ব্রিটেনের ডেইলি মেইলের কল্যাণে কাসেম বিন আবুবাকারের উপন্যাসের কথা বাংলাদেশের মানুষ ব্যাপকভাবে জানতে পেরেছে। কিন্তু কাসেম বিন আবুবাকার বাংলাদেশের তৃণমূল মানুষের কাছে আগের থেকেই পরিচিত ছিলেন্। তার উপন্যাসের পাঠক তারাই ছিলেন। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমসহ বিভিন্ন আড্ডায় তার উপন্যাস নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা, তর্ক-বিতর্ক হচ্ছে। এক সময় আমিও কাসেম বিন আবুবাকারের বেশ কিছু উপন্যাস পড়েছি (৩০/৩৫টির কম হবে না) । সেটা ৮ম শ্রেণী থেকে একাদশ শ্রেণী পর্যন্ত (এই সময় আমি অবশ্য অন্যান্য লেখকদের উপন্যাস পড়েছি)। সময়টা ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৭ সাল। সেই সময়ে চট্টগ্রামে আমার বন্ধু-বান্ধবদের (ছেলে/মেয়ে) একটি অংশ তার উপন্যাসের পাঠক ছিল। এছাড়া আমার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীতেও আমি কাসেম বিন আবুবাকারের উপন্যাসের পাঠক ব্যাপকভাবে দেখতে পেয়েছি।
আমার দৃষ্টিতে কাসেম বিন আবুবাকারের উপন্যাস জনপ্রিয় হওয়ার কারণ হচ্ছে:
১) তার উপন্যাসগুলো সহজ সরল ভাষায় লেখা। সাধারণ পাঠকের পক্ষে তাই তার উপন্যাস পড়া খুবই সহজ।
২) তার বইয়ের দাম তুলনামূলক কম ছিল। অফসেট কাগজের পাশাপাশি নিউজপ্রিন্টেও তার বই পাওয়া যেতো।
৩) উপন্যাসে ইসলামি শরীয়তের বিভিন্ন বিধি নিষেধের কথা বলা হতো। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম সমাজ অনেক সময় উপন্যাসের মাধ্যমে ইসলামি বিধি নিষেধ শিখতে পারে (লেখকের মনে হয় এমন উদ্দেশ্য ছিল)।
৪) উপন্যাসের কাহিনীগুলোতে গ্রাম ও শহরের মধ্যবিত্ত সমাজের কথা বেশি বলা আছে। ফলে পাঠক সমাজ নিজের জীবনের প্রতিফলন উপন্যাসে দেখতে পেলেন।
৫) অনেক উপন্যাসের কাহিনী (লেখকের ভাষায়) সত্য ঘটনা অবলম্বনে। কিছু আবার আমাদের দেশের জনশ্রুতি বা রূপকথার সাথে মিলে যায়। যেমন: ‘অলৌকিক প্রেম’ উপন্যাসের নায়িকা হচ্ছে একজন পরী, নায়ক কিন্তু মানুষ। এই রকম পরী-মানুষের প্রেম কাহিনী আমি গ্রামের বাড়িতে অনেক শুনেছি।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



