ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সেমিনারে বক্তারা বলেছেন ওষুধের অযৌক্তিক ব্যবহারের কারণে মানব জীবন হুমকিতে পড়ছে।
রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত সেমিনারে বত্তারা এসব মন্তব্য করেন।
ব্রিটিশ কাউন্সিল, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ও ব্র্যাকের সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগ এ কর্মশালার আয়োজন করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী) অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী প্রধান অতিথি এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. আবুল হাশেম বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ ব ম ফার“ক, ব্রিটিশ কাউন্সিলের পরিচালক রবিন ডেভিস ও ব্র্যাক হেল্থ-এর পরিচালক ড. কাওছার আফসানা সম্মানিত অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার। ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের প্রভাষক হার“ন-অর-রশিদ ব্র্যাক হেল্থ সেন্টারে স্বাস্থ্য সেবা পদ্ধতি পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবু সারা শামসুর রউফ।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী) অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী ওষুধের যৌক্তিক ব্যবহারের উপর গুর“ত্বারোপ করে বলেন, এ ব্যাপারে ব্যাপক গণসচেতনতা গড়ে তোলা জর“রী। এ ¶েত্রে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। তিনি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির আহŸান জানান।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এক পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, দেশে ৫০ভাগ ওষুধের অপব্যবহার ও অপপ্রয়োগ ঘটছে। ওষুধের অপব্যবহারের কারণে মানব জীবন হুমকির দিকে যাচ্ছে।
তিনি প্রেসক্রিপশন প্রদানের ক্ষেত্রে আরও সাবধানতা অবলম্বন এবং চিকিৎসা শিক্ষকে একমাত্র মানব কল্যাণে ব্যবহারের জন্য চিকিৎসকদের প্রতি আহŸান জানান। তিনি বলেন, ওষুধের যৌক্তিক ব্যবহার স¤পর্কে সাধারণ মানুষ ও রোগীদের সচেতন হতে হবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




