somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

***রাসূল ﷺ এর সাহারী এবং ইফতার***

২০ শে আগস্ট, ২০১০ সকাল ১১:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম
আলহামদুলিল্লাহ, ওয়াস্সালতু ওয়াস্সালামু আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মদ ﷺ।

রমাদান মাস আসলেই আমাদের দেশে খাদ্যের মেলা বসে যায়। ইফতারীর এত এত আয়োজন, বিকাল ৩টার পর থেকে রাস্তার পাশে খাদ্যের পসরা বসে যায়। পত্রিকাতে বিভিন্ন ইফতারের আইটেমের বিজ্ঞাপন, কিভাবে নানা মুখরোচক ইফতারী আইটেম তৈরী করা যায় তার তথ্য। বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ইফতার পার্টির আয়োজন এবং সেই ইফতার পার্টির জৌলুসতা সারাদিন রোজা রাখার উদ্দেশ্যকে উপোস থাকার শামিল করে দেয়। রমাদান মাস ব্যতীত যেমন অন্যান্য দিনগুলোতে আমরা তিন বেলা খেয়ে অভ্যস্থ ঠিক তেমনি রমাদানেও তিন বেলাই খাই আমরা! ইফাতারীতে প্রথমবার, এরপর রাতের স্বাভাবিক খাবার আর সবশেষে সাহারীতে। যদিও সাহারী নিয়ে ইফতারীর মতো এখনো উৎসব শুরু হয়নি তবে সেদিন বোধহয় খুববেশী দূরে নয় যখন সাহারী পার্টিরও আয়োজন করা হবে! সবকিছুতেই উৎসব করা আমাদের একটা অভ্যাস হয়ে দাড়িয়েছে, সবকিছুতেই আমরা উৎসব খুজে বেড়াই। এমনকি মানুষ মারা গেলেও তিনদিন বা চল্লিশদিন পর আমরা একটা খাদ্য খাওয়ার উৎসব করি! রমাদানও আমাদের নিকট সেই উৎসব হিসেবেই ধীরে ধীরে প্রতিয়মান হয়ে উঠছে। হয়তো এমন দিন আসবে যখন নতুন প্রজন্ম ইফতারীতে পার্টি দেওয়া কিংবা মুখরোচক নানা খাদ্য খাওয়াটাকেই রমাদানের প্রধান উদ্দেশ্য মনে করবে। বর্তমান সময়ে নতুন কাপড়ের ডিজাইন আর তা নিয়ে সারা রামাদান মাস এই শপিং মল সেই শপিং মল ঘুরে বেড়ানো এবং ইফতারীতে এত এত খাবারের আয়োজনটা করাতেই অধিকাংশ মানুষ ব্যস্ত। এই ব্যস্ততার ভীরে হাতে একটু সময় পেলে মানুষ ইসলাম সম্পর্কে একটু পড়তে আগ্রহী হয় কিন্তু অধিকাংশ মানুষের ভাগ্যে বাতিল মকসুদুল মোমেনীন আর একই ঘরনার বই ছাড়া অন্য কোন বই জুটে না। রাসূল ﷺ সাহারী এবং ইফতারীতে কি খেতেন বর্তমান সময়ের প্রেক্ষপটে তার উম্মত হিসেবে জানা অতীব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাড়িয়েছে। কারণ এই রমাদান মাসের খাওয়ার আয়োজনের পেছনেই আমাদের অধিকাংশ অর্থ, সময় ব্যয় হচ্ছে। তাই আসুন জেনে নিই, রাসূল ﷺ সাহারী এবং ইফতারে কি কি খেতেন।

রাসূল ﷺ এর সাহারী ও ইফতারঃ
অত্যন্ত আগ্রহ ও ব্যাকুলতার সাথে তিনি সাহারী ও ইফতার গ্রহণ করতেন। রোজা ভাঙার সময় হলে দ্রুত ইফতার করে নিতেন, পক্ষান্তরে সাহারী করতেন অনেক দেরিতে, সুবহে সাদিকের কিছু পূর্বে সাহারী সমাপ্ত করতেন। ইফতার করতেন ভেজা বা শুকনো খেজুর, অথবা পানি দিয়ে। খেজুর দিয়ে সাহারী করাকে পছন্দ করতেন তিনি। জাঁকজমকহীন স্বাভাবিক সাহারী ও ইফতার গ্রহণ করতেন সর্বদা।

রমজানে রাসূলের এ আচরণ বিষয়ে বিভিন্ন হাদিসে উল্লেখ পাওয়া যায়
আনাস রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন :—

রাসূল ﷺ সালাত আদায়ের পূর্বে কয়েকটি ভেজা খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন, যদি ভেজা খেজুর না থাকত, তবে সাধারণ শুকনো খেজুরই গ্রহণ করতেন। যদি তাও না থাকত, তবে কয়েক ঢোক পানিই হত তার ইফতার। (তিরমিযী, হাদীসটি সহীহ)

আবু আতিয়া হতে বর্ণিত, তিনি বলেন : আমি এবং মাসরুক আয়েশা রা.-এর নিকট উপস্থিত হলাম। মাসরুক তাকে উদ্দেশ্য করে বলল : মোহাম্মদ ﷺ এর দু’ সাহাবি উপস্থিত হয়েছে, যাদের কেউ কল্যাণে পশ্চাৎবর্তী হতে আগ্রহী নয় ; তাদের একজন মাগরিব ও ইফতার উভয়টিকেই বিলম্ব করে, অপরজন দ্রুত করে মাগরিব ও ইফতার। আয়েশা বললেন : কে মাগরিব ও ইফতার দ্রুত করে ? বললেন : আব্দুল্লাহ (ইবনে উমর)। আয়েশা উত্তর দিলেন : রাসূল ﷺ এভাবেই রোজা পালন করতেন। (সহীহ মুসলিম)

আব্দুল্লাহ বিন আবি আউফা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন :
একবার, রমজান মাসে আমরা রাসূলের সাথে সফরে ছিলাম। সূর্য অস্তমিত হলে তিনি বললেন, হে অমুক ! নেমে এসে আমাদের জন্য ছাতু ও পানি মিশ্রিত ইফতার পরিবেশন কর। লোকটি বলল : হে আল্লাহর রাসূল ! এখনও তো দিবসের কিছু বাকি আছে। রাসূল পুনরায় বললেন : নেমে এসে আমাদের জন্য ছাতু ও পানি মিশ্রিত ইফতার পরিবেশন কর। বর্ণনাকারী বলেন : সে নেমে এসে ছাতু ও পানির ইফতার প্রস্তুত করে রাসূলের সামনে উপস্থিত করলে তিনি তা গ্রহণ করলেন। অত:পর তিনি হাতের ইশারা দিয়ে বললেন : সূর্য যখন এখান থেকে এখানে অস্ত যাবে এবং রাত্রি আগত হবে এতটুকু অবধি, তখন রোজাদার রোজা ভাঙবে। (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)

জনৈক সাহাবির সূত্র ধরে আব্দুল্লাহ বিন হারেস বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: আমি রাসূলের নিকট হাজির হলাম, তিনি সাহারী খাচ্ছিলেন। রাসূল ﷺ বললেন : নিশ্চয় তা বরকত স্বরূপ, আল্লাহ পাক বিশেষভাবে তা তোমাদেরকে দান করেছেন, সুতরাং তোমরা তা ত্যাগ কর না। (সুনানে নাসাঈ, হাদীসটি সহীহ)

যায়েদ বিন সাবেত হতে বর্ণিত, তিনি বলেন : আমারা রাসূলের সাথে সাহারী খেলাম, অত:পর তিনি সালাতে দণ্ডায়মান হলেন। আমি বললাম : সাহারী ও আজানের মধ্যবর্তী সময়ের স্থায়িত্ব কতটা ? তিনি বললেন : পঞ্চাশআয়াত তেলাওয়াত পরিমাণ দৈর্ঘ্য। (সহীহ বুখারী)
বিলম্বে সেহরি গ্রহণ রোজার জন্য সহজ, রোজাদারের জন্য প্রশান্তিকর ; এবং বিলম্বে সেহরি গ্রহণের কারণে ফজরের সালাত ছুটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না।

আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন : মোমিনের উত্তম সাহারী শুকনো খেজুর। (আবু দাউদ, হাদীসটি সহীহ)

আনাস রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন :—
রাসূল ﷺ সাহারী কালিন আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন—হে আনাস, আমি রোজা রাখতে আগ্রহী। আমাকে কিছু আহার করাও। আমি তার সামনে শুকনো খেজুর এ একটি পাত্রে পানি উপস্থিত করলাম। বেলালের (প্রথম) আজানের পর তিনি সাহারী গ্রহণ করেছিলেন। (সুনানে নাসাঈ, হাদীসটি সহীহ)

উপরোক্ত হাদিসগুলো সামনে রেখে আমরা এ সিদ্ধান্তে উপনীত হই যে, রাসূল ﷺ ইফতার করতেন দ্রুত, আনাস রা.-এর স্পষ্ট হাদিস এ বিষয়ের উৎকৃষ্ট প্রমাণ, তিনি বলেন : আমরা রাসূল ﷺ কে, এমনকি এক ঢোক পানি দিয়ে হলেও, ইফতার করা ব্যতীত মাগরিবের সালাত আদায় করতে দেখিনি। (ইবনে হিব্বান)

আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন : রাসূল ﷺ বলেছেন—
এক ঢোক পানি দ্বারা হলেও, তোমরা সাহারী গ্রহণ কর
।( ইবনে হিব্বান, হাদিসটি হাসান)

রাসূলﷺ উবুদিয়ত ও দাসত্বের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়েছেন, সাধ্যানুসারে যাবতীয় উপকরণ ব্যবহার করে কর্মের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জন করতে প্রয়াসী হয়েছেন। কীভাবে রাসূল ﷺ রমাদান যাপন করেছেন, আমরা যদি তা বিবেচনা করি, তবে দেখতে পাব, রোজাদারদের যারা সাহারী গ্রহণ করেন না, বা করলেও, সম্পন্ন করেন অনেক দ্রুত—মধ্যরাতে, তারা অবশ্যই সুন্নাতের সঠিক পথ-বিচ্যুত। দ্রুত সাহারী গ্রহণের কারণে নফ্সকে অযথা ভোগানো হয়। মূলত: রাসূল ﷺ আমাদের জন্য হেদায়েতের যে আদর্শ রেখে গিয়েছেন, তার পুণ্যবান সাহাবীগণ সমুন্নত করেছেন যে আদর্শ ও কর্মনীতির মৌল-পন্থা, তার অনুসরণেই সাফল্য ও কল্যাণ।

আমর বিন মায়মুন রা. বলেন : মোহাম্মদ ﷺ এর সাহাবিগণ ছিলেন সকলের চেয়ে সর্বাধিক দ্রুত ইফতারকারী, এবং বিলম্বে সাহারী গ্রহণকারী।(আব্দুর রাজ্জাক)

বর্তমান সময়ে ইফতারকে কেন্দ্র আমরা যে জাঁকজমক ও আচার-অনুষ্ঠান দেখতে পাই, রাসূল ﷺ কোনভাবেই এর বৈধতা প্রদান করেননি। অতিরিক্ত ভোজন ও বিলাসী আহারের ফলে নফ্স অলসতায় আক্রান্ত হয়, ইবাদতের ক্ষেত্রে তার মাঝে সীমাহীন শৈথিল্য ছড়িয়ে পড়ে। সে তাই, বঞ্চিত হয় এ মহান মৌসুমের প্রকৃত ফললাভে। দু:খজনক বিষয় এই যে, কোথাও কোথাও দেখা যায়, মানুষ হারাম ও অবৈধ খাদ্য দিয়ে ইফতার ও সাহারী গ্রহণ করছে, সাহারী ও ইফতারের পিছনে ব্যায় করছে অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদ। মানুষ কতটা নির্বিকার হয়ে পড়েছে, এগুলো তার জ্বলন্ত প্রমাণ। আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন। (আমীন)

রাসূল ﷺ সাহারী করতেন খেজুর, পানি খেয়ে। ইফতার করতেন খেজুর, সাতু কিংবা পানি দিয়ে। আমাদের দিকে চেয়ে দেখুন তো আমরা কি দিয়ে করছি! অনেকে হয়তো মনে করবেন খেজুর খেয়ে সাহারী! জ্বি আমি নিজে বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখেছি, মাশাআল্লাহ, ভাতের তুলনায় খেজুর খেয়ে রোজা রাখা উত্তম। ভাত খেয়ে রোজা রেখে আমি ক্ষুধা অনুভব করেছি, দূর্বল অনুভব করেছি কিন্তু খেজুর খেয়ে রোজা রেখে সারাদিন বেশ সতেজ থেকেছি। আসুন আমরা রাসূল ﷺ এর সুন্নাত অনুসরণ করি, জাকজমক পূর্ণ ইফতার আর ভারী সাহারী খাওয়া থেকে বিরত হই। আল্লাহ তাআলা আমাদের প্রভুত কল্যাণ দান করবেন। আমীন।

এই লেখাটি লিখতে নিম্নোক্ত বইটির সাহায্য নেওয়া হয়েছে:
রাসূল যেভাবে রমজান যাপন করেছেন
ফায়সাল বিন আলী আল বা’দানী
অনুবাদঃ কাউসার বিন খালেদ
বইটির ডাউনলোড লিংক
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে আগস্ট, ২০১০ সকাল ১১:১৭
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬





মাসের আধিক কাল ধরে দাবদাহে মানব প্রাণ ওষ্ঠাগত। সেই যে অগ্নি স্নানে ধরা শুচি হওয়া শুরু হলো, তো হলোই। ধরা ম্লান হয়ে, শুষ্ক হয়, মুমূর্ষ হয়ে গেল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×