somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছোটগল্পঃ হাইবারনেশন ।

২০ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



পর্দার ফাঁক গলে শেষ বিকেলের এক টুকরো সোনালী আলো এসে পড়েছে ঘরের দেয়ালে । সেখানে চিকচিক করে উড়ছে শত-হাজার ধুলিকণা । অন্ধকার গুমোট ঘরে জানান দিয়ে যাচ্ছে যেন জীবন এখানে এখনো চলমান । অনেকক্ষণ এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে হাতের উপর ভর দিয়ে উঠার চেষ্টা করলো আহনাফ । মাথাটা ঘুরছে ভন ভন করে । অন্ধকার থেকে আলোর দিকে বেশি সময় তাকিয়ে থাকলে এমন হতেই পারে । কিন্তু আহনাফের মাথা ঘোরাটা আলোর জন্য নয় । অনাহার তাকে ক্রমশ নির্জীব করে দিচ্ছে ।

এটা আহনাফের স্বেচ্ছা নির্বাসন, নিজেরই ফ্ল্যাটে । সে হাইবারনেশনে কাটাতে চায় কিছুদিন । কিছুদিন মানে হলো ততদিন, যতদিনে সে তার সকল অতীত স্মৃতি ভুলে যেতে পারবে । এক সপ্তাহের হাইবারনেশন প্রায় সফল । শুধু অতীতের একটা ঝাঁপসা ছবি এখনো তার চোখে বারবার ভাসছে । আহনাফের বয়স তখন ছয় বা সাত । বাবা কয়েকদিনের জন্য গ্রামের বাড়ি যাবে, সে বায়না ধরলো সাথে যাবে বলে । ফিরে আসার পর মা তাকে জড়িয়ে ধরে সেকি কান্না । আহনাফ তখন বলেছিলো, 'মা আমি না থাকলে তুমি কি ভয় পাও' ? মা আঁচলে চোখ মুছে বলেছিলেন, 'না রে বাবা, তুই কাছে না থাকলে আমার কিছুই ভালো লাগেনা' । আহনাফ তখন বলেছিলো, 'এরপর তুমি ভয় পেলে আমাকে ডাকবে' ।

হাইবারনেশনের প্রথম দিনটা মোটামুটি বিছানায় শুয়েই পার হয়েছিলো । দিনশেষে মনে হলো সব কাজের জন্যই প্রস্তুতি দরকার । প্রাণীরা শীতনিদ্রায় যাওয়ার আগে শরীরে পর্যাপ্ত চর্বি জমিয়ে রাখে । উপবাসকালে শরীর তার প্রয়োজনীয় শক্তি ঐ চর্বি থেকেই সংগ্রহ করে । কিন্তু আহনাফ এতোটাই হাড্ডিসার, অনাহারে সে একদিনও টিকতে পারলোনা । বাধ্য হয়ে তাকে ফ্রীজে সংরক্ষিত খাদ্যদ্রব্যের খোঁজ নিতেই হলো । এক প্লেট বাসি ভাত, এক পিরিচ সবজী, অর্ধেক বাটি ডাল, পাঁচটা ডিম, এক বোতল টমেটো সস আর কয়েকটা আপেল- এই দিয়ে আরো তিনদিন পার করতে পেরেছে । এগুলি শেষ হবার পর কিচেনে অনুসন্ধান চালিয়ে কেজি খানেক চাল আর কয়েকটা আধ-পঁচা আলুর সন্ধান পায় । সাদাভাত আর সিদ্ধ আলু দিয়ে আরো তিনদিন ।

আজকে সারাদিন ধরে না খেয়েই আছে আহনাফ । তেষ্টা পেলে ট্যাপে মুখ লাগিয়ে পানি পান করে নিচ্ছে । বিছানার স্ট্যান্ড ধরে উঠার চেষ্টা করেও বসে পড়লো সে । মাথাঘোরা নিয়ে তবুও উঠতে হলো, দরজায় কে যেন নক করে চলেছে । এই কয়দিনে পরিচিত কেউ তার কোন খোঁজ নেয়নি । এমনকি একটা ভিখিরিও এসে দরজায় নক করেনি । পাঁচতলায় ফ্ল্যাট বলে এমনিতেই ভিখিরি বা সবজীওয়ালারা উপরে উঠেনা ।

হোম অ্যাপেয়ারেন্স কোম্পানীর একজন সেলসম্যান মাল্টিপল ইউজার ব্লেন্ডার বিক্রি করতে এসেছে । এমনিতে অপরিচিত কেউ বাসায় নক করলে আহনাফ বিরক্ত হয়, ঠাস করে মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দেয় । কিন্তু আজকে দরজা বন্ধ করারও শক্তি সে পেলোনা, সেলসম্যানের দিকে নির্মোহ দৃষ্টি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলো । সেলসম্যান এটাকে 'বায়িং সিগনাল' ধরে নিয়ে দ্বিগুন উৎসাহে ব্লেন্ডারের ফিচার-এডভান্টেজ-বেনেফিট গড়গড় করে বলে যেতে থাকে । এক পর্যায়ে নাছোড়বান্দা সেলসম্যান আবিষ্কার করে, তার প্রসপেক্ট কাস্টমার মাছের চোখের মত রক্তশুন্য দৃষ্টি নিয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে । আর কথা না বাড়িয়ে ঝটপট ব্লেন্ডারখানা ব্যাগে চালান দিয়ে 'নেক্সট কল ফাউন্ডেশন' না করেই সে বিদায় নেয় ।

ট্যাপের পানিটা বড়ই বিস্বাদ লাগছে । সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসায় সবকিছু অন্ধকারে ঢেকে গেছে । তবু সে বাতি জ্বালাল না, হাইবারনেশনে যাওয়ার পর এই ফ্ল্যাটে বাতি জ্বলেনি । এমনকি জানালাগুলোও ঢাকা রয়েছে গাঢ় নীল পর্দায় । পা টিপে টিপে কোন রকম বিছানায় এসে শুয়ে পড়লো আহনাফ । অনেকক্ষন চিন্তাশুন্য সময় পার করার পর তার ভাবনা এলো, না এভাবে হবেনা । আর মাত্র কয়েকটা দিন পার করতে পারলে হয়তো মায়ের স্মৃতিটাও ভুলে যাওয়া যাবে । আর এটা করতে হলে তাকে নতুন করে হাইবারনেশনে যেতে হবে, পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে ।

পূর্ণ প্রস্তুতিতে হাইবারনেশন, ব্যাপারটা মাথায় আসতেই আহনাফের মন চনমন হয়ে উঠলো । তখনই বাথরুমে গিয়ে শাওয়ার ছেড়ে ইচ্ছেমত শরীরটা ভিজিয়ে নিলো । শীতল জলের স্পর্শে তার প্রতিটি কোষ যেন জেগে উঠছে নব আনন্দে । তারপর চটপট রেডি হয়ে নিচে নেমে একটা রিক্সা নিয়ে ছুটলো শহরের সবচেয়ে ইয়াম্মি রেস্তোরার দিকে । পুরানো রাস্তাঘাট তার কাছে নতুন বলে ভ্রম হতে থাকে, যেন বা এই শহরে সে এক আগুন্তুক । এমনিতে আহনাফ স্বল্পাহারী, কিন্তু আজ সে স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি খেয়েছে । বেশি সময় ধরে হাইবারনেশনে থাকার প্রয়োজনে কিংবা ক্ষিধে পেটে খাওয়াটা এমনিতে বেশি হয় বলে । আর সাথে বেশ পরিমান খাবার সাথে করে নিয়ে এসে ফ্রীজবন্দী করলো ।

কয়দিনের অর্ধাহার-অনাহারে ক্লান্ত শরীর স্নান-খাদ্য পেয়ে কিছু সময়ের মধ্যেই নেতিয়ে পড়তে থাকে । ঘুমঘুম চোখে সে প্ল্যান করে নেয় এবারের শীতনিদ্রায় আট-দশদিন থাকতে পারলেই হয়ত মায়ের সেই আবছা স্মৃতিটুকুও ভুলে যাওয়া যাবে চিরতরে । আর অতীত বিস্মৃত একটা মানুষ আবার নতুন উদ্যমে নতুন উৎসাহে নিজের পূণর্জন্ম ঘটাবে, এই হাইবারনেশনের মাধ্যমে ।

একরাত্রি গভীর নিদ্রার পর কাকডাকা ভোরে আহনাফের ঘুম ভেঙ্গে যায় । শরীরের এই ক'দিনের ক্লান্তিটাও আর নেই । পর্দার ফাঁক দিয়ে ভোরের মৃদো আলো আসছে । বিছানায় কিছুক্ষণ গড়াগড়ি করার পর আহনাফ বুঝতে পারে তার সম্ভোগের ইচ্ছে জাগছে । ইচ্ছেটা শুধু তার মস্তিষ্কে ডোপামিনের নিঃস্বরণই বাড়াচ্ছেনা, গোপন অঙ্গটাকেও ক্রমশ জাগিয়ে তুলছে । একটা বাঁধ ভাঙ্গা আনন্দে ভরে যায় তার প্রান মন । এবং হঠাৎই তার সোমার কথা মনে পড়তে থাকে । শেষ কয়েকমাস তার এই বিশেষ অঙ্গ কোন কিছুতেই প্রণোদনা পেতো না । সোমা অনেক চেষ্টা তদবির করেও জাগিয়ে তুলতে ব্যর্থ হয়ে একরাশ বিরক্তি নিয়ে স্নানঘরে গিয়ে ঢুকতো ।

আহনাফ এক লাফে বিছানা ছেড়ে উঠে জানালা খুলে দেয় । গত এক সপ্তাহ ধরে মুলত যাকে ভুলে যাওয়ার জন্য সে হাইবারনেশনে থেকেছিলো, সেই সোমা আরও তীব্রভাবে তার স্মৃতিতে আসতে থাকে । অনেকক্ষণ ধরে এঘর ওঘর পায়চারি করার পর সে নিচে নেমে আসে ।

ঝিরঝিরে নির্মল হাওয়া বইছে ভোরের আলো ফোঁটা নির্জন রাস্তা জুড়ে । যে ক'জন মানুষ রাস্তায় আছে তারা প্রায় সবাই প্রাতঃভ্রমনে ব্যস্ত । সোজা রাস্তা ধরে উদ্দেশ্যহীন ভাবে অনেকটুকু হাটার পর একটা খালি প্লটের কাছে এসে থামে আহনাফ । দুটো ফুটফুটে বাচ্চা একটা রাবারের বল নিয়ে খেলছে । এই বাচ্চাদের সাথে তার খেলতে ইচ্ছে হয় । কিন্তু বাচ্চা দুটো এই অদ্ভুত লোকটাকে দেখে হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ে । তবু তিনজনে এক সময় ভাব হয়ে যায় । এক পর্যায়ে একজন ভদ্রলোক আসেন বাচ্চাদের নিয়ে যেতে । যাবার সময় তিনি আহনাফের সাথে হ্যান্ডশ্যাক করেন । এত জোড়ে হ্যান্ডশ্যাক যে আহনাফ ব্যথায় কঁকিয়ে উঠে, আর বাচ্চাদুটো আবারও হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়তে থাকে । ভদ্রলোক তার হাতে তীব্র ঝাঁকুনি দিয়ে বললেন, গোএহেড ম্যান ।

আহনাফ ফিরে চলে তার নিজের বাসার দিকে । এক সময়ের শান্ত নিরীহ আহনাফ সোমার প্রেমে পাগল হয়েছিলো । সোমার সাথে অবশেষে তার ভালোবাসা হয়, এমনকি বিয়েও । কিন্তু তার পাগলামোটা আর বন্ধ হয়নি । কোন কারণ ছাড়াই একটার পর একটা চাকরি ছেড়েছে আহনাফ । সোমা অনেক বুঝিয়ে শুনিয়েও তাকে স্থির করতে পারেনি । শেষে সোমা নিজেই একটা চাকরিতে যোগ দেয় । সোমা চাকরি নেয়ার পর আহনাফ আরও ছন্নছাড়া হতে থাকে । বাসার দিকে ফিরতে ফিরতে আহনাফ ভাবে, অনেক অনেক অন্যায় সে করেছে সোমার সাথে । কিন্তু আর না, এইবারই সে শেষ বারের মতো ফিরিয়ে আনবে সোমাকে । সরি সোমা, আমার লক্ষ্নী সোমা, এবারের মত তুমি আমাকে ক্ষমা করো ।

ঘরে ফিরেই আহনাফ সিদ্ধান্ত নেয়, আজই সে সোমাকে চিঠি লিখবে । তারপর কাল ঐ চিঠি সোমাদের বাড়িতে পৌছানোর পর সেও গিয়ে হাজির হয়ে সোমাকে চমকে দিবে । প্রেমের প্রথম দিকে আহনাফ সোমাকে চিঠি লিখতো, আজও সে লিখবে । চিঠি লেখার জন্য আহনাফ তখনই রিডিং রুমে চলে যায় । একটা কাগজ বের করে কি লিখে চিঠি শুরু করা যায় ভাবতে থাকে । ভাবতে ভাবতে হঠাৎ তার চোখ আটকে যায় টেবিলের এক কোনে পড়ে থাকা ফিকে হলুদ রঙের একটা কাগজের দিকে । মাছের চোখের মতো নির্মোহ দৃষ্টি নিয়ে সে কেবলই তাকিয়ে থাকে টাইপ করা সেই কাগজটির দিকে ।

গত সপ্তাহে কাগজটি এসেছিলো রেজিস্টার্ড ডাকে, সোমার পাঠানো ডাইভোর্স লেটার ।


**************************************

আরো কিছু গল্প:

দি হেলো ইফেক্ট

কে হায়, হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগায় :-< :-&


ছবি: গুগল ।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৭
৫৫টি মন্তব্য ৫৫টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×