সূরা বাকারার ২৯ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেনঃ
He it is who created for you all that is on earth. Then He Istawa (rose over) towards the heaven and made them seven heavens and He is the All-Knower of everything.
উপরোক্ত আয়াতে সাতটি হেভেনের কথা বলা হয়েছে, সাধারণভাবে যা বোঝা যায় তা হল, আল্লাহ তায়ালা সাত-তবক আসমান জমিন সৃষ্টি করেছেন।
যারা সাইন্টিফিক আর্টিকেল নিয়ে গুতাগুতি করে থাকেন তারা ইতিমধ্যেই “M Theory” –এর কথা শুনে থাকবেন। “M Theory” বর্তমান সময়ে “মহাবিশ্ব সৃষ্টি ও তার অবস্থা” সম্পর্কিত সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য থিওরি যা গাণিতিকভাবে প্রমাণিত। যেহেতু এটি গাণিতিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে তাই বিজ্ঞানীরা অনেক বেশি আশান্বিত যে অদূর ভবিষ্যতে এই থিওরি পরীক্ষামূলকভাবে প্রমাণ করা সম্ভব হবে।
M Theory
“M Theory” অনুযায়ী, আমাদের এই পুরো মহাবিশ্ব আসলে অনেক অনেক মহাবিশ্বের সমষ্টি এবং এই মহাবিশ্বগুলোর প্রত্যেকটি এক একটি আলাদা আলাদা মেমব্রেনের মধ্যে সীমাবদ্ধ।
“M Theory” যদি পরীক্ষামূলকভাবে প্রমাণিত হয় তাহলে কিছুদিন পরে সূরা বাকারার ২৯ নম্বর আয়াতের অর্থ করা হবেঃ
He it is who created for you all that is on earth. Then He Istawa (rose over) towards the heaven and made them many heavens and He is the All-Knower of everything.
আর তখনই ইসলাম বিরোধীরা উচ্চস্বরে বলে উঠবে যে কোরআনের অর্থ ইচ্ছামত পরিবর্ত করা হয়েছে।
এখন আসুন আরবিতে সেভেনের কি কি অর্থ আছে তা ১৮৬৯ সালে Edward William Lane রচিত “Arabic- English Lexicon” থেকে জেনে নিই। নিচের ছবিতে লাল দাগ দেয়া অংশটুকু পড়ুন।

ঊপরের ছবি থেকে দেখা যাচ্ছে আরবিতে সাতের অর্থ “সাত” আবার সাতের অর্থ “অনেক” হতে পারে। ব্যাপারটা অনেকটা চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করার মত যেখানে চৌদ্দ বলতে সাংখিক চৌদ্দ বুঝায় না।
সুতরাং ইহা প্রমাণিত হল যে সূরা বাকারার ২৯ নম্বর আয়াতের অর্থ পরিবর্তন করা হলেও তা ইচ্ছামত করা হবে না।
এখন প্রশ্ন হল, সহীহ হাদিসেতো ১ম, ২য়, ৩য় এভাবে সাত আসমানের কথা বলা আছে। সেক্ষেত্রে, আমাদের উত্তর হবে, হাদিসে শুধুমাত্র প্রথম সাতটি আসমান নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে, বাকি গুলো নিয়ে করা হয়নি।
নাস্তিকরা হয়তো এখানেও সন্দেহের অংগুলি নির্দেশ করবেন। কিন্তু লাভ নেই। মেরাজ সম্পর্কিত অন্য একটি সহীহ হাদিস থেকে প্রমাণ পাওয়া যায় যে, ফেরেশতাগণও আল্লাহর সকল সৃষ্টি সম্পর্কে অবগত নন।
মেরাজ রজনীতে উর্ধাকাশে নবী(সাঃ) যখন জিবরাইল (আঃ) -এর সাথে ভ্রমণ করছিলেন তখন অন্য একজন ফেরেশতাকে দেখে নবীজী জিজ্ঞাসা করলেন উনার নাম কি। তখন জিবরাইল (আঃ) উত্তর দিয়েছিলেন যে, ঐ ফেরেশতাকে তিনি পূর্বে কখনও দেখেননি, তাই তাঁর নাম তিনি জানেন না। (হাদিসটির রেফারেন্স দিতে পারলাম না বলে দুঃখিত)।
ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুন, ২০১১ সকাল ৭:৩৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




