somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইসলামিক দৃষ্টিতে মৃত্যু

২৬ শে মে, ২০২১ রাত ১:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার দাদা বদলি হয়ে গিয়েছিলেন চিটাগং, সেখানেই রিটায়ার করেছেন, সেখানেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। চিটাগংয়ে আমার বাবা মায়ের বিয়ে হয়েছে, আমাদের তিন ভাইবোনেরই জন্ম একই শহরে। আদি নিবাস সিলেট হলেও তিরিশ পঁয়ত্রিশ বছর ধরে আমাদের পরিবার সেই শহরে ছিল। জন্মভূমির প্রতি টান মানুষের মজ্জাগত। জন্মভূমির বাতাসে নিঃশ্বাস নেয়ার চেয়ে সুখের কোন অনুভূতি পৃথিবীতে নেই। কাজেই চিটাগং শহরটা আমাদের কাছে কী ছিল সেটা লিখে বোঝানো সম্ভব না।
আমার বাবার বেরসিক বস বাবাকে প্রমোশন দিয়ে বদলি করে দিলেন সিলেট। সিলেট শহরের (বর্তমান সিলেট বিভাগ এবং সাথে কুমিল্লা) পুরো অঞ্চলের দায়িত্ব বাবার হাতে - খুবই ভাল প্রস্তাব। কিন্তু চিটাগং ছাড়তে হবে বলে দুঃখে প্রাণ ফেটে গেল। আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধব ছেড়ে চলে যেতে হবে নতুন জায়গায় - কিভাবে মেনে নেয়া সম্ভব? প্রমোশন-ফ্রমোশনের গুষ্ঠি কিলাই। আব্বুর বস তখন আমাদের চোখে হিন্দি ফিল্মের ভিলেন অমরিশপুরির চেয়েও খারাপ কেউ।
চলে এলাম সিলেট। অ্যাডজাস্ট করতে কিছুটা সময় গিয়েছে - কিন্তু আমরা ঠিকই ঘুলেমিলে গেলাম। একটা সময়ে এমন হলো যে সিলেট ছেড়েই আর যেতে ইচ্ছে করতো না।
তবুও পড়ালেখার প্রয়োজনে যেতে হলো ঢাকা, এবং তারপরে অ্যামেরিকা।
একটার পরে একটা শহরে ঠিকানা বদলেছি। জলে ভাসমান শ্যাওলার মতন, শেকড় গজাতে দেইনি। স্রোত ভাসিয়ে নিয়ে গেছে, আমরাও গা এলিয়ে ভেসেছি। আশা করি এখন ডালাস শহরে শেকড় গজিয়েছে। আমার বোনের যেমন সিডনিতে। কিন্তু ভবিষ্যতের কথা কেই বা কবে নিশ্চিত করে বলতে পেরেছে?
কেন এই ভূমিকা টানলাম সেটা এখন বলি।
ইসলামিক বিশ্বাস মতে মানুষের জীবনের কয়েকটা ধাপ আছে। জন্মের আগের একটা, জন্মের পরে পৃথিবীতে একটা এবং মৃত্যুর পরে আরেকটা। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত সব জীবনই সাধারণ ভাষায় ভাসমান শ্যাওলার মতন, কাব্যিক ভাষায় মুসাফিরের মতন, যাতে স্থায়ী হবার কোন অবকাশ নেই। মৃত্যুর পরের জীবনটাই বরং স্থায়ী। কেউ বিশ্বাস করুক অথবা না করুক, মরতে তাঁকে হবেই। কাজেই "মানব জীবন স্থায়ী" এই দাবি কেউই করতে পারবে না।
এখন আসি মূল বক্তব্যে, এক্সট্রা এটেনশন দিন প্লিজ।
আমার বাবার চাকরির বদলি এবং আমাদের নিজেদের পড়ালেখার সুবাদে আমাদের এক শহর থেকে আরেক শহরে গিয়ে জীবন পাল্টাতে হয়েছে। যে বস আমার বাবাকে প্রমোশন দিয়েছিলেন, তিনি জানতেন সেটাই আমাদের জন্য ভাল হবে। আমাদের বাবা মা আমাদের ঢাকা এবং অ্যামেরিকা পাঠিয়েছেন এই জেনে যে সেটাই আমাদের জন্য ভাল হবে।
ঠিক তেমনি, ইসলামী বিশ্বাসে, মানুষের মৃত্যুটাও এইরকমই জীবনের পর্যায় পরিবর্তন। যিনি পুরো বিশ্বজগৎ নিয়ন্ত্রণ করেন, তিনি ভাল জানেন, কে কোন "পর্যায়ে" ভাল থাকবে। মৃত্যুটা আর কিছুই না, বদলির নোটিস পেয়ে শহর পরিবর্তন। এবং সুখের কথা, আমরা সবাই একই শহরেই যাচ্ছি - কেউ আগে, কেউ পরে।
এই পর্যন্ত সব ঠিক আছে?
এইবার আলোচনা আরেকটু ভারী করা যাক।
সিরিয়া, ফিলিস্তিন এবং মধ্যপ্রাচ্যে কী হচ্ছে তা আমরা সবাই কম বেশি জানি। কেউ সিম্প্যাথেটিক, কেউ সেনসিটিভ, কেউ আবার খুউব খুশি।
আমি আবার শিশুদের কান্না সহ্য করতে পারিনা। নিজের ছেলে এবং ভাগ্না ভাগ্নি ভাতিজা ভাতিজি আছে বলেই হয়তো। অথবা স্রেফ মানুষ হিসেবেও হতে পারে। তা আমি যখন দেখি কোন শিশুর মরদেহ সমুদ্র সৈকতে আছড়ে পরে, কিংবা কোন শিশু মৃত্যুর আগে মুহূর্তে বলে, "আমি আল্লাহকে গিয়ে সব বলে দেব (বিচার দেব)" কিংবা বোমায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাড়ি থেকে পরিবারের একমাত্র জীবিত শিশুটি সবাইকে হারিয়ে নির্বাক হয়ে এম্বুলেন্সে বসে থাকে, আমার চোখ ফেটে পানি আসে। শুনেছি ইয়ামেন অঞ্চলে গত এক দুই বছরে পাঁচ লাখেরও বেশি শিশু এতিম হয়ে গেছে। এটি শুধুমাত্র ইয়েমেনের হিসেব। বাকিদের খবর জানিনা।
ফিলিস্তিনে ইজরায়েলি আগ্রাসনে অনেকেই শিহরিত হয়ে যান। একবারতো একজন আমাকে জিজ্ঞেসই করে বসলেন, "আল্লাহ যদি থেকেই থাকেন, তাহলে এখন তিনি কোথায়?"
আরেকবার এক বিদেশী লিখেছিলেন, "আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করিনা, কিন্তু I wish, যদি ঈশ্বর থাকতো!"
মানুষ তখন একটাই জবাব দেয়, "এটি একটি পরীক্ষা। ধৈর্য্য ধরে পরীক্ষা দিয়ে যেতে হবে। কোন অবস্থাতেই ফেল করা যাবেনা।"
টেকনিক্যালি উত্তরটা ভুল না। আল্লাহ কুরআনে বলেই দিয়েছেন আমাদের প্রতিনিয়ত পরীক্ষা নিতে থাকবেন তিনি। কোন কোন বিষয়ের উপর পরীক্ষা নিবেন সেটাও বলা আছে। মৃত্যুর মধ্য দিয়েই ছুটির ঘন্টা বাজবে। তারপরে আল্টিমেট রেজাল্ট ঘোষণার দিনতো আছেই।
তবে এই বিষয়ে শুধু আল্লাহর উপর দায়িত্ব ছেড়ে হাত ধুয়ে ফেলাটাও ঠিক না। আসলেই কী এটি এমনি এমনিই ঘটছে? আমাদের কোনই দোষ নেই?
সুরাহ আল ইমরানে একশো তিন নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, "আর তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জুকে (Rope, দড়ি) সুদৃঢ় হস্তে ধারণ কর; পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না।...."
আমরা কী আসলেই তাই করছি? আমি শিয়া, ও সুন্নি, ও সালাফি, সে আগডুম বাগডুম ইত্যাদি নানা ভাগে ভাগ হয়ে গেছি।
নবীজি (সঃ) বলেছেন, "তোমাদের হতে হবে এক দেহের মতন। কোন অঙ্গ ব্যথা পেলে তোমরা যেমন সারা দেহে ব্যথা অনুভব করো, তেমনি বিশ্বের যেকোন প্রান্তে যে কোন মুসলিমের কষ্টে তোমরা ব্যথিত হবে।"
আমরা কী করছি? নিজেরাই নিজেদের কেটে কুটে শেষ করে দিচ্ছি।
একাত্তুরে আমাদের কোন মঙ্গলগ্রহের বাসিন্দা এসে মারেনি, আমাদের "মুসলিম ভাইয়েরাই" আমাদের মা বাবা ভাই বোনদের মেরে শেষ করে দিয়েছে। কতটা পৈশাচিক আচরণ করেছিল সেটা জানতে কিছু সার্ভাইভারের সাথে কথোপকথনই যথেষ্ট।
মিডল ইস্টেও তাই ঘটেছে। ইরাক ইরান যুদ্ধের স্মৃতি কয়জনের মনে আছে? সাদ্দাম হোসেনের কুয়েত দখল? এই ইরাকীরাই তখন ধরে ধরে কুয়েতিদের মেরেছে।
কিংবা কিছুদিন আগেই আমি আমার পুরানো এক লেখা পোস্ট করেছিলাম। সেখানে সংক্ষেপে লেখা আছে কিভাবে অটোম্যান সাম্রাজ্য এবং মক্কার শেরিফ ক্ষমতার লোভে পরষ্পর মারামারি করে মরেছে, কিভাবে ইজরায়েলের জন্ম হয়েছে।
বা প্রথম ক্রুসেডের ঘটনাই ধরা যাক। বর্তমান ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি অঞ্চল থেকে একদল বার্বেরিয়ান পায়ে হেঁটে ধীরে সুস্থে এসে জেরুজালেম দখল করে নিল, তারপরে দিনের পর দিন এর বাসিন্দাদের বন্দি করে একজন একজন করে ওদের জবাই করে হত্যা করলো। মুসলিম, খ্রিষ্টান, ইহুদি, কাউকেই ছাড়লো না। ইসলামের খিলাফত তখন তুঙ্গে। প্রশ্ন উঠতে পারে না কেন তাহলে মুসলিমরা এত সময় পেয়েও ওদের আসার পথে বাঁধা দিল না? ওরা দখল করার পরেও জেরুজালেম আক্রমন করে পুনরুদ্ধার করলো না? মুসলমানদের সমস্যাটা কি ছিল? আজকের যুগে যেই সমস্যা, ঠিক একই সমস্যা সেই যুগেও ছিল। জাতির মধ্যে "ঐক্য" ছিল না। এ মনে করতো এ খলিফা হবার যোগ্য, ও মনে করতো সে হবার যোগ্য। জেরুজালেম গেছে? ওটাতো ওর রাজ্যের অধীনে, ও নিজে সামলাক! আমার বাপের কি?
বদর এবং ওহুদের যুদ্ধের ঘটনা মনে আছে? বদরের যুদ্ধে মুসলিমরা ছিল দুর্বল, কুরাইশরা বহুগুন শক্তিশালী। মুসলিমদের ছিল না কোন যুদ্ধপ্রস্তুতি। কিন্তু ছিল ঐক্য। মুসলিমরা জিতলেন।
ওহুদে ছিল হোম এডভান্টেজ। মুসলিমদের প্রস্তুতি ছিল, কুরাইশদের থেকে মনস্তাত্বিক দিক দিয়েও এগিয়ে ছিল। তারপরেও নবীর নিষেধ অমান্য করার চূড়ান্ত খেসারত দিতে হয়েছিল ব্যাপক ক্ষতির মাধ্যমে। আগেরবারও জেরুজালেম খেসারত দিয়েছে, বর্তমানেও দিচ্ছে। এখনও মুসলিমরা এ ওকে দোষারোপ করে বেড়াচ্ছে। মুনাফেকরা মাথা উঁচু করে জালিমদের পক্ষ নিচ্ছে।
আল্লাহ ন্যায় বিচারক। তাঁর কাছে সবার সব কৃতকর্মের হিসেব থাকে। তিনি সময় মতন ঠিকই বিচার করেন।
তো যা বলছিলাম - ধরা যাক, আপনাকে আমি এক হাজারবার বললাম পাঁচতলা বাড়ির জানালা দিয়ে নিচে লাফ না দিতে। আপনি তারপরেও দিলেন। এখন হাতপা ভাঙার জন্য আমাকে দায়ী করাটা কতখানি যৌক্তিক?
তেমনি, মধ্যপ্রাচ্যে এবং সারাবিশ্বে যা কিছু ঘটছে - পুরোটাই আমাদের নিজেদের দোষেই হচ্ছে। আমরা নিজেরা প্রতিটা পদক্ষেপে সীমালঙ্ঘন করেছি - ফল ভোগ করছে আমাদের ভাই বোনেরা। আমাদের শিশুরা। এতিম হয়ে মানুষের দয়ার উপর বেঁচে আছে।

তাহলে প্রশ্ন থেকে যায়, তবে কী অত্যাচারীরা পার পেয়ে যাবে?
না। পাবেনা। আল্লাহ কুরআনে বলেছেন, যে যাই করুক না কেন, তিনিই আল্টিমেট ক্ষমতাধর। তিনি কোন কৌশলে কিভাবে কী করবেন, সেটা প্রেডিক্ট করা স্রেফ অসম্ভব একটি ব্যাপার।
ইতিহাস থেকেই একটি উদাহরণ দেই।
জেঙ্গিস খানের নাম শুনে নাই এমন লোক পৃথিবীতে নাই। পৃথিবীর সর্বকালের সর্বসেরা মিলিটারি জেনারেলদের একজন, এবং একই সাথে তাকে পৃথিবীর সর্বকালের সর্ব নৃশংস মানুষদেরও একজন বলা যায়। আতঙ্ককে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে এই লোক মঙ্গোলিয়ার একটি গোত্রকে পুরো বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী জাতিতে পরিণত করেছিল। যার সাম্রাজ্য আলেকজান্ডারেরও সাম্রাজ্যের দ্বিগুন ছিল। মানুষের কাটা মাথা দিয়ে এই লোক টাওয়ার বানাতো। শহরের পর শহরে রক্তের গঙ্গা বইয়ে দিত। এই নৃশংসতা দেখে ভিন্ন শহরের লোকেরা যুদ্ধের আগেই অস্ত্র ফেলে দিত। এই লোকটিই মুসলিম পার্সিয়া আক্রমন করে দুই মিলিয়ন মুসলিম মেরে ঘোষণা দিয়েছিল, "আমি ঈশ্বর হতে তোমাদের উপর নাজেল হওয়া গজব!"
এই মঙ্গোলরাই আব্বাসীয় খিলাফত তছনছ করে দিয়েছিল। মুসলিম শহরগুলোতে মুসলিমদের মেরে কেটে একাকার করে তাঁদের সম্পদ লুটপাট করে মসজিদ-লাইব্রেরিতে আগুন দিয়ে একদম যা তা অবস্থা করেছিল। সেই ঢাল তলোয়ারের যুগে কয়েক মিলিয়ন মানুষকে হাতে কেটে সাফ করতে কতখানি নৃশংস হতে হয় সেটা কল্পনা করতেও অনেক শক্তিশালী মস্তিষ্ক লাগে।
"The mongol catastrophe" নিয়ে একটু পড়াশোনা করলেই ধারণা পাবেন।
তা সেই মোঙ্গলদের পরিণতি কী হয়েছিল?
তারা মুসলিম হয়ে গেল।
জ্বি, ইতিহাসে এই প্রথম কোন জাতি অন্য জাতির দখল নিয়ে তাঁদের ধ্বংস করতে করতে তাঁদেরই সভ্যতা, সংস্কৃতি আপন করে নিয়েছিল। এবং এই ইসলামই মঙ্গোলদের জীবনধারা পাল্টে দেয়। মানুষের খুলির টাওয়ার বানানো বাদ দিয়ে তারা চোখধাঁধানো সব মসজিদ-ইমারত বানাতে শুরু করলো। সভ্যতা অন্য একটা মাত্রা পেল তাঁদের দলে পাওয়ায়। এই মঙ্গলদের কারণেই ইসলামিক নেতৃত্ব আরবদের থেকে দখলমুক্ত হয়ে সাধারনের হাতে আসে - দরজা খুলে যায় অটোম্যান সাম্রাজ্যের। যদিও দোষ ধরতে গেলে অটোম্যানদের অনেক দোষই ধরা যায় - তবে আজকের বিষয় মঙ্গোলদের পরিণতি।
অবাক লাগেনা? কুরআনের আয়াতটি ঠিক এভাবে মিলে যেতে দেখে? আল্লাহই আল্টিমেট ক্ষমতাধর, যে যাই করে ফেলুক না কেন, তাঁর কৌশলের কাছে হারতেই হবে।
কেবল মূর্খরাই একজনের অপরাধে আরেকজন নিরীহ মানুষের জীবন নেয়ার জন্য উতলা হয়ে উঠে।
ক্রুসেডের ফলে জেরুসালেমের পতন ঘটলে ক্রুসেডাররা জেরুসালেমবাসীর কী হাল করেছিল সেটা ইতিহাসের বইয়ে স্পষ্ট লেখা আছে। গণহত্যা থেকে শুরু করে মানুষের মাংস খাওয়া পর্যন্ত কিছুই বাদ যায়নি।
তারপরে সালাদিন আল আইয়ুবী যখন জেরুসালেম পুনরুদ্ধার করেন, তিনি সবাইকে মাফ করে দিলেন।
তাঁর একজন সঙ্গী বলেছিলেন, "খ্রিষ্টানদের যে গির্জার কারনে জেরুসালেম নিয়ে ওদের এত লোভ, আসুন, আমরা সেটা ভেঙে ঝামেলা মিটিয়ে ফেলি।"
সালাদিনের জবাব ছিল, "আমারও পূর্বে আমার চেয়ে বহুগুন মহান এক ব্যক্তি (উমার (রাঃ)) সুযোগ পেয়েও এই কাজ করেননি। আমি কিভাবে সেই ব্যক্তিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার বেয়াদবি করতে পারি?"
আফসোস, বাংলাদেশে অনেককে দেখি অতি চেতনায় চেতিত হয়ে ভায়োলেন্সকে জাস্টিফাই করার চেষ্টা করে।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মে, ২০২১ রাত ১:১৩
৬টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×