শুনলাম দেশে নাকি একটি নতুন যন্ত্রনা শুরু হয়েছে, মাঝরাতে সব মসজিদ থেকে আজান দেয়ার।
যন্ত্রনা এই কারনেই বলছি, ইসলাম ধর্ম মতে এটি সম্পূর্ণ "বেদাত" ঘটনা, এর সাথে ইসলামের কোনই সম্পর্ক নেই। নতুন ধরনের ইবাদত সংযোজন, যার ফল উল্টো গুনাহ।
আরেকটা ছবি দেখলাম, এক পাল ছাগল (পরে বলছি কেন ছাগল বললাম) ময়দার গুলি বানাচ্ছে। বিশেষ দোয়া পাঠ করে সেগুলি বঙ্গোপসাগরে ফেলে দিবে। তারপরে আল্লাদি মার্কা ডায়লগ, "আল্লাহ নিশ্চই এত কষ্ট বৃথা যেতে দিবে না।"
আরে ছাগল (আবারও বললাম) তোদেরকে কী আল্লাহ বলেছেন এইভাবে দোয়া পড়ে পড়ে ময়দার গুলি বানাতে? তোকে স্পষ্ট নিষেধ করেছেন অপচয় করতে। দুই লাখে লাখে ময়দার গুলি বানাতে গিয়ে কত কেজি ময়দা নষ্ট করেছিস খেয়াল আছে? এই দুর্মূল্যের বাজারে, যেখানে গরিব মানুষ খেতে পারছে না, দিন মজুরদের ঘরে চুলা বন্ধ হয়ে গেছে, এই বদমাইশগুলি ময়দা সাগরে ভাসিয়ে দিচ্ছে। এখন আপনারাই বলেন, এগুলিকে কী ছাগল বলে ভুল করেছি? বেত দিয়ে পেছনে পিটানো উচিৎ।
আরেকদল কিউট ভাইয়েরা ট্রাম্পের প্রেসক্রিপশন ফলো করে বাজার থেকে কালিজিরা গায়েব করে ফেলেছেন। আরে ভাই, ট্রাম্পের প্রেসক্রিপশন ফলো করে এক আমেরিকান ছাগল ইতিমধ্যেই পরপারে চলে গেছে। তার বৌও মোটামুটি সেই পথেই আছে। এসব ক্ষেত্রে ট্রাম্প না, কোন ডাক্তারও না, FDA (Food and Drug Administration) approved কোন ওষুধ হলে তখন নিশ্চিন্তে খাবেন। এর আগে চোখ বন্ধ করে কিছুতেই বিশ্বাস করবেন না। আপনাদের অবগতির জন্য, করোনার ওষুধ নিয়ে এখনও কাজ চলছে। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ঢালা হচ্ছে। বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে। শুধু ভাইরাসের মৃত্যু নিশ্চিত করনই না, একই সাথে রোগীরও যেন মৃত্যু বা লং টার্ম ক্ষতি না হয়, সেটাই মূল ফোকাস। এবং এইসব ওষুধ দ্রুত বাজারে আসে না। সময়ের ব্যাপার।
যাই হোক, অসময়ের আজানে ফেরা যাক। এক ভাই সেদিন জানতে চেয়েছিলেন, এটি ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে কতটা সঠিক। উত্তরে বলেছিলাম পুরাটাই বেদাত, মানে ভুল। এখন ব্যাখ্যা করি।
মূল ঘটনা হচ্ছে, করোনা আতঙ্কের দিনে, পাকিস্তানে রাত দশটা এগারোটার দিকে সব মসজিদ থেকে একযোগে আজান দেয়ার রীতি চালু হয়েছে। আমাদের বাঙালি মৌলবীরাও মনে করেছেন, দারুন আইডিয়া! দেয়া যাক আজান। আল্লাহর নাম উচ্চারণ হচ্ছে, রাসূলের নাম উচ্চারণ হচ্ছে, সমস্যাতো নেই।
তেমনি কিছুদিন আগেই ফেসবুকে সবাই ইনবক্সে বললেন, অমুক সময়ে আমরা সবাই মোনাজাতে হাত তুলবো। এক সাথে একই সময়ে বিশ্ববাসী যদি একযোগে হাত তুলি, আল্লাহ নিশ্চই শুনবেন।
এখানেও বলতে পারেন, মোনাজাতেতো আমরা আল্লাহর কাছেই চাচ্ছি। একসাথে এক সময়ে সবাই মোনাজাত করছি। তাহলে এতেই বা সমস্যা কি?
সমস্যা আছে।
ইসলামে কঠিনভাবে নিষেধ করা হয়েছে কোন কিছু যোগ বা বিয়োগের ব্যাপারে।
যেদিন আল্লাহ ঘোষণা দিয়েছেন "আমি তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ন করে দিয়েছি" - সেদিন থেকেই সীল মোহর পড়ে গেছে। এরপরই রাসূলুল্লাহর (সঃ) পৃথিবীতে প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়, এবং লক্ষ্য করুন, আল্লাহ এর মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই তাঁকে তাঁর কাছে নিয়ে যান। মুহাম্মদ (সঃ) পৃথিবীতে কেবলমাত্র এই কারণেই এসেছিলেন যাতে আল্লাহর ইবাদত কিভাবে করতে হবে, সেটা আমাদের শেখাতে পারেন। তিনি যেটা করেছেন, আমরা সেটাই করতে পারবো, তিনি যেটা করেননি, সেটা করতে পারবো না। এখন কেউ যদি নিজের মাতবরি ফলাতে গিয়ে কিছু সংযোজন বা বিয়োজনের চেষ্টা করে, এর মানে হচ্ছে, সে বুঝাতে চাচ্ছে, আল্লাহ ভুল ছিলেন, তাঁর রাসূলও ভুল ছিলেন, যে কারনে এই বিশেষ ইবাদত তাঁরা আমাদের শেখাতে পারেননি, বা ভুলে গেছে। এখন আমরা বেশি জানি, তাই এইভাবে ইবাদত করছি। রাত তিনটার সময়ে এলার্ম দিয়ে ঘুম থেকে উঠে বিশ্ব মুসলিমের সাথে একযোগে হাত তুলে মোনাজাত করবো, কিংবা রাত বারোটার সময়ে পাকিস্তানের মসজিদের টাইমিংয়ের সাথে মিল করে আজান দিব।
আমাদের অঞ্চলের লোকজ বিশ্বাস, মহামারী বা মহাবিপদের সময়ে আজান দিলে বিপদ কাটে। একটি হাদিসের সূত্র টেনে বলে, আজানের ধ্বনি যতদূর শোনা যায়, শয়তান সেখান থেকে পালায়। কিন্তু প্রিয় ভাইয়েরা, ওটা সঠিক ওয়াক্তের আজানের কথা বলা হয়েছে। মন চাইলো আজান দিয়ে দিলাম, এমন ঘটনার জন্য না।
আজান মানে কি কখনও কেউ চিন্তা করে দেখেছেন?
এর সংজ্ঞা হচ্ছে, এটি "শরিয়া সম্মত" কিছু শব্দমালা, যা মুয়াজ্জিন উচ্চারণ করেন, যার মাধ্যমে মুসল্লিদের নামাজের উদ্দেশ্যে আহ্বান করা হয়। দিনে মাত্র পাঁচবার আজান ডাকার নিয়ম। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, মুসল্লিদের অবগত করা যে এখন নামাজের সময় হয়েছে।
খেয়াল করুন, রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাঁর সাহাবীদের সাথে এই উদ্দেশ্যেই পরামর্শে বসেছিলেন যে, কিভাবে মুসল্লিদের জানানো যাবে যে নামাজের সময় হয়েছে। এরপরে একেকজন একেকটা বুদ্ধি দিচ্ছিলেন, এবং সবগুলোই রিজেক্টেড হচ্ছিল। মনে পড়ে সেই কাহিনী?
এখন খেয়াল করুন এই বাক্যগুলো, "হাইয়া আলাস সালাহ", মানে "নামাজের জন্য এসো।" "হাইয়া আলাল ফালাহ", মানে "কল্যাণের জন্য এসো।"
এখন রাত বারোটায় আপনারা আজান দিয়ে কী করোনা ভাইরাসকে নামাজের জন্য ডাকছেন? নাকি নিজেরা নামাজ পড়ছেন? কোন ওয়াক্তের নামাজ? এশাতো সময় মতই পড়া হয়েছে। ফজর আসতে পুরো রাত বাকি। এই সব ননসেন্স আইডিয়া কোত্থেকে পান আপনারা?
ভাল করে খেয়াল করুন, ঈদের নামাজের কোন আজান দেয়া হয়না। সূর্যগ্রহণের সময়ে যে নামাজ পড়া হয়, সেটিরও কোন আজান দেয়া হয়না। বৃষ্টির জন্য যে নামাজ পড়া হয়, সেখানেও আজান দেয়া হয়না। এগুলো কিন্তু শরিয়া সম্মতই নামাজ। তারপরেও না। মাথা খাটান একটু। প্লিজ।
আর যদি হাদিস কুরআনের রেফারেন্স চান, তাহলে জেনে রাখুন, আসলেই হাদিস বা কুরআনের কোথাও এমন আজানের কোন নির্দেশনা, বর্ননা নেই।
কথা প্রসঙ্গে, একটি নতুন বিষয় শিখলাম। আপনাদেরও শিখাই। আমি নিশ্চিত আপনারাও জানেন না, এবং শুনেই আমাকে গালাগালি করবেন। কথা হচ্ছে, নবজাতকের জন্মের সময়ে আমরা আজান দেই। একদল দেয় কেবল পুরুষ শিশুর জন্মের সময়ে। আরেকদল দেয় পুরুষ ও মেয়ে উভয় শিশুরই জন্মের সময়ে। আমি নিজেই আমার দুই দুইটা ছেলের কানের সামনে আজান দিয়েছি। আমার জন্মের সময়ে আমার কানে আজান দিয়েছিলেন আমার দাদা। এইসব বংশানুক্ৰমে আমরা চর্চা করে আসছি। বাস্তবে এর কোন ইসলামিক ভিত্তি নেই। না রাসূলুল্লাহ (সঃ), না তাঁর সাহাবীগণ এই কাজ করতেন। এটিও আমাদের সাধারণ লোকেদের আবিষ্কার। আল্লাহ মাফ করুক। শাফেঈ স্কুল অফ থটে এইরকম সময়ে অসময়ে আজান দেয়ার শিক্ষা শিখানো হয়। মালেকী স্কুল অফ থট যাকে পরিষ্কার বিদাত বলে ঘোষণা করে। কারন, হাদিস বা কুরআনিক ভিত্তি নেই। কোন মাওলানার মন চাইলো, আর তিনি ইবাদত বানিয়ে ফেললেন, এটি ইসলামে সম্পূর্ণ নিষেধ।
সঠিক ইবাদত করতে চান? রাত বারোটায় আজান না দিয়ে বরং তাহাজ্জুদের নামাজে দাঁড়িয়ে যান। কারন আমাদের রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তেন। এটি একটি শরিয়াসম্মত ইবাদত। নিজে, রাত জেগে আল্লাহর সাথে একান্তে ইবাদতে মশগুল হন। তখন আল্লাহর কাছে যা চাইবার চান। কেন মনে করছেন আপনার দোয়া আল্লাহ শুনবেন না? সেটা ভাবলেতো রাহমানুর রহিমকে আপনি অপমান করবেন।
একশো জনের ইনবক্সে দোয়া ফরোয়ার্ড করে লাখ খানেকবার পাঠের খতম করতে বলাটাও বেদাত। আপনারতো সোয়াব হবেই না, উল্টো নতুন ধরনের ইবাদত যুক্ত করার অপরাধে গুনাহ হবে। বরং সোমবার, এবং বৃহস্পতিবার রোজা রেখে ফেলুন। এটি সহীহ নফল ইবাদত। আমাদের রাসূলুল্লাহ (সঃ) রাখতেন। রোজা রেখে ইফতারের আগে আগে দোয়া করুন, যাতে আল্লাহ এই বিপদ থেকে সবাইকে রক্ষা করেন।
একটু মাথা খাটান। যদি আজান দিলেই বিপদ কেটে যেত, তাহলে খন্দকের যুদ্ধের সময়ে, যখন গোটা আরব সমাজ একত্রিত হয়ে মুসলিমদের হত্যার উদ্দেশ্যে মদিনার দিকে আসতে থাকে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) তখন সাহাবীদের বলেননি বাড়ির ছাদে উঠে আজান দিতে বা তিনি মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায়ে ব্যস্ত হয়ে যাননি। তিনি বলেছেন সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে, এবং সেটি হচ্ছে খন্দক খনন করে শত্রুর গতি রোধ করে দেয়া। খেয়ে না খেয়ে, পেটে পাথর বেঁধে দিনরাত পরিশ্রম করে তাঁরা খন্দক খনন করেছেন। কোন আসমানী ফেরেস্তা ক্রেন, বুলডোজার ইত্যাদি নিয়ে এসে সাহায্য করেনি। প্রিয় নবীজির (সঃ) কয়েক ওয়াক্তের নামাজ ছুটে গিয়েছিল, তিনি যুদ্ধের ময়দান ফেলে নামাজ আদায়ে ছুটে যাননি। রাসূলুল্লাহ (সঃ) হবার পরেও। আপনারা জুম্মার নামাজ বাদ দিয়ে ঘরে জোহর পড়তে গেলে বলেন ঈমান ছুটে যাবে। আপনাদের ঈমান দেখি রাসূলের চেয়েও বেশি। ভালই তো।
খন্দকের যুদ্ধে মুসলিমদের অমন কঠোর পরিশ্রমের পর অবশেষে দিনের পর দিন টানটান উত্তেজনা শেষে আল্লাহর সাহায্য ঠিকই এলো। আবহাওয়া ক্রমশ খারাপ হতে হতে একদিন টর্নেডো শুরু হলো। টর্নেডো আঘাত হানলো ঠিক কুরাইশ শিবিরে। কনকনে ঠান্ডার দিনে ঘূর্ণি বাতাসের আঘাতে কুরাইশদের রসদ নষ্ট হয়ে গেলে এবং বনু কুরাইযার সাথে ভুল বুঝাবুঝির ফলে ওরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। এর মানে হচ্ছে, আমাদের জন্যও আল্লাহর সাহায্য নিশ্চই আসবে, অতি দ্রুত আসবে। হয়তো বা এসেই গেছে। আমাদের কেবল সঠিক কাজটা ঠিক মতন করতে হবে। বেকুবের মতন যে যা বলল তাই বিশ্বাস করে লাফালাফি শুরু করে দিলে আমাদের নিস্তার নেই।
ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিন। মিশর দখল করতে ফরাসি বাহিনী যখন শহরে ঢুকছিল, আলেম উলামারা জনতাকে বলেন, "তোমরা সহীহ আল বুখারী পড়তে শুরু করো। ওতে বরকত আছে। আমাদের কোন ক্ষতি হবে না।"
"সহীহ আল বুখারী" পাঠ ফরাসি সৈন্যদের ঠেকাতে পারেনি। সেটা সহীহ আল বুখারীর কাজ না। এই ক্ষেত্রে তাঁদের উচিৎ ছিল শহর রক্ষার জন্য যুদ্ধের ময়দানে যাওয়া। তাঁরা সেটা না করে কিতাব পাঠে বসে গেছেন। এই কারণেই হেরেছেন। আমাদেরও বুঝতে হবে।
প্রতিটা মানুষকে আল্লাহ পরীক্ষা করেন। কারোর সহ্য ক্ষমতার বাইরে গিয়ে আল্লাহ কখনই পরীক্ষা নেননা। যার পরীক্ষা যত কঠিন, পাশ করলে তাঁর পুরস্কারও তত বেশি। আমাদের আগেও বহুবার মানবজাতির পরীক্ষা হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে পুরুষদের বাড়ি ছেড়ে যুদ্ধের ময়দানে ছুটতে হয়েছে হিটলার নামের আগ্রাসী নরাধমকে বধ করে মানবজাতিকে উদ্ধার করতে। ৭১ এ দেশের স্বাধীনতা রক্ষার্থে আমাদের যা কিছু ছিল তাই নিয়ে লড়তে হয়েছিল অত্যাধুনিক যুদ্ধসাজে সজ্জিত সুশৃঙ্খল ও একই সাথে নৃশংস পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। এখন আমাদের দৌড় ঐ অনলাইনে এক্টিভিজম পর্যন্তই। তাই আল্লাহও আমাদের এমনই পরীক্ষা দিয়েছেন যে বাড়িতে থাকতে পারলেই জিতে যাব। কত সহজ এই যুদ্ধ। আলহামদুলিল্লাহ! কিন্তু দেখা যাচ্ছে, কিছু মানুষের জন্য সেটাও সম্ভব হচ্ছে না।
আরে বেয়াক্কেল ভাইয়েরা! আপনারা বাইরে গেলে আমাদের শত্রুরই উপকার হচ্ছে। আপনারা বেঈমান, যুদ্ধাপরাধীর কাজ করছেন। নিজেরা আক্রান্ত হয়ে ভাইরাসকে শক্তিশালী করছেন, অন্যকে আক্রান্ত করে আমাদের সৈন্যবাহিনীর ক্ষতি করছেন। এবং এর ফলে অর্থনৈতিক ধস, বেকারত্ব ইত্যাদি অপরাধতো আছেই।
আজকে যমুনা টিভিতে দেখলাম ঝিনাইদহের আনন্দবাগ গ্রামের গ্রামবাসী পুরো গ্রামকে লকডাউন করেছে। প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ভিতরে আসতে দেয়া হয়না, বাইরেও যেতে দেয়া হয়না। জীবাণুনাশক ছিটানো হচ্ছে। দুস্থদের জন্য খাবার দেয়া হচ্ছে, সেটাও দূরত্ব বজায় রেখেই, সম্পূর্ণ ডিসিপ্লিনের সাথে। আমাদের শহরের পোলাপান বরাবর গ্রামের মানুষকে গেরাইম্যা ক্ষেত বলে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতো। এখানে এই গ্রামের মানুষেরা ঢাকা থেকে শুরু করে ইউরোপ বা নিউইয়র্ক মিশিগানের লোকজনের চাইতেও বেশি স্মার্টনেস প্রমান করে দেখিয়েছে। আমরা যদি এদের মতন স্মার্ট হতে পারি, এইসব ক্যারিনা ম্যারিনা আমাদের সাথে সুবিধা করতে পারবে না। আর বলদের মতন কাজ করলে বলদের মতোই কসাইর ছুরির নিচে কুরবান হবো।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:২১