somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রাধানাথ শিকদার থেকে মুসা ইব্রাহিম।

২৪ শে মে, ২০১০ রাত ৯:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



রাধানাথ শিকদার থেকে মুসা ইব্রাহিম।

হিমালয় পবর্ত শ্রেণীর মধ্যে ১৫ নম্বরটি যে খানিকটা মাথা উঁচু করে থাকে তাতে অনেকে সন্দেহ পোষণ করেন। কারণ হিসেব কষে বলা যাচ্ছে না সে আসলে কতটা উঁচু। তবে দুর থেকে তাকে মাথা উঁচু করেই থাকতে দেখা যায়। ব্রিটিশ ভারত এক সময় সিদ্ধান্ত নিল সে ভারতে বিভিন্ন অঞ্চল জরিপ করার। ১৮৫৬ সালে ব্রিটিশ ভারতে সার্ভেয়ার জেনারেল এন্ড্রু ওয়াহ ঘোষণা দেন যে হিমালয়ের ১৫ নম্বর পবর্তটির উচ্চতা ২৯,০০২ ফুট (৮,৮৩৯ মিটার, বর্তমানে তার স্বীকৃত উচ্চতা ২৯,০২৯ ফুট, তবে এই উচ্চতা বিভিন্ন সময় বাড়ে এবং কমে)। এই ঘোষণার সাথে সাথে এই বিশেষ পবর্তশৃঙ্গটির গুরুত্ব আলাদা হয়ে যায়, কারণ এর ফলে সেটি তখন হয়ে দাঁড়ায় বিশ্বের সবচেয়ে উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ। ১৮৫৬ সালে এই ঘোষণা আসলেও এই উচ্চতা মাপার কাজটি সম্পন্ন হয় ১৮৫২ সালে। আর যিনি এই কাজটি করেছিলেন তার নাম রাধানাথ শিকদার। দেরুদুনে কাজ করার সময় তিনি এই উচ্চতা পরিমাপ করেন। একজন বাঙ্গালীর এই আবিষ্কারের মধ্যে দিয়ে ১৫ নম্বর পবর্ত শৃঙ্গটি এমন এক পর্বত শৃঙ্গের মর্যাদা পায় যেখানে চড়ার জন্য গর্ব অনুভব করে অনেকেই। এই পবর্ত শৃঙ্গটি তখন স্থানীয় তিব্বতী নাম চুমালাং হিসেবে পরিচিত ছিল। ফরাসী ভুগোলবীদ ডি-আনভিলেরর তৈরি করা ১৭৩৩ সালের মানচিত্রে এই নামেই তাকে পাওয়া যায়। কিন্তু ব্রিটিশরা জরিপকালীন সময়ে সার্ভেয়ার জেনারেল জর্জ এভারেষ্টের নামে এর নাম রাখে এভারেস্ট।

প্রথম আবিষ্কারক হিসেবে রাধানাথ শিকদারের নামে হতে পারত এই পর্বতেচূড়ার নাম। তারপরেও আবিষ্কারে ১৫৮ বছর পর প্রথম বাংলাদেশী বাঙ্গালী হিসেবে মুসা ইব্রাহিম এই পর্বতচূড়ায় পা রেখে রাধানাথ শিকদার এবং সকল বাঙ্গালীকে আরো একবার গৌরবান্বিত করলো। তাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=হিংসা যে পুষো মনে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮


হাদী হাদী করে সবাই- ভালোবাসে হাদীরে,
হিংসায় পুড়ো - কোন গাধা গাধিরে,
জ্বলে পুড়ে ছাই হও, বল হাদী কেডা রে,
হাদী ছিল যোদ্ধা, সাহসী বেডা রে।

কত কও বদনাম, হাদী নাকি জঙ্গি,
ভেংচিয়ে রাগ মুখে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণমাধ্যম আক্রমণ: হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন নূরুল কবীর ও নাহিদ ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:০৫


জুলাই গণঅভ্যুত্থানের রক্তস্নাত পথ পেরিয়ে আমরা যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, সাম্প্রতিক মব ভায়োলেন্স এবং গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ সেই স্বপ্নকে এক গভীর সংকটের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। নিউ এজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

রিকশাওয়ালাদের দেশে রাজনীতি

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৪৯

রিকশাওয়ালাদের দেশে রাজনীতি

সবাই যখন ওসমান হাদিকে নিয়ে রিকশাওয়ালাদের মহাকাব্য শেয়ার করছে, তখন ভাবলাম—আমার অভিজ্ঞতাটাও দলিল হিসেবে রেখে যাই। ভবিষ্যতে কেউ যদি জানতে চায়, এই দেশটা কীভাবে চলে—তখন কাজে লাগবে।

রিকশায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিএনপিকেই নির্ধারণ করতে হবে তারা কোন পথে হাটবে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:০৫




অতি সাম্প্রতিক সময়ে তারেক রহমানের বক্তব্য ও বিএনপির অন্যান্য নেতাদের বক্তব্যের মধ্যে ইদানীং আওয়ামীসুরের অনুরণন পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিএনপি এখন জামাতের মধ্যে ৭১ এর অপকর্ম খুঁজে পাচ্ছে! বিএনপি যখন জোট... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী বিপ্লবীর মৃত্যু নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৭



শরিফ ওসমান হাদি। তার হাদির অবশ্য মৃত্যুভয় ছিল না। তিনি বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, আলোচনা ও সাক্ষাৎকারে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি অনেকবার তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর কথা বলেছেন। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতবিরোধী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×