somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

টাইটানিক যদি অন্য ডিরেক্টররা বানাতেন, তাহলে কেমন হতো!

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৩ রাত ১:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রিসেন্টলি টাইটান ট্র্যাজেডির কারনে টাইটানিককে নিয়ে লোকজনের আগ্রহ অনেক বেড়েছে। আমারও বেড়েছে। তাই মুভিটা আবার দেখলাম। তখনই মনে হলো, টাইটানিক যদি অন্য ডিরেক্টররা বানাতেন, তাহলে কেমন হতো!

সুরজ ভারজাতিয়া: জাহাজে সবাই সংস্কারি লোকজন, সবাই সুখী। মা বাবা ভাই বোন চাচা মামা খালা তালই প্রতিবেশী, প্রতিবেশীর আত্মীয়ের আত্মীয়ের প্রতিবেশী - সবাই একসাথে ভ্রমনে বেরিয়েছে। সুখের কোনই অভাব নাই। সেটা প্রকাশ করবে নানা আনন্দ ফুর্তির দৃশ্যের মাধ্যমে। যেমন পরিবারের সবাই মিলে ক্রিকেট খেলবে, লুডু খেলবে, ক্যারাম খেলবে ইত্যাদি। বাড়ির সবাই ফূর্তিতে ব্যস্ত, কাউকেই অফিসে যেতে দেখাবে না, এদিকে ফাইল হাতে ম্যানেজারবাবু উপস্থিত হবেন, এবং কয়েক হাজার কোটি টাকার প্রফিট হয়েছে বলে চলেও যাবেন। বাড়ি থেকে রওনা দেয়ার সময়ে এক গান হবে, গাড়িতে উঠে এক গান, জাহাজে উঠে আরেক গান, তারউপর আছে সবাই মিলে আন্তাকসারি খেলা। সময় খুব আনন্দে কাটবে।
কাহিনীর একদম শেষ সময়ে সামনে বরফের পাহাড় এসে উপস্থিত হবে। সবাই তখন খুব টেনশন করবে। পূজা করবে। অতঃপর জাহাজ ঢেউয়ে দুলতে দুলতে বরফের পাহাড় পাশ কাটিয়ে চলে যাবে। অতঃপর আরেকটা গান এবং সবাই সুখে শান্তিতে বসবাস করতে থাকবে।

হুমায়ূন আহমেদ:
জ্যাক উচ্চশিক্ষিত, আমেরিকা থেকে পিএইচডি করেছে, মধ্যবিত্ত কিন্তু ভবঘুরে জীবন যাপন করে। ছবি আঁকে, পকেটে মোমবাতি, আচারের বয়াম ইত্যাদি নিয়ে ঘুরাঘুরি করে। ফকির মিসকিনদের সাথে খায়।
রোজ বিরাট বড়লোকের মেয়ে, কিন্তু ভাবসাব অহংকার কিছু নেই। একদিন জোছনা দেখতে গিয়ে দেখবে ছেলেটাও জোছনা দেখছে। কিছুক্ষন কথাবার্তা হবে, এবং ছেলেটার প্রেমে পড়বে। সাথে সাথে বিয়ের প্রস্তাবও দিবে। পরের দৃশ্যে ওরা একসাথে বৃষ্টিতে ভিজবে এবং নেপথ্যে জাহাজের বয়াতির দল গেয়ে উঠবে, "আমার যমুনার জল দেখতে কালো....।"
এর আগে দেখানো হবে জাহাজের ক্যাপ্টেন যাত্রীদের মনোরঞ্জনের জন্য নানান প্ল্যান প্রোগ্রাম রেখেছেন। সম্মিলিতভাবে আয়োজন করে জোছনা দেখা তার একটি। আকাশে চাঁদ যখন তীব্র আলোর বিস্ফোরণ ঘটাবে, তাঁর নির্দেশে জাহাজের সব বাতি নিভিয়ে দেয়া হবে। ঘুটঘুটে অন্ধকারের মধ্যে জাহাজের ডেকে বসে সবাই জোছনাবিলাস করবে, নেপথ্যে বাজবে "আজ জোছনারাতে সবাই গেছে বনে।"
জাহাজের চীফ শেফ মিস্টার কাদের সদা সত্য কথা বলবে। সত্য বলে বলে সে কি বিপদে পড়ে, সেটা নিয়ে কাহিনী এগুবে।
জাহাজের মেইড রহিমা'জ মম ফটফটর করে কথা বলবে। কাদেরের সাথে ওর রেষারেষি কাহিনীর একটি বিরাট সাবপ্লট।
এই সময়েই কাহিনীতে টুইস্ট আসবে। সামনে বরফের পাহাড়! মদ্যপ ক্যাপ্টেন সবাইকে পানিতে ঝাঁপ দিতে বলে। যাত্রীদের একজন বলে উঠবেন, "এই ছাগল বলে কি?"
ক্যাপ্টেন তখন বুক চাপড়ে বলবেন, "এই ছাগল সত্য কথা বলে। এই ছাগলের জানের মায়া আছে!" বলেই সে দলবল নিয়ে সাগরে ঝাঁপ দেয়।
যাত্রীদের মধ্যে তখন ত্রাহি ত্রাহি রব। কিছুতেই জাহাজ রক্ষা করা যাচ্ছে না। একে অন্যকে জড়িয়ে কাঁদছে।
ঠিক এর পরের দৃশ্যেই দেখা যায় ক্যাপ্টেন নিজের লোকজন সহ ফিরে এসেছে। জাহাজ বাঁচানোর চেষ্টা করছে। নায়ক গিয়ে ওকে বলবে, "ক্যাপ্টেন সাহেব, আপনি মানুষটা ভাল।"
জাহাজ বরফের পাহাড়ের দিকে তীব্র বেগে এগিয়ে যাচ্ছে।
এবং কাহিনী সেখানেই শেষ।

ইয়াশ রাজ ফিল্মস ও ধার্মা প্রোডাকশনস: জ্যাক এবং রোজের প্রথম দেখা হবে ইন্ডিয়ার কোন কলেজে, কিন্তু ক্যাম্পাস দেখে কিছুতেই মনে হবে না ওটা ইন্ডিয়া। স্কটল্যান্ড, ইংল্যান্ড বা এই জাতীয় কোথাও মনে হবে। কলেজের ছাত্রছাত্রীরা সবাই দেখতে মডেলের মতন, যারা পড়ালেখা ছাড়া সবকিছু করে বেড়ায়। ওদের কারোরই ড্রেস নিউমার্কেট, গাউসিয়া থেকে কেনা মাল হবেনা, সবই দেখে মনে হয়ে প্যারিস থেকে শপিং করা। প্রিন্সিপাল একজন কার্টুনের মতন লোক, কমেডি করাই যার কাজ। ওর সাথে এক লেডি টিচারের প্রেম, যে মিনি স্কার্ট পরে ক্লাস করাতে আসে।
রোজ অনেক বড়লোকের মেয়ে। সে ক্যাম্পাসে আসে প্রাইভেট হেলিকপ্টারে চেপে। ওর পেছনে একদল সহচরী, যাদের কাজই হচ্ছে ওভারএক্টিং করা। রোজ এবং ভিলেন খুবই ভাল বন্ধু। ভিলেনের মনে পপকর্ন ফুটলেও, রোজ ওকে ফ্রেন্ডজোন্ড করে রেখেছে।
এদিকে জ্যাক বস্তির ছেলে, কিন্তু মানিষ মালহোত্রার ডিজাইন করা ড্রেস পরে, রেগুলার জিমে যাওয়া, প্রোটিন শেক খাওয়া পেটানো বডি। থাকে হাইসিলিংওয়ালা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কোন "বস্তিঘরে।"
টাইটানিক নামের ক্রুজ শিপ রওনা হবে সুইজারল্যান্ড থেকে।
বানসালির সেটের মতন বিশাল সেট হবে, অনেক লম্বা লম্বা পর্দা ঝুলবে দেয়াল থেকে, সিলিংগুলো হবে অনেক হাই।
নায়ক নায়িকার দেখা হবে জাহাজে, কিন্তু গান গাইতে ওরা সুইজারল্যান্ডের পাহাড়ে চলে যাবে, আবার গান শেষ করে মাঝ সমুদ্রের জাহাজে হাজির হবে। গানের প্রতিটা দৃশ্যে জাহাজের যাত্রীরা দলীয় নৃত্যে অংশ নিবে, এবং কেউই কোন ভুল করবে না। এই বিপুল পরিমান যাত্রী কখন রিহার্স্যাল করেছে, সেটা অবশ্য ভাবলে চলবে না।
জাহাজ যখন পাহাড়ের সাথে ধাক্কা খাই খাই অবস্থা, তখন সমবেত দোয়া প্রার্থনা করা হবে। সবাই আল্লাহ, খোদা, ভগবানকে ডাকবে, পেছনে লতা মঙ্গেশকরের কোন ভজন চলবে।
এই সময়েই টাইগার এবং পাঠান এসে হাজির হবে। ওরা তখন বলবে, "দেশকা সাওয়াল হ্যায়" - বলেই ওরা অ্যাকশন দেখায়ে জাহাজ দুর্ঘটনার হাত থেকে যাত্রীদের বাঁচিয়ে ফেলবেন। এদিকে ভিলেন নিজের প্রেমকে স্যাক্রিফাইস করে নায়িকার হাত নায়কের হাতে তুলে দিবে। অতঃপর সিনেমা শেষ।

রাম গোপাল ভার্মা এবং অনুরাগ কাশ্যপ: নায়ক বিহার থেকে মুম্বাই আসবে। থাকবে বস্তিতে। মুখে দাড়ি গোঁফের জঙ্গল, গায়ে ময়লা কাপড়। নানান পরিস্থিতির শিকার হয়ে সে গ্যাংস্টার হয়ে যাবে। বস্তিবাসী কাজের বুয়া হচ্ছে নায়িকা। ওর সাথে সুন্দর প্রেম কাহিনী এগুবে। নায়ক চার পাঁচটা মার্ডার করে দুবাই যাবার জন্য টাইটানিকে উঠবে। কিন্তু এই টাইটানিক সেই লাক্সারি টাইটানিক না, বরং মাছ ধরার ট্রলারের মতন দেখতে একটা লঞ্চ।
এদিকে ওর শত্রু আরেক গ্যাংস্টার সেখানেও ওর পিছু নিবে। সাথে মুম্বাই পুলিশ কমিশনারও। জাহাজের মধ্যেই আরও গোলাগুলি হবে। জাহাজ আইসবার্গে ধাক্কা খাবার আগেই পাত্রপাত্রী একজন আরেকজনকে গোলাগুলি করে মরে চিৎপটাং হয়ে যাবে।

বালাজি: জাহাজের ক্যাপ্টেন আসলে জাহাজের মালিকের পরিবারকে বরবাদ করতে জাহাজে চাকরি নিয়েছে। জাহাজের মালিকের সাথে ওর পরিবারের ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব আছে, সে প্লাস্টিক সার্জারি করে নতুন চেহারা নিয়ে ক্যাপ্টেন হিসেবে জয়েন করেছে। এখন সে ইচ্ছা করেই জাহাজের স্পিড বাড়ায় যাতে জাহাজ বরফের পাহাড়ের সাথে বাড়ি খায় এবং ডুবে যায়।
এদিকে রোজ সংস্কারি বহু, যে ঘর সামলায়, সকালে উঠে শ্বাশুড়ির সাথে পূজা করে, সবাইকে ঘুম থেকে জাগায়, সবার জন্য একাই নাস্তা বানায়, বাবুজীর (শ্বশুর) জন্য চা বানায়, জ্যাককে অফিসের জন্য রেডি করে বিদায় দিয়ে জাহাজে চাপে। এসে দেখে জ্যাক অফিসের সেক্রেটারি, যে কিনা ইচ্ছাধারী নাগিন, ওর সাথে লটরপটরে ব্যস্ত। তারপরে নিজের সিন্দুরের শক্তি দেখিয়ে জ্যাককে ঐ ইচ্ছাধারী নাগিনের হাত থেকে উদ্ধার করে। নাগিন নিজের আসল রূপ প্রকাশ হয়ে যাওয়ায় সাগরে ঝাঁপ দেয়, সেখানে একটি শার্ক ওকে সাপ ভেবে খেয়ে ফেলে। জ্যাকও তওবা করে পূত-পবিত্র হয়ে যায়।
এদিকে জাহাজ আইসবার্গের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আইসবার্গ দেখে ক্যাপ্টেনের রিয়েকশন পর্দায় ভেসে উঠে। তারপরে ভাইসক্যাপ্টেনের চেহারা। তারপরে কোচের চেহারা। তারপরে ফিজিওর চেহারা। তারপরে টুয়েল্ভথ ম্যানের। তারপরে একে একে ২২০০ যাত্রীর প্রত্যেকের চেহারার শকিং এক্সপ্রেশন বজ্রপাতের সাউন্ড এফেক্ট সহ পর্দায় ভেসে উঠে। জাহাজ তখনও আইসবার্গের দিকে এগুচ্ছে। সবার এক্সপ্রেশন দেয়া শেষে একে অন্যকে জড়িয়ে কান্নাকাটি শুরু করে। স্লোমোশনে এই দৃশ্য আরও দুই এপিসোড ধরে দেখানো হবে। ব্যাকগ্রাউন্ডে সিনেমার থিম সংও টেম্পো স্লো করে বাজতে থাকবে। জাহাজ তখনও এগুচ্ছে।
ক্যাপ্টেনের আসল রূপ একসময়ে প্রকাশ পায়। জ্যাকের সাথে মারামারি, ধস্তা ধস্তি হয়। কিন্তু তীব্র গতিতে এগুতে থাকা জাহাজকে থামানোর আর কেউ নেই। এই সময়ে রোজ বুঝতে পারে সে যেহেতু ঘর সামলাতে পারে, তাই জাহাজ সামলানোও ওর কাছে কোন ব্যাপার না। সে দৌড়ে গিয়ে হুইল সামলায়। তারপরে ডানে বামে ঘুরাতে থাকে। জাহাজও একপাশে সরে গিয়ে ধাক্কা এড়ায়। অতঃপর জাহাজ সকল যাত্রী সমেত রক্ষা পায়।


এসএস রাজামৌলি: জাহাজটা বিশাল, শুধু বিশালই না, মনে হবে আস্ত শহর এটাতে ফিট হয়ে গেছে। বাস্তবের টাইটানিক চার পাঁচটা অনায়াসে এটাতে ঢুকে যাবে।
আইসবার্গে ধাক্কা খেতে যাবে। কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। হুইল ঘুরাতে গিয়ে দেখা যাবে হুইল হাতে খুলে এসেছে। যাত্রীরা সবাই কান্নাকাটি জুড়ে দিয়েছে। জাহাজ দ্রুত বেগে এগিয়ে চলেছে বরফের পাহাড়ের মাঝ বরাবর ধাক্কা দিতে। এক ধাক্কাতেই লোহার জাহাজ ভেঙ্গে চৌচির হয়ে যাবে।
এই সময়ে নায়ক জাহাজের পেছন থেকে দৌড় শুরু করবে। ওর কাঁধে লম্বা দড়ি পাক খাইয়ে রাখা, যার এক প্রান্ত জাহাজের আগায় শক্ত করে বাধা আছে। নায়কের দৌড় দেখেই মিউজিশিয়ানদের মনে জোশ তৈরী হবে, ওরা আরও এনার্জি দিয়ে বাজনা বাজানো শুরু করবে। সেই বাজনা যাত্রীদের মধ্যেও এনার্জি নিয়ে আসবে। ওরাও ছন্দে ছন্দে ডান্স শুরু করবে। নাচের মাঝখানেই নায়ক দৌড়ে এসে লং জাম্প দিয়ে সরাসরি বরফের পাহাড়ে গিয়ে পড়বে। তারপরে আরেক লাফ দিয়ে পাহাড় থেকে আরও দূরে সরে যাবে। কিন্তু কাহিনীতে বিশাল টুইস্ট। নীল তিমি সাইজের একটা হাঙ্গর মাছ তখন নায়ককে কামড়াতে আসবে। হাঙ্গর দিবে হুঙ্কার, এটা দেখে নায়কও দিবে হুংকার। নায়ক ও হাঙরে তুমুল ধস্তাধস্তি হবে, কিন্তু নায়ক হাঙরকে মারবে না। বরং ওর পিঠে চেপে বসবে। তারপরে নিজের কাঁধে বাঁধা দড়ি সহ হাঙরের পিঠে চেপে ওরা জাহাজকে টেনে দিক বদল করে ফেলবে। দুই হাজার যাত্রীর প্রাণ এইভাবেই রক্ষা পাবে।
কিন্তু না! এরমধ্যে কাহিনীতে আসবে কাটাপ্পা! সে এসে নায়কের পেছনে ছুরি চালিয়ে দিবে। অতবড় হাঙর যার কিছু করতে পারলো না, এত বড় জাহাজ যে টেনে সরিয়ে দিল, সেই নায়ক খতম! সবাই প্রশ্ন করবে, "কাটাপ্পানে জ্যাককো কিউ মারা?"
জানতে হলে দেখতে হবে টাইটানিক-২!

সবশেষে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড:
টাইটানিক আইসবার্গে ধাক্কা খাবে ঘোষণা দিয়েছে। জাহাজের ক্যাপ্টেন পপকর্ন সংবাদ সম্মেলনে বলবে, "আমি স্পিড বাড়াতে বলেছি, অন্ধকারে সে এগিয়ে চলেছে, এখন সামনে আইসবার্গ আসায় সিদ্ধান্ত নিয়েছে ধাক্কা দিবে। এতে আমার কি করার আছে আপনারাই বলেন?"
এইসময়ে বোয়িং এয়ারলাইন্স জাহাজকে ফোন করে বলবে, "তোর সিদ্ধান্ত তোর, কিন্তু তুই পারবি!"
টাইটানিক তবু থামাথামিতে নাই। সে গুতা দিবেই।
যাত্রীদের আত্মীয়স্বজন তখন লন্ডন এবং নিউইয়র্কের রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করে দিবে টাইটানিক ডুবা চলবে না। জাহাজের ক্যাপ্টেনের ফাঁসি চাই! সবাই তখন প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করবে।
এই সময়ে প্রধানমন্ত্রী নিজ কার্যালয়ে জাহাজ, ক্যাপ্টেন এবং বোয়িং বিমানকে ডেকে পাঠাবেন। রুদ্ধদ্বার বৈঠক হবে। বাইরে সাংবাদিক ও বিশ্ববাসী অপেক্ষায় থাকবে। বৈঠক শেষে বেরিয়ে এসে টাইটানিক জানাবে সে আজকে ডুববে না।
অতঃপর সহীহ সালামতে যাত্রীদের নিয়ে সে নিউইয়র্ক পৌঁছাবে।
পরেরদিন পত্রিকায় জাহাজ, বোয়িং এয়ারলাইন্স, পপকর্ন ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি প্রকাশ হবে।
সিনেমা সমাপ্ত!

সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৩ রাত ১:৪১
৫টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭



আমাদের ব্রেইন বা মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করে লেখাটি সে বিষয়ে। এখানে এক শিম্পাঞ্জির কথা উদাহরণ হিসেবে টেনেছি মাত্র।

ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

×