বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধকালের প্রকৃত ইতিহাস জানলে নতুন প্রজন্মের কাছে আওয়ামী লীগ মুখ দেখাতে পারবে না। স্বাধীনতা লাভের পর শেখ মুজিবের ৭২-৭৫ শাসনামলে তারা ৩০ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছে। আজ মঙ্গলবার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় প্রেসকাবে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের বিচার না করে ক্ষমা করে দিয়েছে। আমাদের প্রশ্ন কোন অধিকারবলে তৎকালীণ সরকার তাদের ক্ষমা করেছে। আজকে যারা ক্ষমতায় আছে তারা তখনও ক্ষমতায় ছিল। মুক্তিযুদ্ধকালের প্রকৃত ইতিহাস জানলে নতুন প্রজন্মের কাছে আওয়ামী লীগ মুখ দেখাতে পারবে না।
বিএনপি নেতা বলেন, যদি শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েই থাকেন তা হলে জিয়াউর রহমান কেন বেতার কেন্দ্রে গিয়ে ওই ঘোষণা দিবেন? আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে জীবিত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে জিয়াউর রহমানকে সর্বোত্তম খেতাব বীরউত্তম উপাধি দিয়েছে। তখন তার পরিচয় ছিল একজন মুক্তিযোদ্ধা ও সেনা কর্মকর্তা। যে জাতির ৯০ শতাংশ মুসলিম সে দেশের সংবিধানে বিসমিল্লাহ ও আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা সংযোজন করেছেন জিয়াউর রহমান। আওয়ামী লীগ যেখানে ব্যর্থ হয়েছে জিয়াউর রহমান ও তার দল সেখানে সফল হয়েছে। আজকে সরকার জিয়াউর রহমানের দল ও পরিবারকে ভয় পায়। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে দেশকে সমৃদ্ধশালী করতে হলে জাতীয়তাবাদী শক্তির সরকারকে ক্ষমতায় আনতে হবে।
পরিষদের সভাপতি মাহমুদুর রহমান বলেন, আজকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের নামে প্রহসন করে একটি রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে প্রকৃত অপরাধীদের ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। তাই ইতিহাস বিকৃতকারীদেরও বিচার হতে হবে।
ঢাবির সাবেক ভিসি ও প্রখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. এমাজউদ্দীন আহমেদ বলেন, এখন দুইটি ব্যানার ব্যবহার করা হচ্ছে একটি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির অন্যটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। আজকে মেজর জলিলকে মুক্তিযোদ্ধা বলে স্বীকার করা হচ্ছে না। তাহলে একাত্তরে কারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ছিল? যারা ইতিহাস বিকৃত করে চলছে তাদের লজ্জা হওয়া উচিত। একটি প্রশিক্ষিত বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করে মাত্র নয় মাসে যুদ্ধে জয় লাভ করা সম্ভব হয়েছে এটি জনযুদ্ধ হওয়ার কারণে। কোনো একক দলের পক্ষে তা সম্ভব নয়।
http://www.dailynayadiganta.com/details/16339

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





