ইংল্যান্ডে হুট করে কাজ পাওয়া সহজ নয়। অনেক কাগজ পত্র দরকার হয়। কাজ পেতে যেটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সেটা হলো ন্যাশনাল ইনসুরেনস নাম্বার সংক্ষেপে এন আই নাম্বার। এন আই নাম্বারের জন্য ইন্টারভিউ দিতে হয় এবং ইন্টারভিউর ডেট পাওয়া ও সহজ নয়। কয়েকদিন একনাগারে ফোন করতে থাকলাম। একদিন পেয়েও গেলাম ইন্টারভিউর ডেট। একমাস পরের একটা ডেট দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে একটা সি ভি তৈরী করে বিভিন্ন সুপার মাকেটগুলোতে ড্রপ করতে থাকলাম। রিপ্লাই পেলেই ইন্টারভিউ দেই কিন্তু এন আই নাম্বার আর এক্সপেরিয়েনস এর অভাবে জব মেলে না। স্টুডেন্ট বলে ফুলটাইম জব কেউ দেবে না। স্টুডেন্টদের 20 ঘন্টার বেশী জব করার পারমিশান নেই। সেক্ষেত্রে অনেক স্টুডেন্টই দু তিনটা পাট টাইম জব করে ভিন্ন ভিন্ন অগানাইজেশন এ।
এন আই ইন্টারভিউ যেদিন দিলাম সেদিন লন্ডনে আমার তিন মাস পূণ হয়েছে। একোমোডেশন এবং কনভেনস দিতে দিতে দেশ থেকে আনা টাকা পয়সা সব শেষের পথে। খুব হতাশ হয়ে পড়েছি। এই সময় আমার এক বন্ধু পরামশ দিলো ইন্ডিয়ান রেষ্টুরেন্ট এ কাজ খুজতে। ইষ্ট লন্ডনে প্রচুর জব সেন্টার আছে যেখানে 20 পাউন্ড ফি দিয়ে রেষ্টুরেন্টের কাজ নেয়া যায়। রেষ্টুরেন্টের মালিকরা বেশীর ভাগই বাঙ্গালী সিলেটি এবং অশিক্ষিত। খুব খটায় বেতন কম দেয় আর খুব বাজে ব্যবহার করে। এইসব কারণে বেশীরভাগ স্টুডেন্ট এই কাজে আগ্রহী হয়না।
কিন্তু আমারতো আর পথ নেই ।
জব সেন্টার থেকে 20 পাউন্ডের বিনিময়ে একটা ওয়েটার এর জব পাওয়া গেলো।লন্ডন থেকে 30-35 মাইল দূরে।পরের দিন থেকেই জয়েন করতে হবে। নতুন বলে বেতনও কম সাথে থাকা খাওয়া ফ্রি।
পরের দিন ছোট একটা লাগেজে নিত্যপ্রয়োজনীয় কাপড় চোপড় নিয়ে রওনা দিলাম। ন্যাশনাল রেলের ওয়ান ওয়ে টিকেট কাটার পর দেখি আমার পকেটে 17 পাউন্ড অবশিষ্ট আছে।
লন্ডনে এই আমার শেষ সম্বল।
চলবে..........................
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৭:০৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



