ফাকিস্তানকে বলা হয় সন্ত্রাসীদের আশ্রয়স্থল।পৃথীবিতে ইসলাম ধর্মকে এবং মুসলিম জনগোষ্ঠীকে বিতর্কিত কারা মুল হোতা ওসামা বিন লাদেন থেকে শুরু করে অনেক সন্ত্রাসী এই দেশে বসবাস করে বা করতো।এদেশের এমন কিছু নাই যা নিয়া এরা বড়াই করতে পারে।একটা জিনিষ অবশ্য আছে কয়টা পারমানবিক বোমা তাও অবস্থা হলো (বাপে ভাত পায়না পোলায় কাগুজি লেবু কচলায়) এরা লুজার জাতি ৭১ এ বাংলাদেশের কাছে যুদ্ধে পরাজিত শক্তি।
এরা ক্রিকেটে ভালোই খেলতো বাট ক্রিকেটে শুরু করলো টাকা খেয়ে ম্যাচ হারার অসৎ সিস্টেম ম্যাচ ফিক্সিং।ক্রিকেটে নিষিদ্ধ খেলোয়ারের তালিকায় ফাকিস্তানিদের সংখ্যাই বেশি।মোদ্দাকথায় বলা যায়** যা কিছু খারাপ তার সাথেই ফাকিস্তান** এদেশকে আমি স্বাধীন মনে করিনা।এদেশকে মনে হয় একটা আমেরিকান স্টেট।
২০০৫ সালে লন্ডনের আন্ডারগ্রাউন্ড বোমা হামলার পর থেকে পুরো ইউরোপ জুড়ে শুরু হলো নিরপত্তা নিয়া টেনশান।সেই সময় শুধু মুসলিম নাম হওয়াতে আমাদের মত অভিবাসিদের অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়ছে পুরো ইউরোপ জুড়ে।কারন লন্ডনের বোমা হামলায় জড়িত ছিল তিন জন ফাকিস্তানি উদ্ভুত জারজ সন্তান।এদের ছিল আমাদের মত মুসলিম নাম।
২০০৭/২০০৮ এর দিকে আমার ৩টা ফ্রেন্ড ইটালিতে আসছিলো স্টুডেন্ট ভিসায় ।এয়ারপোর্টে ইমিগ্রশান চেকিং এর সময় আমার ফ্রেন্ডেদের চেক করে বলল ওকে যাও তোমরা।তাদের আগে ছিলো দুইটা ফাকিস্তানি ওদেরকে নিয়া গেলো পুলিশের জিম্মাখানায়।বাসায় এসে ফ্রেন্ড বলল শুধু
আজকে বাংলাদেশি হবার কারনে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী হবার কারনে আমরা এয়ারপোর্টে হয়রানি থেকে রেহাই পেলাম আর সেই ফাকিস্তানি হবার কারনে ওরা পড়লো ঝামেলায়।
পাকিস্তানের জাতীয় সঙীতের কম্পোসারের নাম আহমেদ ঘুলামালি ছাগলা , তাদের জাতীয় পশু হচ্ছে মারখোড়, এক ধরনের বন্য ছাগল, এদের সমর্থক যারা বাংলাদেশে থাকে তারা হচ্ছে ছাগু। আমরা আসলে এমন ছাগল পাকিস্তানই চেয়েছিলাম।
একজন ইজাজ ভাই ও তার ভন্ডামি:এক ফাকিস্তানির সাথে ইতালিতে পরিচয়।আমার ফ্রেন্ডের ইন্টারনেট ক্যাফে এন্ড ফোন সেন্টারে।সেখানে ফোন লাইন সাপ্লাই দেয়।এরাবিক ইন্ডিয়ান আর ফাকিদের পেলে আমি অলওয়েজ **এ্যাটাক ইজ দ্য বেস্ট ডিফেন্স** থিওরি এপ্লাই করি।দিলাম এ্যাটাক ফাকিরে ৭১ নিয়া।সে ছাগুদের স্টাইলে পিছলানো শুরু করলো।হিন্দি না উর্দুতে কথা শুরু করলো।আমি বললাম নো হিন্দি নো উর্দু ওনলি ইংলিশ অর ইটালিয়ান অর বাংলা।সে বলল আমি বাংলা পারি না আমি জবাবে বললাম তাহলে তুমি কি করে আশা করো আমি তোমার হিন্দি বা উর্দু পারি?সে বলল দেখো বন্ধু ভাইয়া আমি তারে থামিয়ে দিয়ে বললাম এই বন্ধু ভাইয়াটা কি জিনিষ?বন্ধু মানে ফ্রেন্ড আর ভাইয়া মানে ব্রাদার এই দুই শব্দ একসাথে কোনো ভাষাতেই যায়না।কি ফালতু ভাষা তোমাদের যে এই দুইটা শব্দ একসাথে ইউজ করো?সে এ্যাটাকের পর এ্যাটাকে থতমত খেয়ে বলল হাম লোগ ভাই হ্যায়।আমি কইলাম নো ফাকিং ওয়ে।ইউ আর নট মাই ব্রাদার।সে শুরু করলো ধর্মের দিকে নিয়ে যেতে।সে বলল আমরা মুসলিম ভাই ভাই হেন তেন।আমি কইলাম কেন তোমার বাপ চাচারা ৭১ এ যখন আমাদের মারছে তখন কি আমরা খ্রিস্টান ছিলাম?সে বলে সেসব করছে গভ:মেন্ট আমরা তো সাধারন পাবলিক।আমি বললাম তুমি স্যরি ফিল করো তার জন্যে?সে ছাগুদের মত করে বলল আমিতো সেখানে ছিলাম না আমি কিছু করি নাই।আমি বললাম বুঝেছি।
তার আবার গার্লফ্রেন্ড ছিল সাউথ আমেরিকান মানে এল সালভাদরের।আমি তারে বললাম ইসলামের কোন জায়গায় লিখা আছে তুই মুসলিম হয়ে একটা খ্রিস্টান মেয়ের সাথে লিভ টুগেদার করা জায়েজ?তুই না আমারে ইসলাম ধর্মের কথা কইলি?আবার খাইলো ধরা।এভাবে তারে পাইলেই জ্বালাইতাম।
কিছুদিন আগে তার সাথে দেখা ।খবর জিগাইলাম কিরে তোরে দেখিনা কেন ?ব্যাবসা কেমন চলে?বলে আমি শেষ।আমি খুশি হয়ে জিগাইলাম কেন কি হয়ছে?বলে আমার ব্যাবসা প্রায় বন্ধ বাট বাংলাদেশিদের কাছে পাওনা টাকা উঠাইতে পারছিনা।প্রতি ক্যাফেতে মিনিমাম ৫০০/১০০০ ইউরো আটকা পড়ছে।মোটামুটি ৫০০০ ইউরো মার্কেটে পড়ে আছে।আমি কইলাম তোরা ফাকিস্তানিরা নিজেদের চালাক ভাবিস খুব ?দেখ রোম সিটিতে কতটি ইন্টারনেট ক্যাফেতে তুই ফোন লাইন সাপ্লাই দিস?এই সব মালিক বাংলাদেশি এরা তোর ইনভেস্ট করা পয়সাই ফোন চালায় এবং মাস শেষে তোকে বিল দেয়।বাংলাদেশিরা নিজের পকেট থেকে একটা টাকাও খরচ করেনা বরং তোর টাকায় ব্যাবসা করে।এখন তোর টাকা গুলো মিলে মিশে হজম করছে।তারা তাদের ব্যাবসা ঠিকি চালাচ্ছে আর তুই গাধা ফাকিস্তানি রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে মরছিস।বল কে চালাক তোরা না আমরা?
আমি মাঝে মাঝে ভেবে অবাক হতাম এই লোক যদি রাগ করে আমারে একটা বক্সিং মারে আমি ৫ গ্লাস পানি খাওন লাগবে বাট কি এক নৈতিক দুর্বলতায় সে আমার অত্যাচার হজম করতো চোরের মত। ইহাই ফাকিস্তান।
সর্বেশেষ মজা এইখানেফাকিস্তান।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৯