অস্তিত্তের বায়বীয় এবং বাস্তব রুপায়ন মানব জীবনের সবচেয়ে রহস্যময় এক প্রশ্ন। মহাজাগতিক ঘোরের ভেতর থেকে মানুষের যখন বোধের উদয় হল, চেতনায় ডুব দিয়ে মানুষ তখন ভাবতে শিখল... সম্ভবত তখন থেকেই মানুষ এই প্রশ্নবোধক চিহ্ন টি লালন করে আসছে -----“ আমি কে?”
এই প্রশ্নটির সাথে মানুষের অস্তিত্ব আমূল নাড়া দেয়। এই রহস্যময়তার আবর্তে অনেক শিল্পী, দার্শনিক, কিংবা প্রতিটি সাধারণ মানুষ চেতনে অবচেতনে বারবার ঘুরপাক খেয়েছে।
সভ্য জগতের গণ্ডি ছেড়ে শিল্পী গগ্যাঁ তাহিতি দ্বীপে বসে বসে এই প্রশ্নটির তাড়না থেকেই নির্মাণ করেছিলেন তার চিত্রকর্ম –“আমরা কে? আমরা কোথা থেকে এসেছি ? আমরা কোথায় যাবো ?” বৈষ্ণব ধর্মমতের প্রবর্তক শ্রী চৈতন্য শৈশবেই তার বাবাকে প্রশ্ন করেছিলেন- “ তুমি কে?” তার বাবা উত্তরে বলেছিলেন- “ আমি তোর বাবা।” চৈতন্য তখন এই কথার প্রতিউত্তরে বলেছিলেন- “ না তুমি বল তুমি একজন মানুষ।”
প্রকিতির অংশ হিসেবে আমি একজন মানুষ। শত বছরের বিবর্তনের ফলাফল হিসেবে সবচেয়ে উন্নত প্রজাতির একটি প্রাণী । যার কিছু ইন্দ্রিয় রয়েছে। সেই ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে আমি লালন করি কিছু বোধ । আর সেই বোধগুলোই আমাকে সৃষ্টিশীল ও মননশীল এক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে হাজারো কৌতুহল অজানাকে জানার, ঈপ্সার , সভ্যতা নির্মাণের প্রথায় এগিয়ে দিচ্ছে ।
তবুও হাজারো দ্বন্দ্ব মনের ভেতর খেলা করে। “ আমি কে?” – আমি একজন মানুষ... তবে মানুষ কি? কেবলই এক পরিকাঠামো ! কিছু অঙ্গ প্রত্যঙ্গের বিন্যাস !
না!!!!!
মানুষ মানে আবেগের সমষ্টি । মানুষ মানে কিছু স্বপ্ন। মানুষ মানে কিছু লাল- নীল কষ্ট। মানুষ মানে ক্রমাগত ভাবনার স্ফুরণ ,মানুষ মানে নির্মাণের ব্যাকুলতা – ভাঙতে ভাঙতে গড়া ।
এই সমস্ত বিষয়কে ধারণ করে আমার যে সত্তাটি সে টি আমার আসল পরিচয় । সেই সত্তাটির নাম “মানুষ”...

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




