হে আমার প্রাণের বাঙলা
হে আমার মনের বাঙলা
তোমাকে আমার সবটুকু ভালোবাসা
তুমি আমার বেঁচে থাকার আশা
এখানে আমার জন্ম হয়
আবার এখানে মৃত্যু হয়
এখানে জানাজা হয়
এখানে জিকির হয়
এখানে জিয়ারত হয়
এখানে জান্নাত হয়
এখানে মাগফেরাত হয়
এখানে ইবাদত হয়
এখানে মেজবান হয়
এখানে দাওয়াত হয়
এখানে যাকাত হয়
এখানে শবে-বরাত হয়
এখানে শবে-ক্বদর হয়
এখানে রহমত, বরকত, আত্মসংযম ও সিয়াম সাধনার
মহিমা নিয়ে আসে রমজানুল মোবারক
আর রমজানেরই রোজার শেষে ধনি-দরিদ্র বৈষম্য
ঘুচাতে খুশির বরাডালা নিয়ে আসে প্রতিটি মুমিনের ঘরে ঘরে
ঈদ-উল-ফিতর।
আবার আত্মত্যাগের মহিমায় বাঙলার প্রতিটি ঘরে ঘরে আসে ঈদ-উল-আজহা।
এখানে বিশ্বের বিশুদ্ধ মহামানব হযরত মুহম্মদ মুস্তফা (সা.) এর জন্ম জয়ন্তীতে
পালিত হয় জুশানে জুলুছে ঈদে মিলাদউন্নবী।
এখানে প্রতিটি ঘরে ঘরে ওয়াজ মাহ্ফিল হয়
এখানে প্রতিটি মহল্লায় সিরাত মাহ্ফিল হয়
এখানে প্রতিটি নগরে তাফসিরুল কোরান মাহ্ফিল হয়
এখানে সুলতানুল আরেফিন হযরত বায়েজিদ বোস্তামী (রহ.)
এর মাজারে ওরশ মাহ্ফিল হয়
এখানে নবীনবরণ হয়
এখানে বর্ষবরণ হয়
এখানে বধুবরণ হয়
এখানে মধুপূর্ণিমা হয়
এখানে দোলপূর্ণিমা হয়
এখানে প্রবারণাপূর্ণিমা হয়
এখানে গায়ে হলুদ হয়
এখানে বর আগমন হয়
এখানে শুভ বিবাহ হয়
এখানে শুভ নববর্ষ হয়
এখানে শুভ সকাল হয়
এখানে শুভ অপরাহ্ণ হয়
এখানে শুভ বিকাল হয়
এখানে শুভ স›ধ্যা হয়
এখানে শুভ রাত্রি হয়
এখানে তিননাথ মন্দিরে
হরে কৃষ্ণ হরে রাম রব উঠে।
এখানে বাঙলা মায়ের ঘরে ঘরে উলু উলু ধ্বনি উঠে।
এখানে প্রতিটি গির্জায় ঈশামসিহের রূপ দেখা যায়
এখানে প্রতিটি প্যাগোডার
অহিংসার বাণী নিয়ে গৌতমবুদ্ধ নেমে আসেন।
এখানে মসজিদে আজান হয়
বিশ্বজগৎ যখন গভীর ঘুমে তন্ময় তখন
আস্সালাতু খাইরুম মিনান্নাউম রবে ফজর হয়।
এখানে জোয়ার আসে
এখানে জোছনা নামে
এখানে ব্রহ্মপূত্রের জলে প্রতিমা বিসর্জন হয়
এখানে পূজা হয়
এখানে অর্চনা হয়
এখানে সূরের মূর্ছনা হয়
এখানে আব্বাস উদ্দীন গান করে
উত্তাল উল্লাস পদ্মানদীর
এখানে আবদুল আলীম সূর ধরে মনমাঝির
ফকির আলমগীর গায় গান সকিনার
আর আবদুল মান্নান রানা গান করে বন্দরনগরীর
এখানে সুজনবাদিয়ার ঘাটে বসে নকশিকাঁথা বুনে জসিম উদ্দীন
গুনটানা নৌকোতে জয়নুল আবেদীন
যশোরের সাগরদাঁড়িতে মিশে রয় মাইকেল মধুসূদন
এখানে বরফগলা নদীতে জহির রায়হান
গানে গানে প্রাণের যতো বেদনা লুকাতে চায় সাবিনা ইয়াসমিন
কোকিলকণ্ঠে গান গায় সুরের পাখি রুনা লায়লা
আকাশের ঠিকানায় ভালোবাসার চিঠি লিখে রুদ্্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
আর মা, মাটি ও মানুষের কথা লিখে যায় বেগম সুফিয়া কামাল
ুধার রাজ্যে যখন পৃথিবী গদ্যময়
পূর্ণিমা চাঁদকে তখন ঝলসানো রুটি মনে করে কালজয়ী কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য
এখানে ধানসিড়িটির তীরে ফিরে আসে জীবনানন্দ
জনতার মঞ্চে আবৃত্তি করে নির্মলেন্দু
আরকান রাজসভার নন্দিত হয় মহাকবি আলাওল
মুয়াজ্জিনের আজান শুনে ফুলের জলসায় নীরব থাকে
বিদ্রোহী কবি নজরুল
এখানে জন্ম নেয় হুমায়ুন কবির, হুমায়ুন আজাদ, হুমায়ুন আহমেদ
মাঝদরিয়ার আলোক বর্তিকা হয়ে জ্বলে উঠে ফররুখ আহমদ
এখানে জন্ম নেয় শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক
এখানে জন্ম নেয় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী
এখানে জন্ম নেয় মজলুম জননেতা মৌলনা আবদুল হামিদ খান ভাসানী
এখানে ঘুমিয়ে আছে শান্ত হয়ে লবীর সেনানী।
হে আমার মনোরমা বাঙলা
হে আমার বীর সেনানীর বাঙলা
হে আমার সোনার বাঙলাদেশ
তোমাকে আমার হৃদয় উজাড় করা ভালোবাসা
তোমার তরে আমার জীবন বিলিয়ে দেবো
তোমার বুকে মাথা রেখে যেনো আমার মরণ হয়
তুমি চিরজীবী হও।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




