একটি বছরের সাথে সাথে একটি বিশ্বাসেরও মৃত্যু হল। বাংলা লীকস কতৃক সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাইিদীর ফোনালাপ থেকে অনেকেই অনেক কিছু জেনেছেন, সাথে সাথে আমি অধমও জানলাম। কোন মানুষই দোষত্রুটির উর্ধে নয়, সাঈদীও যে দোষ ত্রুটিমূক্ত একজন মানুষ নয় সেটা কিছু কাঠালপাতা ভোজী দুপেয়ে প্রানী কিছুতেই বিশ্বাস করতে আগ্রহী নয়। পৃথিবীর বড় বড় মনিষী, লৌহপুরুষ এমনকি ধর্মপ্রচারকরাও যে কাম নামক প্রবৃদিটা পরিহার করতে পারেন নি সেটা জেগে ঘুমিয়ে থাকলে কাউকে বোঝানো সম্ভব নয়।
অনেক অনেক আগে, প্রতি বছর আমাদের বাড়ীর সামনেই প্রতি ডিসেম্বর মাসে তাফসীরুল কোরআন মাহফিল আয়োজন হত, প্রধান অতিথি থাকতেন বিশ্ববরন্যে মোফাস্সেরে কোরান, আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী। শুধু কোরআন ছাড়াও দুনিয়াবী নানান বিষয়ে উনার তাফসীর থাকত। শুনে আমরা কখনো কখনো কেদে দিতা।
মনে পড়ে, একবার তিনি পর্দার আড়ালে মা-বোনদের জন্য ওয়াজ করছিলেন। স্বামী-স্তীর দাম্পত্য জীবন সম্পর্কিত আলোচনা। তো তাফসীরে তিনি বললেন, তার দীর্ঘ বিবাহিত জীবনের কথা, উনি নাকি তার স্ত্রীকে আপনি ছাড়া সম্মোধন করেন না। স্ত্রীও তাকে আপনি ছাড়া কথা বলেন না, রাতে শুতে যাওয়ার আগে তিনি স্ত্রীকে মহব্বতের সহিত বিসমিল্লাহ বলে মধু পান করান, ব্লা ব্লা ব্লা। মোটকথা সারমর্ম হল তারা কোরান সুন্নাহর আলোকে জীবন যাপন করেন, যার জন্য নাতি নাতনী বড় হওয়া স্বত্তেও তাদের সাংসারিক জীবন যেমন সদ্য বিবাহিত জীবন।
তাফসীর শুনে অনেকে কেদেছেন, অনেকে অপরিসীম শ্রদ্ধা করা শুরু করেছিলেন তার প্রতি।
গত কয়েকদিনের তার ফেসে যাওয়া ফোনালাপের একটিতে তার স্ত্রীর সাথে কথোপকথনের আলোকে বলা যায়, শালা কত বড় ভন্ড।
অনেকেই তার ফোন ট্যাপিং কে ভুয়া বলছেন, সফটও্যার দিয়ে বানানো বলছেন। এমন একজন সেদিন যখন আমি স্পিকারে ভলিউম উচু করে দিয়ে শুনছিলাম তার আর তার বউয়ের ঝগড়া, সে এসে উপস্থিত, এসেই বলছে ভাই সাঈদির ওয়াজ শুনছেন মনে হয়? আজ কি হল? কোনদিন তো তার ওয়াজ শুনতে দেখলাম না। আমি বললাম ভাই একটু বসেন, মন দিয়ে ওয়াজটা শুনেন, কিছুক্ষন শোনার পর তার মাথায় আকাশ ভেন্ঘে পড়ল। বলল, ভাই এইটা কোনমতেই সাঈদির গলা হতে পারেনা, এটা সফটওয়্যার দিয়ে বানানো, অথচ একটু আগেও কিন্তু কোন কিছু না বুঝে শুধু সাঈদির ভয়েস শুনেই বলছিল ভাই কি সাঈদীর ওয়াজ শুনছেন??
হায়রে দুনিয়া।