somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"কাতারে বিশ্বকাপ হচ্ছে" - এ নিয়েও চুলকানি

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ২:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

"কাতারে বিশ্বকাপ হচ্ছে" - এ নিয়ে শুরুতে অনেকেই অনেক আউল ফাউল কথা বলেছিলেন। কারন কাতার একটি মুসলিম দেশ, এবং স্বাভাবিকভাবেই এখানে এমন অনেক নিষেধাজ্ঞাই থাকবে যা পশ্চিমা দেশে অনুমোদিত। মদ, খোলামেলা পোশাক, সমকামিতা ইত্যাদি যেমন উদাহরণ।
কাতারে মাঠে মদ নিষিদ্ধ হবে এতে অবাক হবার কি আছে সেটাই মাথায় ঢুকলো না। ফিফা প্রেসিডেন্টতো উদাহরণ হিসেবে ফ্রান্স, স্পেনের নামও উল্লেখ করে বললেন, সেখানেও এলকোহলিক বেভারেজ নিষিদ্ধ, তখন কেন কেউ আপত্তি করে না?
উত্তর হচ্ছে, কারন কাতার মুসলিম দেশ, এবং মুসলিমরা পান থেকে চুন খসালেই হাউকাউ করাটা নিজেকে "এস্মার্ট" প্রমান করার লক্ষণ।
ঘটনা হচ্ছে, যেকোন সভ্য দেশের সভ্য নাগরিকের অবশ্য পালনীয় কর্তব্য হচ্ছে অন্য দেশের আইন কানুনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা। যেমন বাংলাদেশে আপনি বারো বছর বয়সেও মদ কিনতে পারবেন। আমার যতদূর জানা, বাংলাদেশে আইডি চেকিংয়ের কোন সিস্টেমই নাই। আট নয় বছরের শিশু চা সিগারেট বিক্রি করে সংসার চালায়। মদ সিগারেটের জন্য কোন নির্দিষ্ট বয়সসীমা নেই।
ইংল্যান্ডে আঠারোর নিচে মদ কিনতে পারবেন না। এখন উনিশ বছর বয়সী একজন বাঙালি ও একজন ব্রিটিশ যুবক যদি আমেরিকায় আসে, তবে ওদেরকে বারে ঢুকতেই দিবে না। কারন আমেরিকায় মদ কেনার লিগ্যাল বয়স একুশ। বিড়ি সিগারেটের বয়স আঠারো। এর নিচের বয়সী কারোর কাছে সিগারেট বিক্রি করলে আপনার জেল হবে। এখন আপনি কি কান্নাকাটি করবেন যে কেন আপনাকে মদ কিনতে দেয়া হচ্ছে না? আম্রিকা কুব খ্রাপ?
তাহলে কাতারে "ওপেনলি মদ খাওয়া যাবেনা" নিয়ে এত কান্নাকাটি কিসের?

পোশাকের ব্যাপারেও ওদের কড়াকড়ির যথেষ্ট কারন আছে। ব্রাজিল বিশ্বকাপেই দেখা গেছে মেয়েরা বডি পেইন্ট করে উদাম ঘুরে বেরিয়েছে। সেটা যে ওরা কাতারে করবে না, এর গ্যারান্টি আপনি দিতে পারবেন? কাতার মুসলিম কনজারভেটিভ দেশ। আপনি সিঙ্গেল থাকলে হয়তো নগ্নগাত্র রমণী দেখে আপ্লুত হবেন, কিন্তু আপনার সাথে আপনার শিশু পুত্র কন্যা থাকলে তখন সেটা অস্বস্তিকর একটি পরিস্থিতি তৈরী করবে। কাতার সেটাই চায়নি। ওরা মদ-এলকোহল-নগ্নতা নিষেধ করে ফ্যামিলি ফ্রেন্ডলি পরিবেশে বিশ্বকাপ আয়োজনের ব্যবস্থা করেছে। সমস্যা?

কেউ কেউ যুক্তি দেখানোর চেষ্টা করেন, "আপনি আমাকে আপনার বাড়িতে দাওয়াত করে নিষেধ করলেন এইটা খেতে পারবো না, ওটা খেতে পারবো না, এইটা কেমন কথা? তাহলে দাওয়াত দিলেন কেন?" - খুবই খোঁড়া যুক্তি। এবং বুদ্ধিহীনও।
আপনি নিশ্চই আপনার বাড়িতে কোন ড্রাগ এডিক্টকে দাওয়াত করে ড্রাগ সেবন করতে দিবেন না। বলতে পারেন, "আমি ড্রাগ এডিক্টকে দাওয়াতই করবো না।" সেটাও খাটেনা। আমাদের অনেকের পরিবারেই এমন অনেক আপনজনই আছেন অনেক বাজে অভ্যাসে জড়িয়ে যান। আমরা চেষ্টা করি তাঁদের সুস্থ করতে, তাঁদের সাথে সম্পর্ক রাখতে। দাওয়াত না দিয়ে সম্পর্কচ্ছেদ করিনা।
এখানেও তেমনটাই ঘটেছে। সবার জন্যই বিশ্বকাপ উন্মুক্ত, শুধু ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক, এমন কিছু করা যাবেনা। খুব জটিল কোন সমস্যা? অভিনব কিছু? যে দেশে বেড়াতে যাবেন, সে দেশের সভ্যতা, সংস্কৃতি এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো সভ্য জগতের নিয়ম। অসভ্যরাই অন্য দেশে গিয়ে নিজের অভ্যাস চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। আপনি আমেরিকায় এসে ডালাসের রাস্তার পাশের ড্রেনে লুঙ্গি উঁচু করে জলবিয়োগ শুরু করে দিতে পারেন না। আপনার জেল জরিমানা হয়ে যাবে। কাতারেও তেমনই আপনাকে ওদের নিয়ম মেনে চলতে হবে।

কাতারের এই বিশ্বকাপ আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য ছিল ওদের ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রিকে প্রমোট করা। বিশ্ববাসী যেন কাতারকে চিনে, জানে, মিডিয়ায় প্রচলিত বহু অপপ্রচারের ব্যাপারে ধারণা পাল্টায়।

যেমন, মুসলিমদের ব্যাপারে পশ্চিমাদের অনেকেরই ধারণা আমরা সবাই সন্ত্রাসী। আমরা মেয়েদের দেখলেই তেড়ে আসি। হিজাব বোরখা ইত্যাদি জোর করে চাপিয়ে দেই। এইসব যে মিথ্যা, সেটাই প্রমান করা।
এর ফল ওরা পাচ্ছে হাতেনাতে।
শুরুর দিকে "এলকোহল নিষিদ্ধ কেন হলো?" নিয়ে হৈচৈ করা অনেকেই, বিশেষ করে মেয়েরাই এখন স্বীকার করছে যে মাঠের পরিবেশ যথেষ্ট ভাল ছিল। তাঁরা সামাজিকভাবে নিরাপদ বোধ করছেন। মাতালদের কারনে যা সবসময়ই মিসিং থাকতো। পুরো পরিবার নিয়ে সুস্থ পরিবেশে প্রতিটা ম্যাচ দেখতে পেরেছে।
এক অস্ট্রেলিয়ান ভদ্রলোক কাতারীদের আতিথেয়তায় বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে। ওর থাকার কোন স্থান ছিল না। এক কাতারি পরিবার ওকে ওর বাড়িতে রাতে থাকতে দিয়েছে। পশ্চিমা সমাজে যা অবিশ্বাস্য! আরবদের এই একটা সংস্কৃতি আসলেই বিস্ময়কর। আপনি যেকোন আরবের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় চাইলে তাঁরা আপনাকে আশ্রয় দিবেন, এবং তিনদিন পর্যন্ত তাঁরা প্রশ্নও করবেন না আপনি কেন এসেছেন, কবে যাবেন ইত্যাদি। এইটা ওদের সংস্কৃতি, এবং এ ব্যাপারে ওরা যথেষ্ট গর্ব বোধ করে।
গভীর রাতে ট্যুরিস্টরা ঘুরে বেড়িয়েছে, কোথাও কোন ছিনতাইকারী নেই, কোন টেনশন নেই। আমেরিকার নিউ ইয়র্ক, শিকাগো, লস এঞ্জেলেস, সান ফ্রান্সিসকো, ডালাস, সান আন্তোনিও, অস্টিনের মতন বড় বড় আধুনিক শহরেও এমন নিরাপত্তার নিশ্চয়তা নেই। বিস্ময়কর? জানতেন? না গেলে জানবেন কিভাবে?
হাজারে হাজারে মানুষ এলো খেলা দেখতে। সবাইকে জিম্মি করে নিত্য ব্যবহার্য পণ্যের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিই করলো না কেউ। কি বোকা! আমাদের ব্যবসায়ীরা এই সুযোগে কবেই কোটিপতি হয়ে যেত! বেকুবগুলি ব্যবসা করা শিখলো না।

কুরআনের আয়াত, রাসূলের (সঃ) বাণী কেন প্রচার হলো, এ নিয়েও অনেকের হাহাকার। আরে ভাই, বাংলাদেশে অনুষ্ঠান হলে রবীন্দ্র-নজরুল সংগীত প্রচার হতো না? আমাদের লুঙ্গি শাড়ি পরিহিতা নৃত্য পরিবেশন হতো না? আমরা দেউলিয়া বলে হিন্দি গান চালাই, কিন্তু যেকোন দেশ নিজের সমাজ, নিজের সংস্কৃতিকেই বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরবে, সেটাই স্বাভাবিক। কাতারীরা কুরআনের আয়াত প্রচার করবে, রাসূলের হাদিস শোনাবে, বোরখা পরিহিতা নারী মঞ্চে আসবেন - এতে বিস্ময়ের বা আপত্তির কি আছে? কে নিয়ম করে দিয়েছে যে ন্যাংটা না হলে বিশ্বকাপ ফুটবলের মঞ্চে গান গাইতে পারবেন না? কোন কোন বিখ্যাত গায়িকা/মডেল নাকি নিজেদের নাম উইথড্র করে বলেছেন, "আমাদের পোশাকের উপর হস্তক্ষেপ করেছে, আমি কাতারকে বয়কট করলাম।"
তা পশ্চিমা দেশ যখন হিজাবের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে, তখন কি সেটাও "পোশাকের স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ" নয়? নারীর স্বাধীনতা কি এই নয় যে "আমার ইচ্ছা আমি কেমন পোশাক পরবো" - নাকি শুধু কম কাপড় পরাকেই স্বাধীনতা বলে?
এই কিছুদিন আগে আমেরিকার সুপারবোল বিরতিতে জেনিফার লোপেজ এবং শাকিরা প্রায় ন্যাংটা হয়ে একটা পরিবেশন করলো। খোদ আমেরিকাতেই বহু নারী নিন্দা জানালো। সুপারবোল বা স্পোর্টসইভেন্টগুলো পারিবারিক উৎসবের মতন হওয়ার কথা। কিন্তু দিন দিন চিয়ার লিডারের নামে নারীদের ভালগার ভাবে পরিবেশন এবং আরও অন্যান্য কিছু যুক্ত হয়ে এটাকেও এডাল্ট এন্টারটেইনমেন্ট বানিয়ে ফেলছে। জ্বি, আমেরিকান, সাদা চামড়ার, উচ্চ্শিক্ষিতা রমনীদের এমন মন্তব্য ছিল। ওরা ওদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে চিন্তিত থাকে। এইজ রেস্ট্রিক্টেড বিষয়ে ওরা চরমভাবে মেনে চলে। স্ট্রীপক্লাব, ক্যাসিনো, বার ইত্যাদি সবই আছে এই দেশে, কিন্তু সব জায়গাতেই আইডি চেকিং হয়।
আমাদের দেশে দুই পাতা পড়েই আমরা নিজেদের প্রগতিশীল ভেবে অন্ধভাবে ভুল কিছু ফলো করা শুরু করে দেই।

মরোক্কোর খেলোয়াড়রা নিজেদের মায়েদের এনে নেচেছে। গোটা বিশ্বে, বিশেষ করে এশিয়ায় খুব প্রশংসিত হয়েছে বিষয়টা। কারন আমাদের কাছে পরিবার সবার আগে। আর ডেনমার্কের এক সাংবাদিক নাকি বিষয়টাকে বানরের পরিবারের সাথে তুলনা করেছে। কতটা সাইকো মেন্টালিটি!

হ্যা, কাতার একটি বড় সর অপরাধ করেছে। ইসলামের দৃষ্টিতেই যার কোন ক্ষমা নেই। এবং সেটি হচ্ছে সাড়ে ছয় হাজার শ্রমিকের মৃত্যুর কারন হয়েছে।
সহীহ হাদিস আছে, শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগে তাঁর পারিশ্রমিক দিয়ে দাও। ইসলামে শ্রমিকদের অধিকার এত কড়া (নিজে যা খায় খাওয়ানো, পরানো, মানবিক আচরণ ইত্যাদি) অথচ কাতার, বা মধ্যপ্রাচ্যের বেশিরভাগ দেশই এখানেই জুলুম করে বসে। তিন চারজন শ্রমিক মারা যাওয়াটাও বিরাট বড় অপরাধ, সেখানে সাড়ে ছয় হাজার শ্রমিকের মৃত্যু মোটেই ফাজলামি কথাবার্তা নয়। আপনি কোন অবস্থাতেই একে জাস্টিফাই করতে পারেন না।
সেই অতিরিক্ত তাপমাত্রায় কাজ করার অভিজ্ঞতা না থাকলে সহজেই মানুষ হিটস্ট্রোকে মারা যায়। এইটা মোকাবেলা করতে হয় প্রচুর পানি খাওয়ার মাধ্যমে। প্রতি পাঁচ দশ মিনিট পরপর পানি খেতে হয়। শরীরে যেন যথেষ্ট পরিমান লিকুইড থাকে। আমাদের টেক্সাসেই সামারে কনস্ট্রাকশন ওয়ার্কার বা আউটডোরে যারা কাজ করে, ওদের দেখি গ্যালনে গ্যালনে পানি, গেটোরেড ইত্যাদি নিয়ে কাজ করতে। আরবের উচিৎ ছিল ওদের মিস্ত্রিদের এই ব্যাপারে ট্রেনিং দেয়া, যথেষ্ট লিকুইডের ব্যবস্থা করা, যখন এক দুইজন মারা যেতে শুরু করেছে, সাথে সাথে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া যাতে তৃতীয়জন মারা না যায়। আপনি খেলার আয়োজন করতে গিয়ে মানুষ মেরে ফেলেছেন, আল্লাহর দরবারে কোন জাস্টিফিকেশনই কাজে আসবে না। তা যতই বললেন বহির্বিশ্বের কাছে আমি ইসলামকে তুলে ধরেছি বা ইত্যাদি। আপনি আল্লাহর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টির প্রতি জুলুম করেছেন, এর ক্ষমা নেই।

এখানে ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হলো, হঠাৎ করেই মহামানব হয়ে উঠা ফেসবুক গুনীজনেরা যখন চায়নায় অলিম্পিক হলো, তখন একটা টু শব্দ করে না। চায়না মানব অর্গ্যানের ব্যবসা করে, মানে হচ্ছে আপনার কিডনির প্রয়োজন? চায়না থেকে ব্ল্যাক মার্কেটে কিনতে পারবেন। কিছু পয়সা খসাতে হবে, এবং সঠিক লিংক ধরতে হবে। উইঘুর মুসলিমদের গায়েব করে ওদের অর্গ্যান বিক্রি করে দেয়। আরও নানাভাবে ওরা অর্গ্যান সংগ্রহ করে। বিলিয়ন ডলার ইন্ডাস্ট্রি। এছাড়া ওদেরই বা শ্রমিকদের কোন অধিকার আছে? দিনরাত কাজ করতে করতে প্রচুর কারখানা শ্রমিক আত্মহত্যা করে, যার ফলে আমেরিকান অনেক বড় বড় কোম্পানিকেও হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল এই কিছুদিন আগে। অ্যাপল, নাইকি ইত্যাদি কোম্পানির কথা বলছি। হিউম্যান রাইটসের কোন অস্তিত্ব চায়নায় আছে? সে ব্যাপারে সবাই চুপ। কারন চায়নার বিরুদ্ধে পকপক করলে চাইনিজ বাম্বু খেতে হবে।
আগামী বিশ্বকাপ হবে আমেরিকায়। আমেরিকা বিশ্বজুড়ে দেশে দেশে গিট্টু বাঁধিয়ে বেড়ায়। লাখ লাখ নির্দোষ মানুষ মেরে ইরাককে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়ে নিজেই স্বীকার করেছে ওটা ভুল তথ্য ছিল, অন্যায় যুদ্ধ ছিল। কাতারে সমকামীদের এলাউ করেনি, এ নিয়ে মহা হৈহুল্লোড় হয়েছে। আমেরিকায় কিছুদিন আগেই সমকামীদের একটি ক্লাবে ওপেন শুটিং হয়েছে। স্কুলে মাস শুটিং এখানে নিয়মিত ঘটনা। অস্ত্র আইন নিয়ে কথা বলার সাহস কোন সরকারেরই হয়না। ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার নিয়ে যে বিশ্বজুড়ে হৈচৈ, এর কারনও আমেরিকা। কারন আমাদের সাদা চামড়ার পুলিশ, কালোদের গুলি করে মারে। তা আমেরিকার বিরুদ্ধে দেখে নিব কোন কোন বাপের ব্যাটা মহামানব ফেসবুক বা মিডিয়ায় কথা তুলে বলে "বয়কট আমেরিকা ২০২৬।"

চ্যাম্পিয়ন মেসিকে আবায়া পরানো নিয়েও ইউরোপে কিছু মূর্খের মূর্খামি মিডিয়ায় ছড়িয়েছে। ওদের জ্ঞানই নেই আবায়া হচ্ছে আরব সমাজে সম্মানের প্রতীক। আমির যখন মেসিকে পরাচ্ছে, ঘটনাটা ব্রিটিশ রাজা কর্তৃক নাইটহুড উপাধির মতন। পরম সম্মানের বিষয়। গোত্রপ্রধান, মসজিদের ইমাম, বা নেতাগোত্রীয় কেউই এই পোশাক পরিধানের অধিকার রাখেন। মেসি আক্ষরিক অর্থেই ফুটবল বিশ্বের রাজা প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে এই পোশাক পরানো হয়েছে। আমাদের তিন বেগুন সাংবাদিকের মতন ওয়েস্টার্ন মিডিয়াতেও এমন অশিক্ষিত মূর্খ সাংবাদিক আছেন। এদের কথায় কিছু বাঙালিও লাফালাফি শুরু করেছে। এদের সবার জ্ঞাতার্থে, ৭০ এ পেলে যখন শেষবারের মতন চ্যাম্পিয়ন হলো, তখন তাঁর মাথায় ম্যাক্সিকান হ্যাট পরিয়ে দেয়া হয়েছিল। তখন কিন্তু কোন পন্ডিতের কাছ থেকে কোন মন্তব্য বের হয়নি।

এনিওয়েজ। এখন পর্যন্ত এই জীবনে দেখা সবচেয়ে জমজমাট বিশ্বকাপ দেখা হলো। গোটা টুর্নামেন্ট যেমন তুখোড় ছিল, ফাইনালটা সেভাবেই শেষ হলো। এরচেয়ে নাটকীয় ম্যাচ আর হতেই পারেনা। মেসি নিজেকে এমন উচ্চতায় নিয়ে গেল যা কেবল পেলে-ম্যারাডোনা করতে পেরেছিল। মেসিই উদাহরণ, আগামীর কোটি কোটি ফুটবলারের জন্য যে ডিসিপ্লিন্ড থাকলে, লক্ষ্য স্থির রাখলে, ধৈর্য্যশীল থাকলে, আর কঠোর পরিশ্রম করে গেলে গোটা বিশ্ব একদিন পায়ের নিচে এসে লুটায়।
ল্যাটিন অ্যামেরিকায় ট্রফি ফেরত গেছে ২০ বছর পর, এই জয় ল্যাটিন জাদুকরদের জয়। সেখানে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা নিয়ে মারামারি অতি তুচ্ছ।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ২:৫২
১৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদি কি লড়াকু সৎ এবং নিবেদিত প্রাণ নেতা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৬

হাদি কি লড়াকু সৎ এবং নিবেদিত প্রাণ নেতা ?

জুলাই আন্দোলনে তিনি প্রথম সারির নেতা ছিলেন না , তাকে কেউ চিনতো না কয়েক মাস আগে ও ।

জুলাই জংগীদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩২

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে[

স্বাধীন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা, মব-রাজনীতি ও এক ভয়ংকর নীরবতার ইতিহাস
চরম স্বৈরশাসন বা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রেও সাধারণত সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার সাহস কেউ করে না। কারণ ক্ষমতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প ৩০ দেশের দুষ্ট আমেরিকান রাষ্ট্রদুত বদলায়ে দিচ্ছে!

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২৩



আইয়ুব পাকিস্তানকে ধ্বংস করার পর, বাংগালীদের লাথি খেয়ে সরেছে; জিয়া, কর্নেল তাহের ও জাসদের গণ বাহিনী আমাদের দেশকে নরক (১৯৭৫ সাল ) বানিয়ে নিজেরা নরকে গেছে। আমাদেরকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

=হিংসা যে পুষো মনে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮


হাদী হাদী করে সবাই- ভালোবাসে হাদীরে,
হিংসায় পুড়ো - কোন গাধা গাধিরে,
জ্বলে পুড়ে ছাই হও, বল হাদী কেডা রে,
হাদী ছিল যোদ্ধা, সাহসী বেডা রে।

কত কও বদনাম, হাদী নাকি জঙ্গি,
ভেংচিয়ে রাগ মুখে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিএনপিকেই নির্ধারণ করতে হবে তারা কোন পথে হাটবে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:০৫




অতি সাম্প্রতিক সময়ে তারেক রহমানের বক্তব্য ও বিএনপির অন্যান্য নেতাদের বক্তব্যের মধ্যে ইদানীং আওয়ামীসুরের অনুরণন পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিএনপি এখন জামাতের মধ্যে ৭১ এর অপকর্ম খুঁজে পাচ্ছে! বিএনপি যখন জোট... ...বাকিটুকু পড়ুন

×