কলেজ থেকে বাসে করে নামলাম, শীতের দিন, কষ্ট হবার তেমন কারন নেই । তবুও মনটা খারাপ হয়ে গেল, ভীষন কষ্ট লাগছিল একটা অদ্ভূত
ব্যাপার ভেবে । আসার পথে রাস্তায় খেলছিল কিছু ছোট ছেলে-মেয়ে, তাদের গায়ে কাপড় নেই, সারা গায়ে ধূলো-বালিতে সয়লাব ।
বোঝাই যায় তাদের আর্থিক অবস্থা ভালো নয় । এলাকাটায় ছোট ছোট ছেলে-মেয়েতে ভরে গেছে । মাথায় সয়তান উকি দিলো, আচ্ছা
এরা সব আসে কোথা থেকে? হুম, মস্তিস্ক তথ্য দিলো যে এর জন্যে বিয়ে-সাদি করতে হয় । হ্যা, বিয়ে সাদির কাজও তো প্রায় শুক্রবারে
একটা না একটা হচ্ছেই । অতএব, ভবিষ্যতেও মানব সংখ্যা বাড়তে যাচ্ছে । আরে তাতে সমস্যা কিরে ভাই, মানুষ তো বিয়ে করবেই আর
মানব সংখ্যাও বাড়াবে, প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়ম, এভাবে ভাবছি কেন! পরক্ষনেই মস্তিস্ক এ জাতীয় ভাবনার হেতু জানান দিলো । ছেলে-মেয়েগুলোর
কথা মনে পড়ল, তাদের দুরাবস্থা মনকে একটা অনিশ্চয়তার মাঝে ফেলে দিলো, দূর্ভাবনার শুরু হলো । দেশের অবস্থা, ভাগ্য, নিজের অবস্থান তো
আমার নিজেকেই একটা অনিশ্চিত যাত্রায় আরোহী করেছে, এদের মতো ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা আর বেশীদূর ভাবতে পারি না, ওদের জন্যে হয়তো তেমন
ভাল আশ্বাস আমার কাছে নেই, এদের জন্যে এই অনিশ্চয়তা মনটাকে তেতো করে দিলো । ধূর, এসব ভেবে লাভ কি, দুনিয়া আগেও চলেছে এখনও চলছে ।
রাতের পর দিন ঠিকই হচ্ছে, সবকিছুই চলছে, কিছুই থেমে নেই । ঘরের কাছে এসে পড়েছি, আর এ নিয়ে ভাবতে ইচ্ছে করছে না, সান্তনা এই দিই যে যদি সমাজের
জন্যে কিছু করতে পারি তাহলে মনে হয় আমার দায়ভার একটু কমবে । হ্যা, তাই ভালো ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





