প্রথম আলো পত্রিকা পড়া বাদ দিছি পহেলা বৈশাখে হাস্নাতের সেই গল্প টা পড়ার পর থেকে , তারপর সাভার দুর্ঘটনার পরে তারা যখন তাদের আনন্দ আয়োজন বন্ধ রাখতে পারল না এরপর থেকে কেউ প্রথম আলোর রেফারেন্স দিয়ে কোন কথা বললেও রাগ লাগত , আজ এক কলিগ জোর করে আজকের পত্রিকায় ছাপা হওয়া আসিফ নজরুলের কলাম টা পড়ে শোনাল , কলিগ বেচারি ২ মাস আগেও আসিফ নজরুল কে না চিনলেও এখন সে তাকে খুব চেনে কারণ সে জামাতের পক্ষ নিয়ে মানবতার কথা বলে , আর জামাতের পক্ষে যে চুষিল গিরি করে সেই তো সত্যিকারের মানবতাবাদী (?) , বেচারি কলিগ দাড়ি টুপি ওয়ালা লোকের খুব ভক্ত , কিন্তু আদতে চুষিল তাই সে নজরুল সাহেবের সঙ্গে পুরা একমত , আমাদের গণজাগরণ মঞ্চ শুরু হওয়ার পর থেকে অনেক চুষিল ও ছুপা ছাগু একে একে সামনে আসছে ,এরা রাত জেগে টিভি টক শো দেখে তবে বেছে বেছে তাদের পছন্দের লোক গুলোর জাবর কাটা শোনে খুব মনোযোগ দিয়ে তারপর অফিসে এসে তাদের সে অর্জিত জ্ঞান উগরাতে থাকে দিনভর , এরা শুধু লীগ বিরোধিতার জন্য বাশের কেল্লা সহ বি এন পি ও জামাতের যে কোন অপ প্রচার নির্দ্বিধায় বিশ্বাস করে , এবং সে কথা খুব বড় গলায় প্রচার করতে পছন্দ করে কারন ভিতরে মাল মশলা না থাকলেও এতে সমাজে সুশীল পরিচয়ে থাকা যায় , আর এইসব নব্য চুষিল গো নিয়া হইছে মহা ঝামেলা কলসি যেহেতু খালি তাই সারাদিন বাজতেই থাকে , এদের যদি বলা হয় ভাই আপনি যা বলছেন এটা কোথায় পেলেন ? ক্যান টিভি টক শো তে ওমকে কইছে তমকে পত্রিকায় লেখছে, তিনারা অধ্যাপক মানুষ তিনারা কি আর ভুল লিখব ? এরপর ম্যা ম্যা ব্লা ব্লা .............................. ভাই আমি অমক জিনিশ টা নিজ চোখে দেখছি , এবার মাতকার আর ও জোরে অই মিয়া অধ্যাপক সাইবে কইছে আর আপনি তার তে বেশি বুঝেন ? অই আপনি কেডা ? ম্যা ম্যা ব্লা ব্লা ..................
যাক কলিগের পেঁচাল বাদ দিয়ে এবার আমরা আসিফ নজরুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক তার সম্পর্কে কিছু জানি, তিনি একজন অধ্যাপক মানুষ পত্রিকায় কলাম লেখেন বিশেষ করে আলু পত্রিকা তার খুব প্রিয় , আসিফ নজরুলের লেখার সাথে বেশ আগে থেকেই পরিচয় আমার, যখন তিনি টিপাই মুখ বাধ নিয়ে কলাম লিখতেন বেশ ভাল লাগত আমার তার কথা গুলো , বাহ কি সুন্দর সুশীল কথা বার্তা , তখন এত কিছু বুঝি নাই ভাবতাম নিজের আত্মিক তাড়না থেকেই তিনি এসব বলছেন । ইন্টারনেট সার্চ দিয়ে তার সম্পর্কে অনেক কিছুই পড়লাম তার সম্পর্কে যে সব অভিযোগ গুলো বেশি সমালোচিত তার কয়েকটা
তিনি বর্তমানে অধ্যাপক ও একজন টক শো স্টার এর চাইতে ও বড় পরিচয় উনার ছিল ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির একজন সদস্য । বি এন পি সরকার গন আদালত গঠনের কারণে ২৪ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র দ্রোহ মামলা দেয় আসিফ নজরুল ও সেই মামলার আসামী ছিল , অন্য সব আসামী সরকারি হয়রানির শিকার হলে ও আসিফ নজরুল সেই সময়ে ঢাবি তে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন এবং কমনওয়েলথ স্কলারশিপ নিয়ে লন্ডনে পাড়ি জমান । শাহরিয়ার কবিরের জাহানারা ইমামের শেষ দিনগুলি (১৯৯৫) http://www.mediafire.com/?c9wauxb978o35c3 থেকে জানা যায় কিভাবে জাহানারা ইমাম এবং ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাথে বেইমানি করেছিল হালের চুষিল আসিফ নজরুল । আসিফ নজরুল জাহানারা ইমাম কে যে চিঠি টি লিখেছেন তাতে দেখা যায় “ ওর মা ওর ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের কথা ভেবে ওকে এসব কাজে জড়াতে নিষেধ করেছেন , সে মার কাছে কসম খেয়েছেন যে ওঁসব কাজ আর করবেন না । তার ঢাবি তে নিয়োগ হয়েছিল জামাতি ভিসি এরশাদুল বারির হাত ধরে ।
যে পরিচয়ে উনি পরিচিত হয়েছিলেন সেখানেই উনাকে ষড়যন্ত্র কারির অভিযোগ এবং তার পরবর্তীতে সাইদি যুদ্ধাপরাধী নয় এমন মন্তব্য শুনে অনেকেই সন্দেহের চোখে দেখতে শুরু করেন এবং মির কাশেম আলির বুদ্ধি জীবী কেনার মিশনে নজরুল ও আছে কিনা সেই সন্দেহ ঘনীভূত হয় কালের কণ্ঠ ২৭ আগস্ট ২০১০ তারিখে জামাতের ঢাকা মহানগরীর আমির রফিকুল ইসলামের গ্রেফতারের একটি খবর দেয় তাকে ধরার সময় তার কাছ থেকে নানান কাগজ পত্র জব্দ করে পুলিশ , সেই সব জব্দ করা কাগজে দেখা যায় জামাতের এক নীল নকশার চিত্র – যুদ্ধ অপরাধের বিচার নিয়ে ঘন ঘন সেমিনার করতে হবে যারা সরাসরি জামাতের রাজনীতি করেন না এরকম লোকে দের এসব সেমিনারে হাজির করতে হবে , তাদের সেই নথি তে বঙ্গবীর (মতান্তরে ভণ্ড বির ) কাদের সিদ্দিকি , শাজাহান সিরাজের মত মানুষ গুলো কে সেসব সেমিনারে ভেড়ানোর পরিকল্পনা করা হয় , উদ্ধার করা কাগজ অনুসারে জামাতের নিজস্ব বিশিষ্ট জনদের তালিকায় আছেন ঢাবির আসিফ নজরুল , কমরেড সাইফুল হক ও ফরহাদ মাজহার ।
হ্যাঁ আসিফ সাহেব মাঝে মাঝে বি এন পির সমালোচনা ও করেন বটে তবে তা পরিশীলিত ভাষায় ও ছোট ছোট করে । বি এন পি আমলে ২১ আগস্ট হামলার আলোচনায় উনি তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামীলীগের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন সে হামলার পর পর কেন মিছিল করা হল তাই নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যে ঘটনা সাজান কিনা । এমন কি মিছিল ছত্র ভঙ্গ করতে পুলিশ যে লাঠি চার্জ করে তা নিয়ে তিনি মন্তব্য করেসিলেন সরকার আর কি বা করতে পারত লাঠি চার্জ ছাড়া । এখন ও তিনি বিভিন্ন টিভি টক শো তে জামাত বি এন পির পক্ষ নিয়ে নির্লজ্জ মিথ্যাচার করছেন মিষ্টি কথায় ভুলিয়ে । হুমায়ন আজাদের একটা উক্তি ছিল
“ বাংলাদেশে মূর্খ দের চেনার সহজ উপায় টেলিভিশনে কোন আলোচনা অনুষ্ঠান দেখা ”
-প্রবচন গুচ্ছ :৫৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




