ঠিক আছে, যথেষ্ট হয়েছে। তুমি আর কখনো আমার দেখা পাবে না। ভালো থাকো। আমি তোমার সাফল্য ও আনন্দময় জীবন কামনা করি। তোমাকে ভোলা আমার জন্য সহজ নয়। আমরা কিছু সুখময় সময় একসঙ্গে কাটিয়েছি যা আমার হৃদয়ে সবসময় দাগ কেটে থাকবে। বি কেয়ারফুল তোমার নতুন কোন সঙ্গী বাছাই করতে। কারণ তুমি বেশ আবেগপ্রবণ এবং সুন্দরী।
চিঠিটা হাতে নিয়ে থ হয়ে রয়েছে ইরীন। কিছু ভেবে পাচ্ছে না। কি থেকে কি হলো। সুমন হারিয়ে গেছে। তার জীবন থেকে চলে গেছে ভাবতে পারছে না। কিন্তু সে তো এটাই চেয়েছিল।
মনে আছে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার জন্য বান্ধবীদের সঙ্গে ভর্তি ফরম কিনতে গিয়েছিল। প্রচন্ড ভীড়। ভীড় ঠেলে কিছুতেই ভর্তি ফরম কেনা ইরীনের পক্ষে কেনা সম্ভব নয়। কোনো কোনো বান্ধবী সেই দিন ফরম কেনার পরিকল্পনা বাদ দিলো। কেউ কেউ বললো কোন কোচিং সেন্টার থেকে বেশি টাকা দিয়ে ফরম একটা জোগাড় করে নেবে। ওর বান্ধবী জেরিন ওদের ভয় দেখালো গত বছর কোচিং থেকে কেনা অনেক ফরম বাতিল করে দিয়েছে।
এই সময় হঠাৎ করে কোত্থেকে এসে হাজির হলো সুমন। ও বিশ্ববিদ্যালয়ের থার্ড ইয়ারে পড়ে। ইরীনদের বাসার এক বাড়াটিয়ার মেয়েকে পড়ায়। সুমনের দিকে ইরীন ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছে দেখে ও সামনে আসে। এর আগে কেউ কোনদিন কথা বলেনি। সুমন বলল, ভর্তি ফরম তুলবেন। ইরীন মাথা ঝাকালো।
কয়টা?
ইরীন তাকে সহ সব বান্ধবীদের গুনে বললো দশটা।
এতগুলো এক সাথে নেয়া যায় কিনা, সুমন কথা শেষ করে না। ওদের রেখেই চলে যায়। দশ মিনিট পড় আবার হাতে ভর্তি ফরম নিয়ে এসে হাজির হয়। ফরমগুলো ইরীনের হাতে দিয়ে বলে এখানে দশটি ফরম আছে। গুনে দেখুন। ফরমের দাম তিন হাজার টাকা।
ইরীন সব বান্ধবীর কাছ থেকে ফরমের টাকা নিয়ে সুমনের হাতে দেয়।
তারপর একটানা চার বছর সুমন আর ইরীনের সম্পর্ক।
চলবে

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




