somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অভিযোগ

২৮ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ১০:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছোটবেলা থেকেই ইসলামের একটা জিনিস আমার খুব ভাল লাগত । সেটা হচ্ছে ভোরে ঘুম থেকে উঠা । নজরুলের কবিতায় সেই কবে পড়েছিলাম, সূর্য্যিমামা জাগার আগে উঠব আমি জেগে – এই কথাটি এখনও আমার মনে গেঁথে আছে । কিন্তু যতই বড় হচ্ছিলাম, আমাদের তথাকথিত ধার্মিকদের কাছ থেকে ইসলামের সৌন্দর্য তো দূরে থাক, শুধু তাদের কালো অংশটুকুই দেখতে পেয়েছি । তথাকথিত ধার্মিকরা -- যারা পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ে, তারা কি আসলেই ধার্মিক ? নামাযই কি মানুষকে মানুষ বানায় ? আমি বলছি না সব নামাযীই এক; কিন্তু আমার দেখা বেশীরভাগই ঐরকম ।


আমি ধার্মিক দেখেছি, কিন্তু তাদেরকে দেখেছি খুবই অসামাজিক হিসেবে । আমি ধার্মিক দেখেছি, কিন্তু তাদেরকে দেখেছি অলস হিসেবে । আমি ধার্মিক দেখেছি, কিন্তু তাদের হাসিমুখ খুব কমই দেখেছি, তাদেরকে বেশীরভাগ সময়ই দেখেছি গোমরামুখে । আমি ধার্মিক দেখেছি, কিন্তু তাদেরকে মানুষের সাথে ভালভাবে মিশতে দেখিনি, দেখেছি একটা গ্রুপের নির্দিষ্ট কিছু তাদেরই মত মানুষের সাথে মিশতে । আমি ধার্মিকদের দেখেছি দেখেছি পরনিন্দা করতে । আমাদের ধার্মিকরা, ছেলেমেয়েদের সাথে খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা তো দূরে থাক, তাদেরকে দেখেছি তাদের ছেলেমেয়েরা ভয় পায় । আমি ধার্মিকদের দেখেছি নিজের স্ত্রীদের সাথে চরম খারাপ ব্যবহার করতে । আমি জ্ঞানহীন ধার্মিকদের দেখেছি । আমি দেখেছি ধার্মিকদের, যাদের অন্তরে গরীব অভাবীদের জন্য কোন মায়া নেই । আমি ব্রেন ওয়াশ্‌ড ধার্মিক দেখেছি । আমি কাজহীন, অলস, অজ্ঞ ধার্মিকদের ঘরকুনো হয়ে থাকতে দেখেছি । আমি ধার্মিক দেখেছি, যারা কথায় কথায় অপরকে কাফির বলে, এবং কি করলে জান্নাতে যাওয়া যায় তার সহজ পথ ( ? ) দেখায় !!


আমি ধার্মিক দেখেছি শুধু মসজিদে নামাযে অবস্থায় । শুধু নামাযটাকেই তারা ইসলাম বলে মনে করে বসে আছে । হায়, কি ভুলের মাঝে আছি আমরা । আমরা রাসুলুল্লাহ্‌র শুধু মসজিদের ভিতরের অংশুটুকুই নিয়েছি । একটা হাদীস বোধ হয় আছে (সহীহ্‌ কিনা জানি না), কিয়ামতের দিন আল্লাহ্‌ দিন সর্বপ্রথম নামাযের হিসাব নিবেন, এবং ঐটায় পাশ করলেই জান্নাত – ওয়াও ! হায়রে বোকা !! ধরে নিলাম হাদীসটা সহীহ্‌, তারপরও বলছি নামায কি সেইটা কি আগে জেনে নিন । একটা কথা বলি, নামায হচ্ছে আল্লাহ্‌র সাথে সম্পর্ক তৈরী করার একটা জিনিস । না বুঝে নামায পড়লে আল্লাহ্‌র সাথে কিভাবে সম্পর্ক তৈরী হওয়া সম্ভব ?


আমার খুব জানতে ইচ্ছা করে, একজনের সাথে খারাপ ব্যবহার করে নামাযে আল্লাহ্‌র সামনে দাঁড়াতে ধার্মিকদের লজ্জা করে না ? আমার খুব জানতে ইচ্ছা করে জুময়ার দিন গরীব, প্রায় অর্ধ-নগ্ন বয়ষ্ক লোকদের পায়ে ঠেলে মসজিদে গিয়ে তারা যে নামায পড়ে, সেটা কি আসলেও নামায ? আমার খুব জানতে ইচ্ছা করে রাসুলুল্লাহ্‌ কি এমন করতে পারতেন ? এইসব ধার্মিকদের হৃদয় খুলে আমার খুব দেখতে ইচ্ছা করে ।


ধার্মিকেরা রাসুলুল্লাহ্‌কে মডেল হিসেবে দেখে । অবশ্যই মুহাম্মদ(স) আমাদের মডেল, কারণ আল্লাহ্‌ কোরানে সেই কথা আমাদেরকে বলেছেন । আসুন দেখি, আমরা উনাকে কিভাবে মান্য করি বা অনুসরণ করি । রাসুলুল্লাহ্‌ পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়তেন, ধার্মিকেরাও পড়ে । রাসুলুল্লাহ্‌ রোযা রাখতেন । ধার্মিকেরাও রাখে । কিন্তু…


১, একদিন রাসুলুল্লাহ্‌ বসে ছিলেন । আর সাহাবীরা ইসলাম আসার পূর্বে অজ্ঞানতার যুগে কি কি করতেন তা বলতেছিলেন । আর রাসুলুল্লাহ্‌ মিটিমিটি হাসতেছিলেন । চিন্তা করে দেখুন, ধরে নিলাম মুহাম্মদ(স) তখন রাসুল হন নি । তারপরেও ভেবে দেখুন, তার চেয়ে কম বয়সী সাহাবী ঐখানে নিশ্চয়ই ছিল । তারা একজন বয়সে বড় মানুষের সামনে তাদের আগের অজ্ঞানতার কথা বলছিল । কতটা খোলা মনের মানুষ হলে একজন সিনিয়রের সামনে একজন জুনিয়র এইসব কথা বলতে পারে । আমি নিজের জীবন দিয়েই চিন্তা করেছি । এইরকম সিনিয়র তো খুব বেশী নেই, যাকে আমি আমার ডেটিং এর গল্প বলতে পারব । এবং এসব শুনে রাসুলুল্লাহ্‌ কপাল কুকরাননি, বরঞ্চ মিটিমিটি হাসছিলেন ।


এখন আমাদের ধার্মিকদের কথা ভাবা যাক, প্রথম কথা হচ্ছে, ধার্মিকদের সাথে কথা বলার কোন ইচ্ছাই তৈরী হয় না, তাদের গোমরা মুখ দেখে । আর কোনমতে যদি বলে ফেলি যে, আমি ঐদিন একটা মেয়ের সাথে ঘুরতে গিয়েছিলাম, নাউজুবিল্লাহ্‌ বলে মুখ ফিরিয়ে নিবে । পারলে আমাকে জাহান্নামের টিকিট ধরিয়ে দিবে । এইখানে একটা কথা আমার মনে হয়, যারা খারাপ তাদের খারাপের পিছনে যারা ভাল তাদের কিছুটা হলেও দোষ আছে, কারণ তারা ঐ খারাপদের দূরে সরিয়ে রাখে ।


২, একদিন রাসুলুল্লাহ্‌ বসেছিলেন । এমন সময় বিয়ে বাড়ি থেকে একটা মেয়ের দল আসছিল । রাসুলুল্লাহ্‌ দাঁড়িয়ে ওদেরকে সম্বোধন করলেন এবং সালাম দিলেন । আমাদের ধার্মিকরা মেয়েদের আনন্দ দেখতে পারে না । হ্যাঁ, এইটা ঠিক যে, আমরা এনজয় করার নামে অশ্লীলতা করি । পর্দা করি না । কিন্তু হাতে ঘা হলে তো আমরা হাত কেটে ফেলতে পারি না । কিন্তু ধার্মিকেরা মেয়েদের কোনভাবে আনন্দ করতে দিতে চায় না । তারা পর্দা করতে বলতে পারে, কিন্তু আনন্দ করতে তো না করতে পারে না !


৩,আমার জানা সবচেয়ে রোমান্টিক লোক হলেন মুহাম্মদ(স) । তার রোমান্টিকতার একটা ঊদাহরণ দিই । ঘর থেকে বের হওয়ার সময় তিনি আয়েশা(রা) এর হাতে চুমু খেতেন । আমাদের ধার্মিকদের কয়জন স্ত্রীদের সাথে রোমান্টিক ? স্ত্রীরা তো ধার্মিকদের দেখলে ভয় পায় । রাসুলুল্লাহ্‌র স্ত্রীরা তার সাথে খোলা মনে কথা বলতে পারতেন । আর আমাদের ধার্মিকদের গোমরা কালো মুখ দেখলে স্ত্রীদের পিলে চমকে যায় ।


৪, এক ধার্মিক লোক ছিল । পাঁচ ওয়াক্ত নামায রোযা কিছুই তার বাদ যেত না । প্রতি ভোরে অন্যদেরকে ফজর নামাযের জন্য ঘুম থেকে জাগাত । কুরবানির ঈদের সময় তার হচ্ছে ব্যস্ত সময়, কারণ অনেকেই তাকে অনুরোধ করে তাদের গরুটা জবাই দিয়ে দেয়ার জন্য । তাদের আশা, হয়তো এই ধার্মিক লোকের কারণে তাদের কুরবানী কবুল হয়ে যাবে । হায়রে অজ্ঞ মানুষ ! হায়রে প্রতারক ভন্ড ঐ লোক ! লোকটার মুখে আমি কোনদিন হাসি দেখি নাই । এলাকার লোকদের সাথে কোনদিন মিশতে দেখি নাই । আমাদের রাসুলুল্লাহ্‌(স) কি এই ধরণের মুসলমান চেয়েছিলেন ? মানুষের সাথে ঘনিষ্ঠ হওয়া ছাড়া আল্লাহ্‌র ঘনিষ্ঠতা কি পাওয়া সম্ভব ?


৫, মুহাম্মদ(স) কে দেখে কেউ উঠে দাঁড়াত না, কারণ রাসুলুল্লাহ্‌ বারণ করে দিয়েছিলেন । এবং আমি যতদূর জানি মুহাম্মাদ(স), তাকে অন্য কেউ সালাম দিবে তার জন্য অপেক্ষা করতেন না, তা অন্য কেউ বয়সে ছোটই হোক বা বড়ই হোক । এইক্ষেত্রে শুধু ধার্মিকেরা না, আমাদের দেশের সিনিয়ররা সবায়ই অপেক্ষা করে জুনিয়ররা কখন সালাম দিবে তার জন্য । এমনকি কেউ সালাম না দিলে কিংবা উঠে না দাঁড়ালে তাকে বেয়াদব তেয়াদব অনেক কিছুই বলা হয়ে থাকে । এইটা কি ইসলামের পথ ? আমি একদিন এক লোককে সালাম দেই নি বলে সে আমার মায়ের কাছে এসে অভিযোগ করেছিল, আমি কি আসলেই মুসলমান কি না ? হায়রে অজ্ঞ !


শুধু আচার আচরণ পালন করাই আজাকালকার দিনে ধর্ম মনে করে থাকে মানুষ । ওরে মূর্খ ! তাই যদি হতো, তাহলে মুসলমানেরাই আজকে দুনিয়ার সেরা জায়গায় থাকত । জুময়ার নামায শেষে শুধু আমেরিকানদের গালাগালি করলে কোন লাভ হবে না । ওর কোন অর্থ হয় না ।


ডা, লুৎফর রহমানের ধর্ম জীবন বইয়ে বলেছেন, “মুসলমান জাতির ধর্ম, এই জাতির জীবন ও আত্নার উপর কোন প্রভাব বিস্তার করে না । নামায ! নামায ! নামায ! আজান শুনলে পূণ্যের জন্য মুসলমানেরা মসজিদ ঘরের দিকে সন্তান সঙ্গপ্রয়াসী গাভীর মতো পুচ্ছ তুলে দৌড় দেন । মুসলমান জাতির এই ভূল কঠিন আঘাতে ভাঙ্গতে হবে । ধর্ম অর্থ পাপ বর্জনের সাধনা । মিথ্যার সংগে আত্নার সংগ্রাম । প্রার্থনায় এই কাজের সহায়তা হবে – এই জন্য ইসলাম ধর্মে প্রার্থনার ব্যবস্থা । আমি মুসলমান জাতিকে সাবধান করছি – তারা যদি শুধু রোজা-নামাযকেই ধর্ম মনে করে বসে থাকেন, তবে তারা পরকালে কোনমতে মুক্তি পাবেন না । ”



আরেক জায়গায় তিনি বলেছেন, ”রোযা-নামাযের অন্তরালে জীবনকে মিথ্যামুক্ত করতে চেষ্টা কর । জেনেশুনে অন্যায় ও মিথ্যা করে সর্বদা মসজিদ ঘরে যেয়ো না – ও ভন্ডামী ঈশ্বর সহ্য করতে পারেন না । যে চোর ঘুষখোর, প্রতারক, পরনিন্দুক, আহম্মক, অশিক্ষিত, পরস্বার্থহারী, বিশ্বাসঘাতকতার আবার রোজা-নামায কী ? তোমার লম্বা জামা, দীর্ঘ নামায এবং লম্বিত শ্মশ্রুতে তুমি কিছুতেই বেহেস্তে যাবে না । রে ঘুষখোর – দুর্মতি, রে হারামখোর, বেশ্যা – তোমরা কি কপালে তিলক কাটলে, তীর্থে যাত্রা করলে ? “


ডা, লুৎফর রহমানের আরো কিছু কোটেশন দিচ্ছি ।

“সর্ব পাপমুক্ত হওয়াই ইসলাম ধর্ম । মুসলমানের ধর্ম জীবনের একমাত্র সাধনা পাপকে জয় করা । হে আল্লাহ্‌, আমি শয়তানের হাত হতে তমার কাছে আশ্রয় চাই – এই হচ্ছে তার বড় প্রার্থনা । তার জীবনে পাপ-পূণ্যের কাটা-কাটি, জমা-খরচ হবে না । নামাযের পূন্য আলাদা, পাপের শাস্তি আলাদা – তা হবে না ! তা হবে না ! নামায পড়লে পাপের ক্ষমা হবে না । না বুঝে নামায পড়া এও ইসলাম ধর্ম নয়, কোন ধর্ম নয় । প্রার্থনা তা আন্তরিক এবং আত্নার সত্য বেদনা নিবেদন হওয়া চাই । মানুষকে কোনরকম দুঃখ দেওয়া পাপ । জগতে দুঃখ সৃষ্টি করা পাপ । তোমার জীবনের দ্বারা, কথা ও ব্যবহারে যদি পৃথিবীতে দুঃখ ও জ্বালা উপস্থিত হয়, তুমি পাপী । নামায দুই-একবার ত্যাগ করলে তত পাপ হয় না, যত হয় মিথ্যা, অন্যায়, প্রবঞ্চনা, ব্যভিচার, লোভ, চুরি, এবং মানুষকে দুঃখ দেওয়াতে । অথচ ঠিক এর উলটো সমাজে চলছে । নামায ঠিক আছে – পাপ ও শঠতার অন্ত নেই । ত্বকচ্ছেদ, আরবীতে নাম রাখা, মৃত্যুর পর ফাতেহা পাঠ করা, মসজিদ ঘর তোলা, মৃত্যুর পর খতম পড়ান, লক্ষ কলেমা পাঠ, শ্মশ্রু রাখা এবং ইসলাম ধর্মের গর্ব করাই যেন এদের ধর্ম । আত্নার দিকে এরা তাকায় না ।“


“ মুসলমান শাস্ত্রে নামাযের প্রতি জনসাধারনকে এত কঠিনভাবে ভক্তিমান আদেশ করা হয়েছে, নামায পালন করতে এতবার অনুজ্ঞা করা হয়েছে, নামায ত্যাগ করলে এত ভয়ানক শাস্তির ভয় দেখানো হয়েছে – মুসলমান জাতি সব ভুলে নামাজই সর্বাগ্রে পালন করতে অগ্রসর হয় , -- নামায ছাড়া আর কোন কর্তব্যের কথা তাদের মনে আসে না । নামায পড়া তাদের জীবনের বড় কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে । আর কোন দ্বায়িত্ব তারা ভাল করে অনুভব করে না । বুঝে হোক, না বুঝে হোক নামায পড়তে হবে । যেসব ইশ্বর বাক্য তারা পাঠ করে সেই বাক্যের মর্ম গ্রহণ – তদানুসারে জীবন গঠন করা বিশেষ আবশ্যক বোধ করে না । কোনো রকমে আবৃত্তি করে নামায পড়তে পারলেই তারা মনে করে ইসলাম ধর্মের শ্রেষ্ঠ আজ্ঞা পালন করা হল, তারা ইসলাম ধর্ম পালন করলো । নামাযের জন্যে এই অতিরিক্ত ভীতি প্রদর্শণ মুসলমান সমাজের ধর্ম জীবনের মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিয়েছে । তার আধ্যাত্নিক জীবন চূর্ণ হয়ে গেছে । নামাযকে ছেড়ে ধর্ম সম্বন্ধে স্বাধীনভাবে কিছু ভাবতে তারা মোটেই সাহস পায় না । নামায-রোযা হয়ে পড়েছে তারা দুই সশরীরি দেবতা । সে এইভাবে প্রাণে মূর্তিহীন প্রতিমা পূজা শুরু করেছে । সে ঈশ্বরকে চেনে না, শুধু নামায পড়ে । তার বিশ্বাস, নামায ত্যাগই সকল পাপের বড় পাপ । কিন্তু তা তো নয় । অকৃতজ্ঞতা, বিশ্বাসঘাতকতা, ক্রূরতা, মিথ্যা, দয়াশূণ্যতা, ছলনা, প্রতারণাই বড় পাপ, কিন্তু সে তা বিশ্বাস করে না, এই অবিশ্বাসই তার পতনের কারণ । এই জন্যই জীবন মানুষের কাছে এত দুঃসহ । নামায অর্থাৎ প্রার্থনা দুই-রকবার ত্যাগ করলে তেমন ক্ষতি হয় না । আসল ধর্ম ঠিক রাখা চাই ।“


আমার অভিযোগ সীল মারা ধার্মিকদের কাছে, কেন তারা এত সুন্দর ইসলামটাকে অজ্ঞতা দিয়ে নষ্ট করে দিচ্ছে ? আমার অভিযোগ কেন তারা নামায, রোযা এবং আনুষঙ্গিক কিছু নিয়ম পালন করা ছাড়া কিছুই করে না ? আমার অভিযোগ তাদের কাছে, তারা ইসলামের সৌন্দর্য মানুষকে না জানাতে পারত, কিন্তু পোষাক, টুপি, দাড়ি ইত্যাদি দিয়ে অন্যদেরকে ইসলাম থেকে অনেক দূরে সরে যেতে কেন সাহায্য করে ? আমার অভিযোগ কেন তারা কোন না কোন গ্রুপের অংশ হয়ে যায়, এবং অন্ধভাবে তা আকড়ে ধরে থাকে ? তারা কি একটুও চিন্তা করে না, নাকি আমিই সম্পূর্ণ ভূল ?


আমি আমার যেকোন ভূলের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি ।
http://www.share-thinking.blogspot.com/
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কর কাজ নাহি লাজ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪


রাফসান দা ছোট ভাই
ছোট সে আর নাই
গাড়ি বাড়ি কিনে সে হয়ে গেছে ধন্য
অনন্য, সে এখন অনন্য।

হিংসেয় পুড়ে কার?
পুড়েপুড়ে ছারখার
কেন পুড়ে গা জুড়ে
পুড়ে কী জন্য?

নেমে পড় সাধনায়
মিছে মর... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×