somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কবিতাভ্রমন: দরিয়ানগর-সোনাদিয়া প্রজাপতি বনে

০৪ ঠা জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


মনির ইউসুফ

নীলের বিলে বেড়ে ওঠা এই পলিমাখা সমতল ভূমি। পাহাড় ও জলের শহর দরিয়ানগর। তরমুজমাটি ও রাঙাবালির সহচর্যে লবণস্বাদ মেখে পড়ে থাকে এইচর। সে চরে হাঁটে মানুষ, লাঁলকাকড়া, ওড়ে বালিহাঁস, গঙ্গা কইতর, জলে ডুবে পানকৌড়ি, সাদা বক। সে চর আবেশের আদরে খুলে দেয় বুকের বোতাম। জড়িয়ে রাখে আকুলতা, রেতের ধার। এ আমার জন্মশহর। এই ভূখন্ডের পলির বুকে বুকে জাদুময়তা, পরাবাস্তবতা, সৃজনশীল মানুষ কত ভাবেই না মুগ্ধ হয়ে ওঠে। জলের বুকে বুকে ঢেউ, রেতবালির বুকে বুকে বিচ্ছুরণ,সাগরে গইরের শিরশিরানি, স্বপ্নের নীলও বিশাল বিলের মাটি মায়া এইচর রেখেছে ধরে। রাত এসে চোখ টিপে দিয়ে যায়, চাঁদ এসে জোছনা নামায়। মাছভুমি জলের বিথারে ছড়ায় সমুদ্রচ্ছুরণ। জলের প্রাণী, ডাঙার প্রাণী, প্রবাল শৈবাল, ঝিনুক শামুক নদী নৌকা দ্বীপ- দ্বীপান্তরের প্রান্তছুঁয়ে ওড়ে যাওয়া দৃষ্টির অথৈ উদাস করে তুলে যে কোন পর্যটকের মন। তরুণীর চোখের রেখার জাদুটান, কিশোরীর সরল হাসির আভা, যেভাবে একজন তরুণকে তার দিকে তাঁকানোর জন্য আকৃষ্ঠ করে তারও বেশি যাদুটানে টেনে নিয়ে যায় দরিয়ানগর রূপভূমা। এইভূমা, এই জমিজামা প্রতœপৃথিবীর স্মৃতি নিয়ে ইশারায় আকুল করে দেয়। কক্সবাজার। জাতীয়তা ও আর্ন্তজাতিকতার বিশাল বিস্ময়, বাস্তব ও পরাবাস্তবতার যুগল স্বপ্ন, আধুনিকতা ও উত্তরাধুনিকতার সমস্ত প্রবাহ বুকে নিয়ে সমৃদ্বির সৌন্দর্যে ডুবে আছে। এই সৌন্দর্য এই সমৃদ্ধি বুকে নিয়ে সে এগিয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। এখন এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসছে হাজার হাজার সৌন্দর্য পিপাসু মানুষ। মানুষের মধ্যে কক্সবাজার নিয়ে এখন অনেক বড় বিস্ময়।
০২.
হেমন্তের স্বসঙ্গ সকাল। গভীর উজ্জ্বল সকাল। ঘাটে বোট ও নৌকার ডক ডক শব্দ। মনমাঝিদের দৌড় ঝাপ। জাল নৌকা সমুদ্রের আহবান কি মন্ময় সুন্দর। আকাশ ঝাপিয়ে শয়ে শয়ে নামছে সূর্যকণা। আমাদের মুখের রেখায় সে আলোর বিচ্ছুরণ, মুখ কুচকে যাচ্ছে বার বার। একটা উদাসী অনন্তে চেয়ে থাকা কাকে খুঁজে মন কাকে। এত অতৃপ্তি, এত বিস্ময় ও অপূর্ণতা, আবার ফিরে আসা নিজের ভেতর। সময় পার করে জীবনের প্রহর গুনা। এই সকালেই আমি চলে গেলাম পোকখালী। কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার বাড়ী। আমরা ঢাকাতেই টিক করে রেখেছিলাম এবারের ঈদে বাড়ি গেলে সোনদিয়া যাবো। সোনাদিয়া কক্সবাজারের নিঃসঙ্গ এক সোনালি দ্বীপ। ডিমের চেয়েও সুন্দর। প্রজাপতি বন, পাখির অভয়ারণ্য, লালকাঁকাড়ার চারণচর আর বিশাল বিষ্ময়ের অনন্ত নীল। সোনাদিয়া এত কাছে অথচ জন্মের পূর্বে আর ওখানে যায় নি। জীবনের কি অপূর্ণতা, নিজেকে ক্ষমা করতে পারছি না। এত কাছে স্বর্গ এতদিন কেন ছুঁেয় দেখলাম না আফসোস হতে লাগলো বেশ। সোনাদিয়ার উদ্দেশে কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা ও আমি রওয়ানা দিলাম। কক্সবাজার শহরে আসতে আসতে প্রায় ১১টা বেজে গেল। শহরে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে সোনাদিয়া নিয়ে যাওয়ার প্রধান হোস্ট আবদুল হাকিম, আজকের ভ্রমনের সমস্ত ব্যয়ভার বহন করবেন তিনি, উনার বিশেষ আগ্রহ কবি মুহম্মদ নূরুল হুদাকে দিয়ে নতুন করে সোনাদিয়া আবিষ্কার করা। আমাদের জন্য আরও অপেক্ষা করছে কামরুল হাসান, সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার (কম্পিউটার) সাংবাদিক আজাদ মনসুর. শহরের পালের দোকানে পৌঁঁছতে পৌঁছতে দেখা হয়ে গেল কবি মানিক বৈরাগীসহ অনেকের সঙ্গে। আমরা ওখানে চা পান করলাম। সোনাদিয়া দেখতে যাওযার ২টি উদ্দেশ।
এক.দরিয়ানগর দ্বিতীয় আর্ন্তজাতিক কবিতা মেলার সাইড সিলেকসন.দুই. সোনাদিয়া নতুন ভাবে আবিস্কার করা। আমরা শহরের ৬নং ঘাট দিয়ে একটা স্পিড বোট ভাড়া করে রওয়ানা দিলাম। সময়ের দূরত্ব এত কম আশ্চর্য হয়ে গেলাম। মাত্র ২৫ মিনিটে মূলভূখন্ড থেকে আমার দ্বীপে এসে পৌঁছলাম। অথচ সেন্টমার্টিন যেতে কি কষ্ট। লালনের গান মনে পড়লো বাড়ির পাশে আরশি নগর সেথা পড়শি বসত করে, আমি একদিনও না দেখিলাম তারে।
চাঁদের ভূমিতে নামার আকর্ষণ বুকে আমারও নামলাম সোনাচাঁেদ। চারদিকে ধূ ধূ, চারদিকে হু হু আামাদের স্বাগত জানালো। আসন্ন সমুদ্র গর্জন ডাক দিচ্চে বার বার। প্রান্তরের চারণ ভূমির সে চিরায়িত দৃশ্য। দৃশ্যখেকো মানুষ আমরা। সৌন্দর্যের বরপুত্র বলে কিনা জানি না নেমেই আমরা অবাক হচ্ছি আর অবাক হচ্ছি। ঝাউবনের সবুজ বিস্তার, ঝাউবৃক্ষের ডালে ডালে হাজারো প্রজাপতির ধ্যান সুন্দর। একটি নতুন আবিস্কারের জনক হয়ে গেলাম। আমরা বালির দাগে দাগে ইতিহাসের পায়ের চিহ্ন আঁকছি। ঝাউস্বর্গ, বালির ডিবি, সমুদ্রলতা- সরলতা আমাদের নীরব অভিবাদন গ্রহণ করছে। আমরা হাঁটছি আর অবাক হচ্ছি। এইখানেও মানবঘাতক প্রসারিত করেছে তার থাবা এই বিষয়টিও আমদের চোখ এড়াল না। ঝাউবৃক্ষ ফাঁকে ফাঁকে কেটে ফেলা হচ্ছে। জনমানবহীন এই বিরল জনপদও মানুষের বিষথাবা থেকে নিস্তার পাচ্ছে না। আমরা হাঁটতে হাঁটতে সোনাদিয়ার মানব বসতিতে পৌঁছে গেলাম। তারা অত্যন্ত বিনয়ও সম্মানের সহিত আমাদের স্বাগত জানালো। আমার মনে পড়লো আমিরিকান রেড ইন্ডিয়ানদের কথা। যার একদিন এভাবে স্বাগত জানিয়ে ছিল তরুণ র্মাকিনিদের। যে র্মাকিনিরা খুব টান্ডা মাথায় কেড়ে নিয়েছে তাদের ভিটেমাটি স্বপ্ন আর ঘুরে বেড়ানোর সকল অধিকার। আমাদের অবাক পদক্ষেপ কি এদের জন্য কোন অশনি সংকেত। তা যেন না হয়। কিন্তু আমাদের মূল ভূখন্ড কক্সবাজার দখল হয়ে গেছে, বেণিয়ারা একে একে সকল জমিজামা করেছে গ্রাস। সোনাদিয়াযও শ্যেনদৃষ্টি পড়েনি এ কথা কি করে বলি। আমরা সোনাদিয়ার নাগু মেম্বার এর বাড়ি দিয়ে সাইক্লোন সেন্টারে এস দাঁড়ালাম। স্থানীয় লোকজন জড়ো হতে লাগলো। অনেক শিশু,কিশোর তরুণ, বৃদ্ধ জমায়েত হলেন। পরিবেশবাদী ও সরকারের রোষানলে পড়ে নাগু মেম্বার এখন জেলে। আমরা কথা বলছিলাম তাঁর ভাইপো নুরুল আমিন এর সঙ্গে। অত্যন্ত সজ্জন, সুন্দর এক তরুণ। সাইক্লোন সেন্টার থেকে দেখতে পেলাম মহেশখালী দ্বীপ। দাঁড়িয়ে আছে একা- একাকী। মধ্যখানে বিরাট চারণভূমি, অসংখ্য গরুর পাল। ছোট ছোট তরজা দনা বেড়ার ঘর। মানুষগুলো বেশির ভাগ ভুখা নাঙ্গা। মাছ ধরা ছাড়া আয়ের কোন উৎস এদের নেই। আগে অনাবাদী জমি গুলোতে ধান ও লবণ চাষ হতো এখন কোন চাষই হয় না । সরকার লবণ চাষ নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। সোনাদিয়ায় হাজার খানেক মানুষ পড়ে আছে হত দরিদ্র অবস্থায়। এদের দেখার কেউ নেই। না কোন চিকিৎসা সেবা না কোন মানবিক সেবা সব থেকে বঞ্চিত এরা। গর্ভবতী নারীরা বিনা চিকিৎসায় মারা যায়। এইসব কষ্ট, এইসব দুঃখ অনুভব সোনাদিয়ায় লেগে আছে। আমাদেরকে পেয়ে ওরা মন খুলে এসব কথা জানাচ্ছে। আমরা আমাদের এই বাপের ভিটা ছেড়ে কোথাও যেতে চায় না। আমরা কি বলবো এসব অসহায় মানুষকে। এদের জন্য কি করতে পারি। এর মধ্যে আমদের জন্য ডাবের পানি চলে আসলো। এইসব সরল মানুষদের ঋণ কি করে শোধ করবো,মনে মনে কথা হয়, মনে মনে কষ্ট হয়। জীবনের এই বর্ণিল অপূর্ণতা ব্যথায় জর্জরিত এই হৃদয় শুধু হাহাকার করে, হাহাকার করে। ডাবের পানি খাওয়ার কিছুক্ষণ পরই ভাত খেলাম নাগু মেম্মবারের বাড়ি। নুরুল আমিন অত্যন্ত যতœ সহকারে আমাদের তরকারী পরিবেশন করলেন। শুকনো গুড়ো মরিচ, কুরবানীর মাংস অকৃত্রিম স্বাদে ভরা সে স্বাদ জীবনেও ভুলা যাবে না। দুপুরের আহার আমরা এখানেই শেষ করলাম।
সূর্য অস্ত যাচ্ছে। রবির সমস্ত কিরণ নিয়ে ডুবে যাচ্ছে সার্গ, ডুবে যাচ্ছে বিকেল। আমাদের ফেরার তাড়া। আমাদের সঙ্গে সে হাসিমাখা নুরুল আমিন ভাই। ফিরতি পথে লালকাঁকড়ার মিছিল। বিকেলের চর সে এক সোনাময় সুন্দর। সূর্যের লাল আভার সঙ্গে কাঁকড়ার লাল লাবণ্য কি মায়াময়। মন বলে হাজার বছর এইদ্বীপে থেকে যায়। হাজার বছর।

৩.
সোনাদিয়া থেকে ফিরতে ফিরতে আমাদের রাত হয়ে যায়। আমরা যে যার মত করে চলে যায়। পরদিন প্রোগ্রাম ঠিক হল আমরা উখিয়া যাচ্ছি। হাজার বছরের ঐতিহ্যময় উখিয়া। কবি আদিল চৌধুরীর বাসায় আমরা দুপুরের খাব। রাতে আর কোন খবর নেই ঘুমিয়ে পড়লাম। ওঠে দেখি বেলা হয়ে গেছে ঢের। এর মধ্যে কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা মুঠোফোনে অনেকবার কল করলেন। আমিও আজাদ মনসুর নাস্তা না করে রওয়ানা দিলাম। কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, কবি মনজুরুল ইসলাম,কামরুল হাসান, আবদুল হাকিম, আবুল কাশেম সিকদার আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। সকালের উজ্জ্বল রোদ। অমাদের স্বাগত জানালো। এর মধ্যে বন্ধু রফিক আমাকে ফোন করে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ইনফর্ম করলো এবং বিকেলে আমাকে ফ্রি থাকার জন্য বললো। আমরা হোটেল ডায়মন্ডে নাস্তা করলাম। হাকিম ভাইয়ের গাড়ি নিয়ে উখিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দি। সমুদ্রের আঁেশ আঁশে আমাদের গাড়ি চলতে লাগলো। সবুজের তীর, নীলের শ্রী জল আর দখল হয়ে যাওয়া কক্সবাজার ক্ষত বিক্ষত ভূমির বুক দেখে দেখে আমরা হা হুতাশ করছি। কক্সবাজারের জমির আকাশ ছোঁয়া দাম, ডেভলার্পাদের চমকে দেওয়া বিজ্ঞাপনী অফার, ভূমি দখল আমাদের যেমন শংকিত করছে, তেমনিভাবে কক্সবাজারে জন্যও তা অশনি শংকেত। কথা বলতে বলতে আমরা উখিয়া চলে আসি। এর মধ্যে আমার বন্ধু রিয়াজ ঢাকা থেকে ফোন করে ভ্রমন বৃত্তান্ত জানতে চাইলো, আমি তাকে আমাদের সংক্ষিপ্ত ভ্রমনের শানে নুযুল জানালাম।
উখিয়া পাহাড়ও টিলার সমন্বয়ে অসাধারণ সবুজ এক জনপদ। এইখানে ইনানী পাথুরের সমুদ্র পর্যটকদের নিয়মিত তৃষ্ণা মিঠাচ্ছে। আমরা সে জনপদের বুক চিরে মনকে প্রশান্ত করে সে দৃশ্য উপভোগ করছি। স্বর্গের সে দৃশ্য। এইখানে মানুষ গুলো কি অসাধারণ সরল। ইনানী কণ্যারা অনেক লাবণ্যময়। আমরা কবি আদিল চৌধুরীর বাসায় এসে পৌঁছলাম। এসে দেখি এলাহি কান্ড একদম রাজকীয় হিসেব নিকেশ। শান বাধাঁনো পুকুর ঘাট, ঘোরবারান্দা ঘেরা দ্বিতল বাড়ি কবিতাময় এই ঘর। আদিল চৌধুরীর বাড়ির সবাই আমাদের স্বাগত জানালো। আদিল চৌধুরীর বয়সী মুক্তিযোদ্বা বাবাকে আমরা সবাই সালাম করলাাম। দুপুরের খাবার খেয়ে আমরা অনেকক্ষণ আড্ডা দিলাম। আড্ডার বিষয় দরিয়ানগর কবিতা মেলা। অনেক ধরনের কথা হল। অনেক স্বপ্ন- দুঃস্বপ্নের কথা। সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া, আর স্বপ্ন বানানো। আমাদের জন্য চলে আসলো মহেশখালীর মিঠা পান। তাঁর মানে আমরা ওঠবো। এবার ফেরার পালা। এখন যাব রামুর চা বাগান। সেখানে একটা বুদ্ধ মূর্তি বানানো হয়েছে, যেটা সিঙ্গাপুর নেপালের পর সবচেয়ে বড় বুদ্ধমূর্তি। আমরা রওয়ানা দিলাম, পাহাড়ের ভেতর দিয়ে আমাদের গাড়ি চলছে। চারদিকে বৃক্ষ ডালের মর্মর ধ্বনি টুপটাপ, টুপটাপ শব্দে সচকিত করে তুলছে। আমাদের কথা চলছেই। এর মধ্যে কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা কবিতা ও কবিতার ছন্দ নিয়ে আমাদের একটা ক্লাস নিলেন। অক্ষর বৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত নিয়ে তিনি দীর্ঘ একটা লেকসার দিলেন যা আমাদের কাব্য জীবনের জন্য উপরি পাওয়া। সারাপথ আমরা নিরব স্রোতা । আমাদের কবিতাভ্রমন অনেক সফল। একদিকে প্রকৃতির ছন্দ আরেক দিকে হাতে কলমে ছন্দ শেখা সত্যি কাব্যময় হয়ে ওঠেছিল সে সন্ধ্যা, সে সন্ধ্যাযাপন। রামু যেতে যেতে আমাদের রাত হয়ে গেল। রামুর একটিলা আরকান সড়কের পাশ দিয়ে একটু ভেতর, নাইক্ষছড়ি রোডের বিপরীতে সিংহশয্যা নিয়ে শুয়ে আছে গৌতম বুদ্ধ। দেবতার তো বিশ্রাম নিতে পারে না কিন্তু আমাদের বুদ্ধ খুব রাজসিক ভাবেই সিংহ শয্যা পেতেছেন। জগতের এসব হাল হকিকত দেখে মনে হল বেচারা খুব ক্লান্ত। আমরা বুদ্ধকে দেখে শহরে ফিরে এলাম।

৪.দরিয়ানগরের অতিথি হয়ে এলেন কবি রনজু রাইম
জগৎ অতিথি তুমি এসো এইঘরে
পেতেছি বরণকূলা দরিয়ানগরে। (মুহম্মদ নূরূল হুদা)
দরিয়ানগরের অতিথিদেরকে আমরা এ কাব্যবাণী দিয়ে স্বাগত জানানোর সিদ্বান্ত নিয়েছি। আমরা স্বাগত এই পঙক্তি নগরে ঢুকার পথে খোদিত করে দিতে চাই। জগতের সব অতিথিকে আমরা দরিয়ানগরে স্বাগত জানাই।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×