐ ইহুদি গোত্রের সকল পুরুষকে হত্যা করে ও তাদের নারীদের দাসী হিসেবে মুসলমানদের দিয়ে দেয়। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে জনৈক ইসলামবিদ্বেষী ব্লগার মুসলমানদের কটাক্ষ করে একটি কলাম লিখেছেন। সেখানে তিনি মুসলমানদের চরিত্রের চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করে ছেড়েছেন।
মনে করুন আমাকে কেউ হত্যা করতে চেষ্টা করছে। এখন আমি যদি তাকে ধরাশায়ী করতে পারি তাহলে আমি তাকে ক্ষমা করব না কচুকাটা করব এটা সম্পূর্ণই আমার উপর নির্ভর করবে। এখানে কোন ৩য় পক্ষ যদি আমার ঘাতকের পক্ষে মহানুভবতা প্রকাশ করেন তাহলে বুঝিতে হইবে যে তিনি শত্রুপক্ষ হইতে ঘুষ গ্রহণ করিয়াছেন।
আচ্ছা তর্কের খাতিরে ধরিয়া নিলাম যে, মুসলমানরা দোষ করিয়াছে। তো আমাদের ইসলামবিদ্বেষী বন্ধুরাতো অত্যন্ত মহানুভব।সেক্ষেত্রে তাহারা মুসলমানদের ক্ষমা করিয়া দিলেই পারেন। "মুসলমানদের চরিত্র ফুলের মত পবিত্র"--এই স্লোগানে চারিদিক আলোড়িত করিয়া তুলিতে পারেন।কিন্তু তা না করিয়া ইসলামবিদ্বেষীরা সবসময়ই মুসলমানদের চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করিয়া ছাড়িতেছেন।
ও বুঝেছি, মুসলমানদের কোন ভুল (ইসলামবিদ্বেষীদের চোখে) তাহারা ক্ষমা করিবেন না , চোটপাট করিয়া একহাত নিয়াই ছাড়িবেন। অথচ মুসলমানরা শত্রুপক্ষ দ্বারা আক্রান্ত হইলে সর্বদাই তাহাদের ছাড়িয়া দিতে হইবে। সমানাধিকারে বিশ্বাসী এই ইসলামবিদ্বেষী সম্প্রদায়ের কেন এই দ্বৈত্ব নীতি ?
জাতির বিবেকের কাছে আজ এই প্রশ্ন।
ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:৩৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




