সেবারই প্রথম পা ফেলি
তারুণ্যের দু:সহ আর
অস্থির রাজপথে;
ভাপ উঠা পিচ আমাকে পড়িয়েছিল
স্যাতস্যাতে গরম ঘামের চাদর,
রোয়া উচিয়ে রোমকণা সব হা পিত্যেশ
ঝিরিঝিরি বাতাসে মোড়া চুপচাপ
ঠান্ডা ছায়া-
কোন বৃক্ষের
একটি সাদা বৃক্ষের।
গলি তস্য গলিতে ছেয়ে থাকা
নগরীতে, রোদে চৌচির নগরীতে,
যখন ভঙ্গুর ভবঘুরে, হাটু ভাঙ্গা কান্তিতে
অশান্ত আমি ক্রমশ শ্রান্ত আর
গলায় ঠেকে আছে তৃশ্নার ঢেলা
খোঁজে ছিলাম শাদা স্বচ্ছ
টলটলে শান্তিতে কলকল
রুপালী সুখে ভরা-
কোন ইরাবতির
একটি সৌম্য নদীর।
হলুদ ধুলোয় ছাওয়া
দুপুরে, হালকা শব্দ যেখানে
স্যাৎ করে উঠে আর
প্রখর নিংসঙ্গতায় দম
ক্রমশ এটে বসে গলায়;
হা হা শুন্যতায় ভরা এই
দুপুরে, এই মৌন নিঝুমতায়
ঢলে পড়া কান উৎকর্ণ
মমতাময়ী কোন স্বরের-
দীঘলকন্ঠি এক ঘুঘুর।
পেরিয়ে অত:পর সকল দুপুর
সকল রাজপথ অতিক্রম করে;
ভঙ্গুর পড়ে আছি
এক আকাশ রোদের তীব্র ঝাপটায়;
ঠাঠা তৃশ্নার্ত।
আর তোমাকে খুজছি
হে গুরু !
কবিতাখানি হাতে নিয়ে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুন, ২০০৯ দুপুর ২:৪২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





