মুসলমানদের দুইটা ঈদ। একটা তীব্র মানবিক অন্যটা তীব্র অমানবিক। রোজার ঈদে একটা মানবিকতা থাকে। সবাইকে বুকের মধ্যে স্থান করে নেয়া। অন্তত একটা দিন সবাই বুঝতে পারে মহত্বের আনন্দ ও সুখ। আর অন্যটা স্রেফ একটা হত্যা উৎসব। সভ্যতার ক্রমবিকাশের পথ ধরেই মানুষ তার শুণ্যতা আর ভয়ের জায়গা থেকে প্রকৃতির উদ্দেশ্যে বলি দিত। আর এই বলি প্রথা বিভিন্ন ভাবে রিলিজনগুলো গ্রহন করেছে। বর্বর সেমেটিক ধর্মগুলো আরও নিষ্ঠুর ভাবে এটাকে গ্রহণ করেছে। সেমিটিক ধর্মগুরু আব্রাহাম তার পুত্র ইসমাইলকে জবাই করতে গিয়েছিল আর এর বদলে জবাই হয়ে যায় একটা দুম্বা। আর তার ফলে সেমিটীয় ধর্মগুলোতেই এই প্রথা চলে আসছে। ভাগ্যিস ঐ লোকটা যদি এটা বাজারে চালু করতো যে ইসমাইলকেই জবাই করা হয়েছে তাহলে আজ মুসলমানদের ঘরে ঘরে তাদের প্রিয় পুত্রের মাংশে ফ্রিজ ভরে থাকত। আর আমরাও প্রিয় ভাইয়ের সুস্বাদু মাংশ খেতাম হরেক রকম মসলা সমেত। পৃথিবীতে অনেক অশিক্ষিত, ভন্ড ধর্মগুরু, দার্শনিকরাই মানুষ ছাড়া অন্য কিছু চিন্তা করতে পারতেন না। মানুষকে মানবিক করার জন্যই তাদের চিন্তা। একমাত্র বুদ্ধই বলেছিলেন' প্রাণী হত্যা মহাপাপ,। আঠার হাজার আখলাকুল মাখলুকাতে র মধ্যে শ্রেষ্ট হচ্ছে মানুষ। মুহাম্মদের গ্রন্থে এটাই লেখা আছে। আর সব প্রাণী মানুষের জন্য আর মানুষ হচ্ছে আল্লাহর সেবার জন্য। তার মানে বাকীদের জবাই করে খাও। আর আল্লার ধর্ম রক্ষার্থে জীবন দাও বা নাও। মুহাম্মদ প্রাণী জগতের ক্রমবিকাশ জানতেন না। সে অলৌকিক অন্ধ ছিল। মানুষ আসলে একটা ভয়ানক জন্তু ছাড়া কিছু নয়। সে আজ সবচাইতে ক্রুর, ধ্বংশাত্মক, দুর্ধর্ষ। তার হাতে কোনো প্রাণী নিরাপদ না। আকাশে, সমুদ্রে,স্থলে সকল প্রাণীকেই সে খেয়ে সাবাড় করতে চায়। অনেক প্রাণীই আজ বিলুপ্ত হতে চলেছে। এমনকি মানুষ তার কাছেও সে নিরাপদ নয়। সভ্য হলে সে অন্যান্য প্রাণীদের অধিকার সম্পর্কে ভাবত। কেননা পৃথিবী শুধু মানুষের জন্য নয়। মানুষ মানবিক হলে আকাশকে সাগরকে জঙ্গলকে প্রাণীদের জন্য সম্পুর্ণ বাস যোগ্য করে দিত। তাদের রোগমুক্ত করার ব্যবস্থা করত। এখন সময় এসেছে এসব ভাবার। ধমর্ীয় উৎসবের নামে আমরা আজ আর কোনো হত্যা উৎসব মানবনা।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



