বিগত জরুরী সরকারের আমলে ওসমান গণি নামে এক বন রাক্ষস ধরা খেয়েছিলেন , বন বিভাগের কর্তাব্যক্তি হয়ে তিনি পুরো বনবিভাগকেই ' গণিমতের মালে ' পরিণত করেছিলেন , তার বিশাল হা থেকে গাছের লতা গুল্ম ও বাদ যায়নি , গণি এখন লাল দালানে , হয়ত বসে বসে তসবি জপছেন !।
সেই জরুরী সরকার আর এখন নেই, এখন ডিজিটাল সময়! তাই গণিরা চুপসে গেলেও ফণা তুলে বসে আছেন সরকারি দলের বীর-বাহাদুর রা। রাঘল বোয়াল থেকে শুরু করে সরকারি দলের চুঁনোপুটি বাবাজিরা ও পিছিয়ে নেই মাল কামাতে।
কিছুদিন আগে মিরপুরের এক গডফাদার এমপিকে দেখলাম হাসপাতালের জায়গা গিলে সেখানে গার্মেন্টস-এর সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছেন( তথ্যসূএ: প্রথম আলা)। আহারে শিল্পায়নে বিশ্বাসী এ দেশহিতৈষী হয়ত ভেবেছিলেন জায়গাটা খালি খালি পড়ে আছে, তার চেয়ে বরং একটা কারখানা খুলে বসলে মন্দ কী? তাতে তো দেশের ই মঙ্গল ! দু-চারটা বেকারের ও পুনর্বাসন হলো(?)।
গত ২ বছরে দখল আর চাঁদাবাজির রমরমা বাণিজ্য ছাড়া সরকারের অগ্রগতি আর কিছুই দেখা যায়না। খাসজমি কিংবা রেলওয়ের জায়গা দখল করে কেউ মার্কেট বানিয়েছেন , আবার কেউবা দলীয় অফিস খুলে বুঝিয়েছেন তেনারা সরকারের কত্ত বর সমর্থক! কেউ কেউ আবার খাল-বিল দখল করে আবাসন ব্যবসাটাও জমিয়ে ফেলেছেন ।কেউ গাছ কাটছেন, কেউবা বাঁশ খাচ্ছেন,আবার কেউবা মান্ধাতার আমলের পুকুর চুরি বাদ দিয়ে এখন খাল-বিল চুরি করা শুরু করেছেন....ডিজিটাল বলে কথা!!!সাবাস, বাঙালি সাবাস। পাতি নেতা থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি কেউ বাদ যাননি এ কুকর্ম থেকে , জাবি ভিসি তো গাছ কর্তনের একটা ছোটখাট মহড়া দিয়ে তার এ অনন্য গুণকীর্তি জাহির করেছেন..চালিয়ে যান দাদা, জাতি আপনাকেই খুঁজছে.....

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




