somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি জটিল সমিকরণ মিলাতে পারছি না।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অংকটি সহজ আবার জটিলও।

গতকাল পাক ক্রিকেটের ইতিহাসে নক্করজনক অধ্যায়ের আবতারনা হলো। পরাজয়, তাও আবার বাংলাদেশের কাছে, এটি মেনে নিতে পারছে না পাকিস্থান নামক রাষ্ট্র। তাই তো পাক পত্রিকা, টিভি এবং স্বয়ং পার্লামেন্টে ক্রিকেট নিয়ে ঝড় উঠেছে।



এই ঝড় বাংলাদেশেও বইছে তবে তা জয়ের ঝড়। সারা বাংলাদেশের মানুষ অভিনন্দন জানাচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেট দলকে। গর্ববোধ করছে বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে, নিজে বাঙ্গালী হয়ে। এহেন কোন বাঙ্গালী নাই, সেই নারী-বৃদ্ধ-শিশু-প্রবাসী সবাই আনন্দিত, পুলকিত পর পর ৪টি ম্যাচে পাক বাহিনীকে পরাজিত করে, যে সেই পরাজয় নয়। রিতীমত হয়াইট ওয়াশ। বাংলার বাঘের কাছে পাক ক্রিকেট দাড়াঁতেই পারে নাই। অভিনন্দন জানিয়েছে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রি, বিরোধীদলীয় নেতা, পার্লামেন্টারী বিএনপি নেতা সহ বিদেশী বন্ধুদরা।

কিন্তু সমস্য একটা। কুটিল সমিকরণ ! এত বড় বিজয়ে জামাতে ইসলাম কোন মন্তব্য বা অভিনন্দন জানায় নাই। তাদের নীরবতা কী ইঙ্গিত করে ?

উল্লেখ্য কাদের মোল্লার ফাসীঁতে পাকিস্থান পার্লামেন্ট নাখস হয় এবং ইমরান খান রীতিমত ক্ষিপ্ত বাংলাদেশ বিচার ব্যবস্থা এবং সরকারের উপর । সেই হিসাবে বাংলাদেশের জামাতে ইসলামীর প্রীয় বন্ধু রাষ্ট্র পাকিস্থান।
তাইতো বোধ করি এদেশে পাক বাহিনীর পরাজয়ে জামাত খুশি নয়। যেমনটি অখুসি হয়েছিল ৫২, ৬৯ এবং ৭১ সালে।

জামাত খুশি হউক বা বেজার হউক, আর নাখোশ হউক নতুবা উল্লোবনে বেড়াতে যাক, একথা সত্য গতকালের বিজয়ে সারা বাংলাদেশের মানুষ স্বস্তি ও খুশি হয়েছে। খুশি হয়েছে সেই সমস্ত বীর সন্তানরাও, যারা বিগত জামাতের হরতালে, তথাকথিত আন্দোলনে দেশের সম্পদ বিনষ্ট করেছে, যারা মানুষকে পেট্রোল বোমা মেরে মৃত্যুর সাধ বুঝিয়ে দিয়েছে।

প্রশ্ন এখানেই বীর জামাতের বীর সন্তাদের প্রতি, যেখানে তাদের দলীয় নেতারা খেলার ফলাফলে খুশি নয়, সেখানে তারা জাতীয়তাবোধে কিভাবে উজ্জবীত এবং পুলকিত। তাহলে কী সেই বিপদগামী কর্মীরা জামাতের আদর্শ মেনে নিতে পারছে না। আসলে তারা নিজেরাও জানে জামাত যুদ্ধের সময় শ্রেফ রাজাকারী করেছে, মা-বোনের ইজ্জত লুটেছে গনিমতের মাল হিসেবে, বাব-চাচা, ভাইদের কে মুক্তি বলে জবাই করেছে। আর লুটপাট করে বড়লোক হয়েছে।

তাহলে সমস্যা কী। সমস্যা এখানেই স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় মিথ্যা ইতিহাস ডুকেছে, আর কুশিক্ষা নিয়ে এখনকার প্রজন্ম রাজাকারের হরতালে গাড়ী পুড়াচ্ছে, মানুষ মারছে। তবে বাঙ্গালী হয়েও তাদের মাঝে জাতীয়তাবোধ জেগে উঠে আর ব্রেইন ওয়াশ করা শিবিরের শিক্ষা তাদেরকে বিপদগামী করে।

জটিল সমিকরণটা এখানেই । বিমোহিত হই তাদের দর্শনে আর জাতীয়তাবোধ দেখে। আফসোস তাদের জন্য, যাদেরকে রাষ্ট্র নামক যন্ত্র যথার্থ শিক্ষা দিতে পারে নাই।

এত কিছুর পরও আমরা আশার আলোয় বুক বাধিঁ, প্রতিটি বিজয়ে আমরা জাতীয়বোধ পুনরুজ্জিবিত হউক। আবার সোনার বাংলায় বসবাস করি এই কামনা করছি।
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগটা তো ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে গেলো :(

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭



আমি আমার ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে। ব্লগটির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ প্রথম আলো ব্লগ আমায় লেখালেখিতে মনোযোগী হতে শিখিয়েছে । সে এক যুগ আগের কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

লুঙ্গিসুট

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।

একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

=মৃত্যু কাছে, অথবা দূরেও নয়=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



©কাজী ফাতেমা ছবি
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দিয়ে বলি, আমারও সময় হবে যাবার
কি করে চলে যায় মানুষ হুটহাট, না বলে কয়ে,
মৃত্যু কী খুব কাছে নয়, অথবা খুব দূরে!
দূরে তবু ধরে নেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা

লিখেছেন করুণাধারা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৯



এই ধাঁধার নাম সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা; নিচের লিংকে এটার ভিডিও আছে।

স্বৈরশাসকের বন্দী

এই ধাঁধাটি আমার ভালো লেগেছিল, তাই অনেক আগে আমার একটা পোস্টে এই ধাঁধাটি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই পোস্টে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×