somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমাদের ক্যাপ্টেনের প্রস্তুতি কেমন? পরিবারের সাথে ভ্যাকেশন ট্রিপ।

০৩ রা আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি আলগা পিরীতি মার্কা আবেগ সাইডে রেখে কথা বলি, তাই আমার কথাগুলি শুনতে খারাপ লাগতে পারে, অনেকের মেজাজও খারাপ হতে পারে, তবে এইগুলি আমার নিজস্ব ধ্যান ধারণা, বিশ্বাস, অবজারভেশন ও মতামত। সহমত হতেই হবে এমন কোন শর্ত নেই। দ্বিমত পোষণ করলেও লজিক্যালি করুন। আমি যেমন ফ্যাক্ট নিয়ে আলোচনা করছি, সেভাবেই ফ্যাক্ট নিয়ে করুন। সেটাকে বলে "গঠনমূলক সমালোচনা।"

তো যা বলছিলাম, তামিম ইকবাল যেদিন সংবাদ সম্মেলনে কান্নাকাটি করে রিটায়ার করলেন, বাংলাদেশের ৯৯% ক্রিকেট ভক্ত সেদিন আবেগে ভেসেছিল। ও নিঃসন্দেহে আমাদের লেজেন্ড, আমাদের এখন পর্যন্ত সেরা ব্যাটসম্যান, এবং ওর সেই কান্না আমাদের সবার হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছিল। আমরা সবাই চাই সে সম্মানের সাথে বিদায় নিক। যেমনটা নিয়েছে স্টুয়ার্ট ব্রড, যেমনটা নিয়েছিল শচীন টেন্ডুলকার, মুথিয়া মুরলীধরণ, অর্জুনা রানাতুঙ্গা, ইমরান খান, মিসবাহ, ইনজামাম, ইউনুস খান প্রমুখ।
আমাদেরই আরেক লেজেন্ড মাশরাফির বিদায়টা সুখকর ছিল না, এখনও উনি অফিসিয়ালি রিটায়ার করেননি। রিয়াদ খুব সম্ভব তাঁর শেষ ইন্টারন্যাশনাল খেলে ফেলেছে, এখন তামিমও এইভাবে বিদায় নিলে স্বাভাবিকভাবেই আমরা খুবই হতাশ হবো।
তার উপর যুক্ত হয়েছে আমাদের উপমহাদেশের কালচার, যেখানে লেজেন্ডদের এইভাবেই বিদায় করা হয়। মহেন্দ্র সিং ধোনি, সৌরভ গাঙ্গুলি, ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুস, সাঈদ আনোয়ার প্রমুখ কারোরই বিদায় সুন্দরভাবে দেয়া হয়নি।
কাজেই সবাই বোর্ডদের ধুয়ে মুছে একাকার করে ফেলেছে। আমি নিজেও ওদের একজন। এরপরে "প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে" তামিম ইকবাল ফেরত আসেন। কিছু শর্তও জুড়ে দেন। (আমাদের প্রধানমন্ত্রী বিরক্ত হন না? ক্রিকেট বোর্ডের মতন অতি ফালতু ইস্যুতেও উনাকে টানাটানি? তাহলে বোর্ডের লোকজন কোন পরোটা ভাজতে সেখানে কাজ করছে?)

তামিম ফিরে আসায় এইবার কিন্তু সেই ৯৯% বাঙালি খান সাহেবের পাশে নেই। প্রতিবাদকারী জনতার অর্ধেকও একদিনের ব্যবধানে দল বদল করে ফেলেছেন। যারা এখনও আছেন, উনাদের অবস্থাও মিনমিনে। এ নিয়ে কথা এগুবার আগে আমাদের উপমহাদেশের কালচারটা তুলে ধরি। বুঝতে পারবেন কেন পাবলিক মিনমিন করছে।

বিদেশে (ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা ইত্যাদি সব ওয়েস্টার্ন দেশে) কেউ যখন কোন কাজের দায়িত্বে থাকেন, যখন তিনি বুঝতে পারেন সেই কাজটা তাঁকে দিয়ে হবেনা, বা তাঁর বদলে অন্য কেউ থাকলে তাঁকে দিয়ে আরও ভালভাবে হবে, তখন তিনি নিজে থেকে সরে দাঁড়ান। এমন উদাহরণ দেশের জাতীয় ক্রিকেটার থেকে শুরু করে অফিসের বস হয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী/প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত সব জায়গাতেই লক্ষ্যণীয়। যেকারনে "সামান্য" ফেরি দুর্ঘটনার কারনে নৌমন্ত্রীর নিজের দায়িত্বে অপারগতার দায় কাঁধে নিয়ে পদত্যাগের ঘটনা ঘটে বিদেশে, আর আমাদের দেশে প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনা ঘটলেও মন্ত্রী হাসিমুখে বলে "ভারতে এরচেয়ে বেশি মানুষ মরে।" "সামান্য" শব্দটা এই কারণেই উচ্চারণ করলাম, কারন ওদের ওখানে প্রতিদিন এমন দুর্ঘটনা ঘটে না। ওদের কাছে বিশাল। আমাদের প্রতিদিন ঘটে, তাই এ এমন কোন ঘটনাই না।
সাঙ্গাকারা এক বিশ্বকাপ পরে ক্যাপ্টেন্সি থেকে সরে দাঁড়ায়। কেন? কারন আগামী চার বছর পরে সে দলে নাও থাকতে পারে। এই চার বছর সময়টা যেন নতুন ক্যাপ্টেন দল গোছাতে সময় পায়, এবং ওর রিপ্লেসমেন্ট খেলোয়াড়ও তৈরী হয়ে যায়। যদিও সাঙ্গা পরের বিশ্বকাপও খেলে, পরপর চারটা সেঞ্চুরি করে দলে ওর অপরিহার্যতা প্রমানও করে, এবং বিশ্বজুড়ে লোকজনের হাহাকারের মাঝেই ফর্মের তুঙ্গে থাকতেই ক্রিকেট গিয়ার তুলে রাখেন। শুধু শুধু দলের বোঝা হননি, এসেট থাকতে থাকতেই বিদায় নিয়েছেন।

আমাদের আরেকটা অভ্যাস হচ্ছে, নিজের কাজের ব্যর্থতার দায় আরেকজনের কাঁধে চাপানোর জন্য যে মেধা খরচ হয়, সেই একই পরিশ্রম যদি কাজটা সফল করার পেছনে ব্যয় হতো, তাহলে ব্যর্থ হলেও লোকে এপ্রিশিয়েট করতো।
বিদেশে কিন্তু আপনাকে যে কাজের দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে, সেই কাজ আপনার রেস্পন্সিবিলিটি। আপনি প্লেন, হেলিকপ্টার, ট্যাংক দিয়ে কাজটা সারবেন কিনা সেটা আপনার ব্যাপার, কিন্তু ব্যর্থ হলে দায় আপনার। ক্ষমতায় আসার পনেরো বছর পরেও "সব বিরোধী দলের কাজের ফল" - টাইপ কথাবার্তা বাংলাদেশেই শোনা যায়। বাইডেনের সময়ে ইকোনমির অবস্থা কেরোসিন হয়ে গেছে, এবং বুদ্ধিমান ও শিক্ষিত লোক মানেই জানেন যে কাজটা ট্রাম্প শুরু করে গেছে, কিন্তু তারপরেও শুনবেন না বাইডেনদের কান্নাকাটি করতে যে "বিগত সরকার এই আকামটা করে গেছে।" আমেরিকার নিয়ম হচ্ছে, "তুমি বর্তমান সরকার প্রধান, তুমি ঠিক করো।"

যেহেতু ক্রিকেট নিয়ে কথা হচ্ছে, তাই কিছু উদাহরণ দেই।
ইমরান খান পাকিস্তানের অধিনায়ক থাকাকালে সিলেকশন কমিটি ছিল নামমাত্রে। ইমরান সেই খেলোয়াড়কে নিয়েই মাঠে নামতেন যাকে তাঁর প্রয়োজন। কারন হারজিত যেহেতু তাঁর রেস্পন্সিবিলিটি। এই কারণেই আমরা ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুস, ইনজামামদের রূপকথার মতন গল্পগুলো শুনতে পাই।
অর্জুনা রানাতুঙ্গাও একই। শ্রীলংকা গরিব, গৃহযুদ্ধ বিদ্ধস্ত একটি দেশ। জাতীয় ক্রিকেট দলের কোনই স্পন্সর নাই। যেকোন ট্যুর স্কেজ্যুল করার আগে স্পন্সর খুঁজতে হয়। স্পন্সর পাওয়া গেলে তবেই ট্যুরে যাওয়া হবে। ক্রিকেটারদের যথেষ্ট বেতনও নেই যে নিজে বাড়ি ভাড়া করে খেয়ে পরে থাকতে পারবে। অর্জুনা নিজের বাড়িতে রেখে, খাইয়ে, খেলিয়েছেন এমন কিছু ক্রিকেটারকে। ওদের একজন সনৎ জয়সুরিয়া।
সৌরভ গাঙ্গুলি, মহেন্দ্রসিং ধোনি, সবার এক কাহিনী। সিনিয়র জুনিয়র মেনে দল সাজায়নি। যতক্ষণ সিনিয়ররা সার্ভিস দিয়েছে, দিয়েছেন, তারপরে যাদের দিয়ে ভবিষ্যৎ ক্রিকেট লাভবান হবে, তাঁদের খেলিয়েছে।
বাবার আজমও একই কাজ শুরু করেছে। ইংল্যান্ডের মরগান এই কাজটা করায় বাংলাদেশের হাতে মার খাওয়া দল, পরের বিশ্বকাপেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেছে। স্টোকসের টেস্ট দলটিও এখন বিশ্বসেরা দল। যে কেউ ওদের সামনে দাঁড়াবার আগে আল্লাহর নাম নেয়।
তো যা বলছিলাম, আমাদের পঞ্চপান্ডব আমাদের অনেকদিন অনেক কিছু দিয়েছে। কিন্তু সবগুলোই বিচ্ছিন্ন ঘটনা। নিজের দেশের মাটিতে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ জয়, এবং বড় টুর্নামেন্টে মাঝে মাঝে দানব বধ। কিন্তু একটি ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট জিতেছে বাংলাদেশ পুরুষ দল? গেল বিশ্বকাপে আমাদের অবস্থান কত? দশের মধ্যে আট নম্বর। এইবিশ্বকাপেও কি সেমিফাইনাল খেলবে? আমারতো মনে হয়না। লজিক সেটাই বলছে। সাকিব এবং মুশফিক ছাড়া কয়টা খেলোয়াড় বড় টুর্নামেন্টের জন্য প্রস্তুত? তামিম নিজেইতো ফর্মে নাই। তারউপর ইনজুরি নিয়ে খেলতে নেমে মিডিয়ার সাথে কথা বলে। বোর্ড প্রেসিডেন্ট কিছু বললে কান্নাকাটি, অবসর! পাবলিক বোর্ড প্রেসিডেন্টকে গালাগালি করে ভাসায় দেয়। পাপনের পক্ষে বলার কিছু নাই, কিন্তু লজিক কি বলে? একটা ল্যাংড়া ঘোড়া রেসে দৌড়াবে, এইটা কেমন কথা? এইটাতো ভাগ মিলখা ভাগ সিনেমা না যে পা ক্ষত নিয়েও মিলখা দৌড়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে। তামিম সেই ম্যাচে কিছুই করতে পারেনাই। মাশরাফিও গত বিশ্বকাপে দলে একজন ফিট খেলোয়াড়ের জায়গায় খেলে গুরুত্বপূর্ণ স্পট নষ্ট করেছে। দেশপ্রেম এইটা না যে আমি আনফিট অবস্থায় নেমে দেশকে বিপদে ফেললাম। দেশপ্রেম এইটা যে আমি আনফিট, আমার জায়গায় আরেকজন ফিট খেলোয়াড়কে নামিয়ে আমার পক্ষে যেটুকু সম্ভব, বুদ্ধি, অভিজ্ঞতা, পরামর্শ উজাড় করে দিয়ে দলকে সাহায্য করলাম। আবেগ রেজাল্ট আনেনা, রেজাল্ট আসে লজিকে।

আসন্ন বিশ্বকাপে তামিম ফিরে আসায় আশায় বুক বেঁধেছে একদল বাঙালি। ওরা মেসির অবসর, ফিরে আসা, কোপা ও বিশ্বকাপ জয়ের সাথে গুলিয়ে ফেলেছে। হয় ওদের ক্রিকেট নলেজ শূন্য, নাহয় ওরা ক্রিকবলদ। মেসি একযুগেরও বেশি সময় ধরে সর্বকালের সর্বসেরা। ওর দ্বারা অতিমানবীয় কর্মকান্ড ঘটিয়ে বিশ্বকাপ জেতা সম্ভব। তামিমের কিসের ঘোড়ার আন্ডা এচিভমেন্ট? রেকর্ড/পরিসংখ্যান দেখিয়ে কিছু ক্রিকবলদ ওকে বীরেন্দ্র শেবাগের থেকে ভাল প্রমান করার চেষ্টা করে। এবং এই বেকুবদের বেকুব বানাতেই আমাদের সিনিয়ররা ব্যক্তিগত পরিসংখ্যানের জন্যই খেলে। শেবাগ ওয়ানডে/টেস্ট ইতিহাস পাল্টে দেয়া ওপেনারদের একজন। তামিম কি করেছে? পরপর চারটা ফিফটি ছাড়া আর কিছুইতো মনে নেই। সেই জহির খানকে এগিয়ে এসে ছয় মেরেছিল, তা নাসিম শাহও কিছুদিন আগে দুই বলে দুই ছয় মেরে নিজ দলকে জিতিয়েছিল। তো? ব্যাপার তখন হতো, যদি তামিম ক্যারিয়ার জুড়েই অমন দাপুটে ব্যাট করে যেত। জয়সুরিয়ার ব্যাটিং গড় ছিল মাত্র ৩২, এখনও ওর সময়ের বলাররা ওকে দুঃস্বপ্নে দেখে। তামিমকে নিয়ে কোন বোলার নিজের ভীতির কথা জানিয়েছে? কয়টা ম্যাচে তামিমের ইম্প্যাক্ট আছে?
বাংলাদেশের ক্রিকবলদগুলি ইমরুল কায়েসের ব্যাটিং গড় এবং ম্যাথু হেইডেনের ব্যাটিং গড় হিসাব নিকাশে ফেলে প্রমান করে দিয়েছিল ইমরুলব্রো হেইডেনের চেয়ে সেরা - এদের নিয়ে কি বলবেন?

এখান ইস্যু যেটা উঠে তা হচ্ছে, সাকিব ছাড়া আমাদের সিনিয়ররা কি অশ্বডিম্ব প্রসব করছেন? গতবিশ্বকাপে সাকিবই একমাত্র খেলোয়াড় যে ইম্প্যাক্টফুল পারফরম্যান্স দিয়েছে। একটা যোগ্য সঙ্গীর অভাবে সেমিফাইনালতো দূর, আমরা পাঁচ ছয়ও হতে পারলাম না। ওর ইন্টারভিউতেই এসেছিল কিভাবে আনফিট ক্যাপ্টেন নিজের জেদে খেলে গেছেন। সাকিবকে ক্যাপ্টেন্সি দিয়ে একজন ফিট খেলোয়াড় খেলালে কে জানে, আমরা সেমিতে উঠলেও উঠতে পারতাম।
"রিপ্লেসমেন্ট" নাই এইটা একটা মিথ। দুনিয়ায় মানুষের সৃষ্টিই হয়েছে একজনের বদলে আরেকজন আসবে বলে। ডন ব্র্যাডম্যানের রিপ্লেসমেন্ট খুঁজতে গেলে বুড়োকে আজও ব্যাট হাতে নামতে হতো। অস্ট্রেলিয়া পেয়েছে আরেকটা গিলক্রিস্ট? খেলছে না? এইসব আল্লাদিপনা আমাদের দেশেই দেখবেন।
একদিন সৌরভ ধোনিকে তিনে নামিয়েছিল বলেই সে একশো চল্লিশের উপর ইনিংস খেলে ফেলে। যদি সুযোগ না দিত? যদি সাতেই ব্যাট করাতো? তাহলে ইন্ডিয়ার ইতিহাস অন্যরকম হতো।
আমাদের দেশেই এইসব সিনিয়র জুনিয়র, দলীয় সিন্ডিকেট, প্রটোকল ইত্যাদি নিয়ে কামরা কামড়ি করে। সব দিক দিয়ে ব্যর্থ একটা দল, পাবলিকের আবেগের উপর টিকে আছে, আর ক্রিকেটাররা ভাব নেয় যেন একেকজন একেকটা ব্রায়ান লারা-শচীন টেন্ডুলকার।

তামিম ফেরার জন্য নানান শর্ত জুড়ে দিয়েছে। ওর খুব গায়ে লেগেছে কেন বোর্ডের লোকজন ওকে ডিঙিয়ে সাকিবের সাথে কথাবার্তা বলে। লাগাটাই স্বাভাবিক। গোটা দেশজুড়ে কানাঘুষা চলছে তামিমের চেয়ে সাকিব ভাল ক্যাপ্টেন, এইটাতো ওর কানেও এসেছে। তাছাড়া ক্যাপ্টেন সাহেবের ফর্ম কেমন? লেটেস্ট কোন ম্যাচে উনি ভাল খেলেছেন? এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের মতন বড় দুই টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি উনার কেমন? বাবর আজমকে ক্যানাডার লীগ এবং শ্রীলংকার লীগ একই পরিমান টাকা অফার করেছিল। ক্যানাডার লীগ সহজ এবং দশ পনেরো দিন আগেই শেষ হয়ে যাবে। মানে বিনাশ্রমেই পকেটে প্রচুর টাকা চলে আসার কথা। তারপরেও বাবর লংকান প্রিমিয়ার লীগ খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেন? কারন এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপ এই কন্ডিশনেই হবে। যত বেশি ম্যাচ প্র্যাকটিস তত ভাল।
সাকিবও খেলছে সেখানে। এই কাজটাই সাকিব প্রতিটা বড় টুর্নামেন্টের আগে করে। কন্ডিশনের সাথে পরিচিত হওয়া।
আমাদের ক্যাপ্টেনের প্রস্তুতি কেমন? পরিবারের সাথে ভ্যাকেশন ট্রিপ। ইনজুরি কাটাতে অপারেশন না করে ইনজেকশন নেয়া। এবং বোর্ডের প্রতি একের পর এক শর্ত আরোপ। কিছু বলতে পারবেন না। আবার কান্নাকাটি করবে, আবার আমরা আবেগে ভাসবো, আবার প্রধানমন্ত্রী ওকে ডেকে পাঠাবেন, বুঝাবেন, তারপরে সে সিদ্ধান্ত পাল্টাবে। কিন্তু টুর্নামেন্টের ফল যেই লাউ, সেই কদুই হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:০৬
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশে কোন প্রজন্ম সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত? ১৯৭১ থেকে একটি সংক্ষিপ্ত ভাবনা

লিখেছেন মুনতাসির, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৩

বাংলাদেশে দুর্নীতির প্রশ্নটি প্রায়ই ব্যক্তি বা দলের দিকে ছুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একটু গভীরে গেলে দেখা যায়, এটি অনেক বেশি প্রজন্মভিত্তিক রাজনৈতিক - অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে যুক্ত। ১৯৭১ এর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭



আমাদের ব্রেইন বা মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করে লেখাটি সে বিষয়ে। এখানে এক শিম্পাঞ্জির কথা উদাহরণ হিসেবে টেনেছি মাত্র।

ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×