somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কবিতা অথবা গল্প লিখার কারনেও ব্লগারদের গ্রেফতার করা হবে ?

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সম্প্রতি মন্ত্রিসভার বৈঠকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদিত হয়েছে। পুলিশকে সরাসরি মামলা করা ও পরোয়ানা ছাড়া গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া, কয়েকটি ধারা অজামিনযোগ্য করা এবং আমলযোগ্য নয় এমন অপরাধকে আমলযোগ্য হিসেবে গণ্য করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এই আইনে বলা হয়েছে, যেকোন ধরণের 'উস্কানিমূলক বক্তব্য' 'মানহানি এবং কুৎসা রটনা' ইত্যাদি করা হলে যেকোন ব্লগ বা ফেসবুক ব্যবহারকারীকে পুলিশ ধরে নিয়ে রিমান্ড চাইতে পারবে, এবং তাদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য মামলা দিতে পারবে। বিচারে তাদের সাত থেকে চৌদ্দ বছরের কারাদণ্ডেরও বিধান করা হয়েছে।

তাছাড়া এই আইনের ৫৭ ধারায় বলা হয়েছে, ‘‘ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে মিথ্যা ও অশ্লীল কিছু প্রকাশ করলে এবং তার কারণে মানহানি, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগলে বা কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়া হলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।’’

ইন্টারনেটকে পুঁজি করে ইতিবাচক কর্মকান্ড পরিচালনা করা মানুষদের সংখ্যা যেমন অজস্র, ঠিক তেমনি নেতিবাচক কর্মকান্ড পরিচালনা করা দুবৃত্তের সংখ্যাও কম নয়। অনলাইনকে ব্যাবহার করে, বর্তমানে যেভাতে মিথ্যাচার, অশ্লিলতা, প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর মাধ্যমে মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে। তা রুখে দেয়ার জন্য আমরা যখন ২০০৬ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছিলাম, ঠিক তখনি রাষ্ট্রযন্ত্র এই আইন সংশোধন করেছেন। কিন্তু দুংখজনকে হলেও সংশোধিত এই আইনের কারনে খুশি হতে পারছি না বরং হতাশ হচ্ছি, তথ্যপ্রযুক্তি আইনের এই অস্পষ্ট সংশোধন দেখে অজানা আতঙ্কে ভুগছি।

দেশের অন্য সকল আইনে অপরাধের সংজ্ঞা স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ থাকলেও, এই আইন সম্পুর্ণ অস্পষ্ট, ঠিক কি করলে অপরাধ হবে অথবা কোন কাজকে অপরাধ হিসেবে গন্য করা হবে তাও স্পষ্ট করে বলা হয়নি। এই আইনে মিথ্যা, মানহানি, ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, উসকানি ইত্যাদি শব্দদ্বয় ব্যাবহার করলেও, এসব শব্দের সংজ্ঞা কি অথবা ঠিক কোন ধরনের লিখাকে আইন মোতাবেক উপরোক্ত বিশেষনে বিশেষায়িত করা যাবে / হবে, সে বিষয়েও সবাইকে অন্ধকারে রাখা হয়েছে।

এই আইন এতই অস্পষ্ট এবং অসংগতী পূর্ণ যে, এটাকে ইতিবাচকের চেয়ে নেতিবাচক উদ্দেশ্যে বেশি ব্যাবহার করা হবে, এই আইন বাস্তবায়িত হলে, বাক স্বাধীনতা চর্চা মুষড়ে পড়বে, যে কোন মহল চাইলেই নীরিহ নিরপরাধ মানুষকে ফাঁসাতে পারবে, এমনকি সত্য কথা বলার কারনেও যে কাউকে গ্রেফতার করা যাবে, হয়রানির মুখে ফেলা যাবে।

এই আইনে এতই ফাক-ফোকর বিদ্যমান যে, এটি পাশ হলে কবিতা অথবা গল্প লিখার কারনেও, কোন এক ব্যাক্তিকে সবোর্চ্চ সাস্তির মুখোমুখী করা যাবে।
কয়েকটা উদাহারন দেই -

সংবিধানের ২৮(২) ধারায় বলা হয়েছে, "Women shall have equal rights with men in all spheres of the State and public life "

কিন্তু বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন বহুদিন ধরেই এ কথার বিরোধীতা করে আসছেন, এই কথাকে ধর্ম বিরোধী উল্লেখ করে হেফাজত সহ একাধিক ধর্ম ভিত্তিক সংগঠন বহুবার এই আইন সংশোধনের দাবী জানিয়েছেন, দাবী বাস্তবায়নের লক্ষে একাধিকবার আন্দোলন করেছেন । কখনও কখনও আন্দোলন সহিংসতায় রুপ নিয়েছে।

অন্যদিকে প্রগতিশীর সমাজের কিছু মানুষ এই আইন বলবৎ রাখার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন, সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারী পুরুষের সমান অধিকার বাস্তবায়নের দাবীতে আন্দোলন করছেন।

ধরুন, কোন এক ব্যাক্তি নারী পুরুষের সমান অধিকার বজায় রাখার পক্ষে ব্লগ অথবা ফেইসবুকে একটি কবিতা লিখেছেন, অথবা কেউ একজন তার গল্পের মাধ্যমে সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীর সমান অধিকার বাস্তবায়নের লক্ষে সবাইকে একতাবদ্ধ হওয়ার আহব্বান জানিয়েছেন, অথবা তার কবিতার মাধ্যমে, যারা নারীদের সমান অধিকার বাস্তবায়নের লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন, তাদেরকে উৎসাহিত করার চেষ্টা করেছেন।

এখন, যেহেতু হেফাজত সহ বিভিন্ন ধর্মভিত্তিক সংগটন এই আইনকে ধর্ম বিরোধী আখ্যায়িত করে এর বিরোধীতা করছে, সেহেতু উপরোক্ত গল্প-কবিতা নিশ্চই তাদের ধর্মানুভুতিতে আঘাত করবে , তারা এই আইনকে ব্যাবহার করে ওই কবি/গল্পকারের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে মামলা করবে।

আর আইন সম্মত এবং সংবিধানের পক্ষে কথা বলার পরও দুর্ণিতীগ্রস্থ পুলিশ সদস্যদের ব্যাবহার করে (পুলিশের মধ্যে বহু দুর্ণিতীগ্রস্থ সদস্য আছেন, একথা বহুবার প্রমাণিত হয়েছে) সেই ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করিয়ে রিমান্ডে নেয়াবে, সংবিধান অনুযায়ী সম্পুর্ণ নিরপরাধ হওয়ার পরও শুধুমাত্র এই অস্পষ্ট, অসংগতীপূর্ণ আইনের ফাকফোকর ব্যাবহার করে সেই ব্যাক্তিকে বিনা জামিনে দীর্ঘদিন আটক রাখা হবে !!

ধরুন, ব্লগ অথবা ফেইসবুক ব্যাবহার করে, কোন এক হিন্দু ধর্মালম্বি তার লিখায় হিন্দু ধর্মকে একমাত্র সত্য এবং শ্রেষ্ট ধর্ম প্রমাণ করার চেষ্টা করে, সবাইকে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করার আহব্বান জানিয়েছেন। তখন নিশ্চই তার লিখার কারনে মুসলিম অথবা অন্যান্য ধর্মালম্বিদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগবে, তখন যদি অন্যান্যরা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগ তুলে সেই লেখকের বিরুদ্ধে মামলা করে, তাহলে কি তাকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করে নির্দোষ প্রমাণ হওয়ার আগ পর্যন্ত দীর্ঘদিন আটকে রাখা হবে ?

এই আইনের সাজার মেয়াদেও রয়েছে ভয়াবহ অসংগতি, মরনাস্ত্র নিয়ে দাঙ্গায় জড়িত হওয়া ব্যাক্তি অথবা ফোন-চিঠির মাধ্যমে হত্যার হুমকী দেয়া ব্যাক্তির সাজার পরিমাণ ২-৩ বছর হলেও, অনলাইনে লিখার কারনে সর্বনিম্ন ৭ বছর থেকে ১৪ বছর কারদন্ডের বিধান করা হয়েছে। একজন অনলাইন এ্যাকটিভিস্টের অপরাধ যত ক্ষুদ্রই হোক না কেন, তাকে মরনাস্ত্র বহনকারী ব্যাক্তির চাইতেও বেশি সাজা ভোগ করতে হবে।

বাক-স্বাধীনতা মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার, আর সমালোচনা বাকস্বাধীনতার অপরিহার্য অংশ, একটি গনতান্ত্রিক দেশের নাগরিকদের সমালোচনা করার অধিকার আছে।

ধরুন, কেউ একজন অন্য কারও ইতিবাচক সমালোচনা করছেন, কিন্তু যে ব্যাক্তির সামলোচনা করা হয়েছে, তিনি যদি মানহানি মামলা করে বসেন, তাহলে কি সেই সমালোচককে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়া হবে অথবা তার সমালোচনার কারনে সেই ব্যাক্তির মানহানী হয়েছে বিচারে যদি তা প্রমাণিত হয়, তাহলে কি শুধুমাত্র সমালোচনা করার কারনে লেখককে সাত-থেকে চৌদ্দ বছরের সাজা দেয়া হবে ?


তাছাড়া এই আইনকে অজামিনযোগ্য করার কারনে বহু নিরপরাধ মানুষকে নির্দোষ প্রমাণ হওয়ার আগ পর্যন্ত দীর্ঘদিন (সেটা কয়েক বছরও হতে পারে) কারাগারে আটক থাকতে হবে।

কেউ যদি উস্কানী, মিথ্যাচার অথবা ধর্মানুভুতিতে আঘাত না দেয়ার উদ্দেশ্যে লিখে থাকে, অথবা তার লিখায় যদি কারও ধর্মানুভুতিতে নাও লেগে থাকে, তখনও পুলিশ চাইলে লেখককে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করে, রিমান্ডে নিতে পারবে এবং নিদোর্ষ প্রমাণ হওয়ার আগ পর্যন্ত বিনা কারনে আটকে রাখতে পারবে।



বাংলাদেশে ব্লগারদের ওপর হামলার ঘটনা নতুন নয়, শুধুমাত্র বাক স্বাধীনতা চর্চার কারনে রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে মৌলবাদীরা পর্যন্ত ব্লগারদের মুখ চেপে ধরার চেষ্টা করছে। মৌলবাদীরা এই পর্যন্ত একাধিক ব্লগারকে কুপিয়ে আহত করেছে, একজনকে গলা কেটে হত্যা করছে।

অন্যদিকে রাজনৈতিক দলের নেতারা ব্লগারদের তুরুপের তাস বানিয়ে গদি দখলের অপচেষ্টায় লিপ্ত আছেন, আর সেই সুত্র ধরে একটি পত্রিকা দীর্ঘদিন ধরে ব্লগ এবং ব্লগারদের নিয়ে ঢালাও ভাবে মিথ্যাচার চালিয়েছে, গুটিকয়েক বিপথগামী মানুষের কুকর্মের প্রমাণ টেনে সকল ব্লগারকে ধর্মবিদ্ধেষী প্রমাণ করার চেষ্টা করেছে, শুধুমাত্র ভোটের রাজনীতিতে সফল হওয়ার জন্য ব্লগারদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। তাদের উস্কানির কারনে হেফাজত অথবা বাংলাটিমের মতো মৌলবাদী সংগঠনের জন্ম হয়েছে, বাংলাটিমের সদস্যরা আজও ব্লগারদের হত্যা করার জন্য মরনাস্ত্র নিয়ে ঘুরছে।



এত কিছুর পরও ব্লগাররা দমে যায়নি, তারা আইনের শাষনের উপরে ভরষা করে বাক স্বাধীনতা চর্চা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু দুংখজনক হলেও আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্র যে আইন বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছেন, সে আইন যদি বাস্তবায়িত হয় তাহলে যাওয়ার কোন যায়গা থাকবে না, একদিকে ব্লগারদের কুপানো হবে অন্যদিক আইন লঙ্গনের দায়ে কারাগারে প্রেরণ করা হবে। এই আইন বাস্তবায়িত হলে বাক স্বাধীনতা মুষড়ে পড়বে। অপরাধের অস্পষ্ট সংজ্ঞায়ন, অভিযোগের জামিন অযোগ্যতা ও সর্বনিম্ন শাস্তির অস্বাভাবিক মাত্রার ভয়ে নতুন লেখকরা মত প্রকাশে নিরুৎসাহিত হবে, ক্রমাগত হয়রানি অথবা ভীতির কারনে বাক স্বাধীনতা চর্চা বন্ধ করতে বাধ্য হবে।

দুষ্কৃতকারীদের রুখতে আইন করার প্রয়োজনীয়তা আছে, তবে সে আইন অসংগতীবিহীন, নিখুত এবং স্পষ্ট হতে হবে । আইনের কারনে নিরপরাধ ব্যাক্তিরা যাতে হয়রানির মুখে না পড়ে তা নিশ্চিত করতে হবে, এই আইনকে রাজনৈতিক স্বার্থে ভিন্নমত দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যাবহার করা হবে না, তা নিশ্চিত করতে হবে। আইনটিকে অবশ্যই জামিন যোগ্য এবং অ আমলযোগ্য করতে হবে। আইন কারা প্রয়োগ করবেন, অনলাইন সম্পর্কে তাদের ধারনা কতটুকু অথবা তাদের যোগ্যতা কীভাবে নিধারন হবে এসব ব্যাপারে আইনের মধ্যেই স্পষ্ট ব্যাখ্যা থাকতে হবে।

আর তা যদি কোন কারনে করা সম্ভব না হয়, তাহলে বাক স্বাধীনতা এবং নাগরিক অধিকার রক্ষার স্বার্থে অবিলম্বে এই আইন বাতিল করতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:১১
২৩টি মন্তব্য ২৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×